‘মানসম্মত কারিগরি শিক্ষা নিশ্চিতে উদ্যোগ নেওয়া দরকার’
স্থানীয় সরকার মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম বলেছেন, কারিগরি শিক্ষা ব্যবস্থার প্রতি অনেকেরই নেতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গি আছে, আমাদের এটি দূর হবে। সোমবার (২৫ জানুয়ারি) রাজধানীর মিরপুরের বাংলাদেশ জার্মান টেকনিক্যাল ট্রেLocalনিং সেন্টার এবং বাংলাদেশ কোরিয়া টেকনিক্যাল ট্রেনিং সেন্টার পরিদর্শনের সময় তিনি এ কথা বলেন।
কারিগরি শিক্ষার প্রতি শিক্ষার্থীদের উদ্বুদ্ধ করতে সচেতনতা বাড়ানোর উপর গুরুত্বারোপ করে মন্ত্রী বলেন, দেশের সার্বিক উন্নয়নে কারিগরি শিক্ষাকে অর্থবহ করার জন্য আরও সম্প্রসারণ এবং মানসম্মত কারিগরি শিক্ষা নিশ্চিত করার উদ্যোগ নেওয়া প্রয়োজন।
বিজ্ঞাপন
তিনি বলেন, টেকনিক্যাল ট্রেনিং সেন্টারের আদলে স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের (এলজিইডি) অধীনে একটি ‘নির্মাণ দক্ষতা প্রশিক্ষণ কেন্দ্র’ প্রতিষ্ঠা করা হচ্ছে। বর্তমানে দেশে বিপুল সংখ্যক অদক্ষ শ্রমিক রয়েছে, যারা প্রশিক্ষিত হলে দেশের সম্পদ হিসেবে বিবেচিত হবে।
এ লক্ষ্যে বিএমইটি, কারিগরি শিক্ষা বোর্ড এবং এলজিইডি মধ্যে একটি ত্রিপক্ষীয় সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরিত হবে বলেও তিনি জানান। মো. তাজুল ইসলাম বলেন, দেশের সকল অদক্ষ শ্রমিকদেরকে প্রশিক্ষণের মাধ্যমে দক্ষ করে স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদফতর-এলজিইডির নির্মিত অবকাঠামোতে গুণগত মান ও স্থায়িত্ব বৃদ্ধিই এ নির্মাণ দক্ষতা প্রশিক্ষণ কেন্দ্র প্রতিষ্ঠার লক্ষ্য।
ত্রিপক্ষীয় সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরের মাধ্যমে পারষ্পরিক সহযোগিতা বৃদ্ধি করে দক্ষ নির্মাণ শ্রমিক গড়ে তোলা সম্ভব হবে বলেও মনে করেন সরকারের এ মন্ত্রী। তিনি বলেন, দেশে ডেমোগ্রাফিক ডিভিডেন্ডের অর্থাৎ তরুণ জনগোষ্ঠীকে দক্ষ জনশক্তিতে রূপান্তরিত করে সর্বোচ্চ সুবিধা নিতে হলে কারিগরি শিক্ষা প্রসারের বিকল্প নেই। এছাড়া দেশের চাহিদা মিটিয়ে বিদেশে জনশক্তি রপ্তানি করলে আত্মকর্মসংস্থান ও বৈদেশিক মুদ্রা উভয় অর্জন করা সম্ভব।
স্থানীয় সরকার মন্ত্রী আরও বলেন, উন্নত-সমৃদ্ধ দেশে পরিণত করতে হলে প্রজন্মের উদ্ভাবনী শক্তির বিকাশে জ্ঞান-বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির সর্বোত্তম ব্যবহার প্রয়োজন। এ সময় মন্ত্রী প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের কর্মকাণ্ড পরিদর্শন করেন। বাংলাদেশ-জার্মান ও বাংলাদেশ-কোরিয়া কারিগরি প্রশিক্ষণ কেন্দ্র দুটির বিভিন্ন কার্যক্রম সম্পর্কে স্থানীয় সরকার মন্ত্রীকে অবহিত করা হয়।
স্থানীয় সরকার বিভাগের অতিরিক্ত সচিব মেসবাহ উদ্দিন, বিএমইটি মহাপরিচালক মো. সামছুল আলম, এলজিইডির প্রধান প্রকৌশলী মো. আব্দুর রশীদ খান এবং সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা এ সময় উপস্থিত ছিলেন।
এসএইচআর/এমএইচএস