ট্রেনে ২৭৫ টাকার টিকিট ৪০০ টাকা!
‘যারা আজকের টিকিটের জন্য লাইনে দাঁড়িয়েছেন তারা সরে যান। আজকের কোনো টিকিট নেই।’ এমন ঘোষণার পরও দুই-একজন আবার টিকিটও পেয়ে যাচ্ছেন। কিন্তু কীভাবে? উত্তর মিলল আজকের টিকিট পাওয়া যাত্রী তরিকুলের কাছ থেকে।
তিনি ঢাকা পোস্টকে বলেন, দুই নাম্বার কাউন্টারের লাইনে প্রায় আধাঘণ্টা দাঁড়িয়ে যখন টিকিট কাটতে গেলাম তখন কাউন্টার থেকে বলল আজকের টিকিট নেই। তবে ম্যানেজ করে দেওয়া যাবে। ২৭৫ টাকার টিকিটের জন্য লাগবে ৪০০ টাকা।
বিজ্ঞাপন
তারিকুল আরও বলেন, চাকরি বাঁচাতে আমাকে যে কোনো উপায়ে যেতেই হবে। তাই কথা না বাড়িয়ে দ্রুত টিকিট কিনলাম। আমাকে যে টিকিট দেওয়া হয়েছে সেটা সকাল ৮টা ২৬ মিনিটে কাটা। কিন্তু আমি টিকিট নিয়েছি সকাল ১০টার পরে।
পরে সাংবাদিকরা এ ব্যাপারে জানতে ওই কাউন্টারে গেলে ওই কর্মকর্তা (টিকিট যে দিচ্ছে) উঠে ভেতরে চলে যান।
ওই সময় আরও কয়েকজন যাত্রী একই অভিযোগ করেন। দুই-তিনশ টাকা বেশি দিয়ে অনেকে টিকিট পেয়েছেন। তবে টিকিট কাউন্টারের কর্মকর্তারা বাড়তি মূল্য নেওয়ার বিষয়টি অস্বীকার করেন।
এ অভিযোগের ব্যাপারে কমলাপুর স্টেশন ম্যানেজার মোহাম্মদ মাসুদ সারওয়ার ঢাকা পোস্টকে বলেন, টিকিটের দাম বেশি নিচ্ছে এমন কোনো অভিযোগ এখন পর্যন্ত পাইনি। সুনির্দিষ্ট কোনো তথ্য পেলে আমরা অবশ্যই ব্যবস্থা নেব।
তিনি জানান, গণপরিবহন বন্ধ থাকায় সড়কের পুরো চাপ এখন ট্রেনের ওপর পড়েছে। স্বাভাবিক দিনের তুলনায় দ্বিগুণ যাত্রী বেড়েছে। যাত্রীদের সুবিধার্থে আজকে ২৬টি অতিরিক্ত কোচ দেওয়া হয়েছে। সকাল ও সন্ধ্যার পর ব্যাপক চাপ পড়ে। পরিস্থিতি সামাল দিতে আমাদের কষ্ট হচ্ছে।
টিকিট নেই যাত্রীদের এ অভিযোগ স্বীকার করে স্টেশন ম্যানেজার বলেন, আজকে কোনো টিকিট নেই। অগ্রিম টিকিট দেওয়া হচ্ছে। যেহেতু বাস বন্ধ তাই অনেক যাত্রী টিকিট না পেলেও গ্রামে যেতে হবে। তাদের জন্য ‘এক্সট্রা ফেয়ার টিকিট’ (ইএফটি) ব্যবস্থা করা হয়েছে।
এদিকে স্টেশনের প্লাটফর্মে প্রবেশ পথে দেখা যায়, সাত থেকে আটজন কর্মী ইএফটি টিকিট বিক্রি করছেন। সেখানে যাত্রীরা ভিড় করেছেন ইএফটি টিকিটের জন্য। কারণ যেভাবেই হোক নির্দিষ্ট গন্তব্যে যেতে হবে।
এসআই/আইএসএইচ