চট্টগ্রাম বন্দরে বাড়ছে কনটেইনারের চাপ
জ্বালানি তেলের দাম বাড়ানোর পর ভাড়া বাড়ানোর দাবিতে পরিবহন মালিকদের ডাকা ধর্মঘটের কারণে তৃতীয় দিনের মতো চট্টগ্রাম বন্দরের বাইরে পণ্য আনা-নেওয়া বন্ধ রয়েছে। বন্দর কর্তৃপক্ষ বলছে, ধর্মঘট দীর্ঘায়িত হলে চট্টগ্রাম বন্দরে কনটেইনার জট তৈরি হবে।
রোববার (৭ নভেম্বর) দুপুরে চট্টগ্রাম বন্দরের সচিব মো. ওমর ফারুক ঢাকা পোস্টকে বলেন, ‘বন্দরে কনটেইনার ধারণক্ষমতা ৪৯ হাজার ১৮ টিইউএস। বর্তমানে বন্দরে আমদানি-রফতানি মিলে কনটেইনার আছে ৩৮ হাজার ৭৮৩ টিইউএস। শনিবার (৬ নভেম্বর) বন্দরে কনটেইনার ছিল ৩৬ হাজার ৯৪২ টিইউএস। ওইদিন চট্টগ্রাম বন্দর থেকে কনটেইনার ডেলিভারি হয়েছে ১ হাজার ২৭৩ টিইউএস। আজ দুপুর পর্যন্ত কনটেইনার ডেলিভারি হয়েছে ৪৪৬ টিইউএস। অথচ স্বাভাবিক সময়ে চার হাজার টিইউএসের উপরে কনটেইনার ডেলিভারি হয়ে থাকে। এভাবে ধর্মঘট যদি আরও দীর্ঘায়িত হয়ে তাহলে বন্দরকে কনটেইনার জটের কবলে পড়তে হবে।’
বিজ্ঞাপন
চট্টগ্রাম বন্দর সূত্রে জানা গেছে, ‘বন্দরের জেটিগুলোতে বর্তমানে জাহাজ রয়েছে ১৫টি। এরমধ্যে ৯টি কনটেইনারবাহী, চারটি জেনারেল কার্গো, একটি খাদ্যপণ্য বোঝাই ও একটি ক্লিংকারবাহী জাহাজ। এছাড়া চট্টগ্রাম বন্দরের বহিঃনোঙ্গরে ৬৬টি মাদার ভ্যাসেল অবস্থান করছে। এরমধ্যে ৪৫টিতে কাজ চলছে।’
বিজিএমইএর প্রথম সহ-সভাপতি নজরুল ইসলাম ঢাকা পোস্টকে বলেন, ‘ধর্মঘট যদি চলতে থাকে তাহলে আমরা বড় ধরনের ক্ষতির মুখে পড়ব। রফতানিমুখি কনটেইনার পুরোপুরি বন্দরে যেতে পারছে না। শনিবার প্রশাসনের সহযোগিতায় কিছু কনটেইনার বন্দরে পাঠিয়েছিলাম। আশা করছি ধর্মঘট আজকেই শেষ হয়ে যাবে। বন্দরে জাহাজ অপেক্ষমান থাকলে মাশুল বাড়বে। এর চাপ পড়বে ব্যবসায়ীদের উপর।’
গত ৩ নভেম্বর রাতে ডিজেলের দাম ৬৫ থেকে বাড়িয়ে ৮০ টাকা নির্ধারণ করে প্রজ্ঞাপন জারি করে সরকার। এরপরেই বৃহস্পতিবার থেকে ৪ নভেম্বর পরিবহন ধর্মঘটের ডাক দেন বাস, ট্রাক, কাভার্ড ভ্যান মালিকরা।
আন্তর্জাতিক বাজারে অপরিশোধিত তেলের দাম বাড়তে থাকায় ‘লোকসান কমাতে’ দেশের বাজারেও জ্বালানি তেলের দাম বাড়ানো হয়েছে বলে জানিয়েছে জ্বালানি মন্ত্রণালয়।
কেএম/জেডএস