প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, সরকার ২০৩০ সালের মধ্যে টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা অর্জন এবং ২০৪১ সালের মধ্যে উন্নত বাংলাদেশ গড়ে তোলার জন্য কাজ করে চলেছে।

তিনি আশা প্রকাশ করেন, সরকারের এ লক্ষ্য পূরণে দেশের সমবায় সংগঠনগুলো অগ্রণী ভূমিকা রাখবে। সবার সম্মিলিত প্রচেষ্টায় ক্ষুধা-দারিদ্র্যমুক্ত বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলাদেশ গড়ে তুলতে আমরা সক্ষম হবো।

আজ (৬ নভেম্বর) ‘জাতীয় সমবায় দিবস-২০২১’ উপলক্ষে শুক্রবার দেওয়া এক বাণীতে একথা বলেন প্রধানমন্ত্রী।

তিনি বলেন, সারাদেশে ৫০তম জাতীয় সমবায় দিবস যথাযোগ্য মর্যাদায় উদযাপিত হচ্ছে জেনে তিনি আনন্দিত।

এ উপলক্ষে দেশের সব সমবায়ীকে আন্তরিক শুভেচ্ছা জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, এবারের সমবায় দিবসের প্রতিপাদ্য ‘বঙ্গবন্ধুর দর্শন, সমবায়ে উন্নয়ন’ অত্যন্ত সময়োপযোগী ও তাৎপর্যপূর্ণ হয়েছে।

শেখ হাসিনা বলেন, সমবায় কার্যক্রমে স্বচ্ছতা ও গতিশীলতা আনয়নের জন্য সমবায় সমিতি আইন, ২০২১ এবং পরবর্তী সময়ে সমবায় সমিতি (সংশোধন) আইন, ২০১৩ প্রণয়ন করা হয়। সমবায় খাতে বাজেট বৃদ্ধিসহ প্রশিক্ষণ, আর্থিক ও উপকরণ সহায়তা দেওয়ার কারণে সমবায়ীদের জীবনমান ও সামাজিক উন্নয়ন উত্তরোত্তর বৃদ্ধি পাচ্ছে।

তিনি বলেন, মুজিববর্ষে জাতির পিতার গণমুখী সমবায় ভাবনার আলোকে ‘বঙ্গবন্ধু মডেল ভিলেজ’ করার কাজে হাত দিয়েছি আমরা। প্রাথমিকভাবে দেশের ৯টি জেলার ১০টি গ্রামের মোট ৫ হাজার মানুষ এ প্রকল্পের সুফল পাবেন। গ্রামের আয় বৃদ্ধি, কর্মসংস্থান সৃষ্টি, অবকাঠামো উন্নয়নের মাধ্যমে উন্নত গ্রামীণ জীবনযাপনের সুযোগ ও গ্রাম থেকে শহরমুখী জনস্রোত কমাতে এ প্রকল্প ভূমিকা রাখবে।’

প্রধানমন্ত্রী বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আজন্ম লালিত স্বপ্ন ছিল একটি সুখী-সমৃদ্ধ-স্বনির্ভর বাংলাদেশ গড়ে তোলা। সমবায়ের গুরুত্ব বিবেচনা করে বাংলাদেশের সংবিধানে সমবায়কে মালিকানার দ্বিতীয় খাত হিসেবে নির্ধারণ করেন তিনি। এ দেশের গণমানুষের অর্থনৈতিক মুক্তির জন্য জাতির পিতা গণমুখী সমবায় আন্দোলনের ডাক দিয়েছিলেন। বাংলাদেশের অন্যতম সমবায় প্রতিষ্ঠান ‘মিল্ক ভিটা’ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবের হাতেই গড়ে ওঠে।

শেখ হাসিনা বলেন, জাতির পিতার অন্যতম উন্নয়ন দর্শন ছিল ‘সমবায়’। সমবায়ের মাধ্যমে দারিদ্র্য মোচন ও আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় বিভাগ। বর্তমানে দেশে প্রায় ১ লাখ ৯৬ হাজার সমবায় সমিতি রয়েছে, যার ব্যক্তি সদস্য প্রায় ১ কোটি ১৭ লাখ। সমবায় দেশের কৃষি, মৎস্য চাষ, পশু পালন, দুগ্ধ উৎপাদন, পুষ্টি চাহিদা পূরণ, পরিবহন, ক্ষুদ্র ব্যবসা, আবাসন, নারীর ক্ষমতায়ন, অনগ্রসর জনগোষ্ঠীর জীবনমান উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে।

প্রধানমন্ত্রী ৫০তম জাতীয় সমবায় দিবস-২০২১ এর সব কর্মসূচির সার্বিক সাফল্য কামনা করেন।

এসএম