জেলা পরিষদকে আরও কার্যকর করতে আইন সংশোধন হচ্ছে
জেলা পরিষদকে আরও শক্তিশালী এবং কার্যকর করতে আইন সংশোধন করা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন স্থানীয় সরকার মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম। এছাড়াও ইউনিয়ন পরিষদ, পৌরসভা এবং উপজেলা পরিষদ আইনকেও যুগোপযোগী করার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে বলে জানান তিনি।
বৃহস্পতিবার (৪ নভেম্বর) রাজধানীর হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টালে স্থানীয় সরকার বিভাগ ও ইউএনডিপি আয়োজিত এসডিজি অর্জনে জেলা পরিষদকে শক্তিশালীকরণ শীর্ষক জাতীয় কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন তিনি।
বিজ্ঞাপন
মন্ত্রী বলেন, ইতোমধ্যে জেলা পরিষদ আইন সংশোধনের কাজ চূড়ান্ত করা হয়েছে, যা মন্ত্রিপরিষদ সভায় উত্থাপনের অপেক্ষায় রয়েছে। আজকের এ সভার মাধ্যমে অথবা জেলা পরিষদ চেয়ারম্যানদের যদি যৌক্তিক কোনো মতামত ও পরামর্শ থাকে তাহলে সেগুলোকেও আমলে দিয়ে সংশোধন করে আইনকে যুগোপযোগী করা হবে।
তিনি বলেন, কয়েকটি জেলায় ১৩-১৬টি উপজেলা রয়েছে। আবার কোনো জেলায় ৩টি অথবা ৫-১০টি উপজেলা রয়েছে। কিন্তু সকল জেলা পরিষদ সদস্য সংখ্যা ২০ জন। অন্যদিকে প্রত্যেক জেলা আর্থিকভাবে সমান নয়। তাই সংশোধিত আইনে প্রতিটি উপজেলা থেকে একজন করে সদস্য এবং তিনটি উপজেলা থেকে একজন নারী সদস্য নিয়ে জেলা পরিষদ গঠনের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। এছাড়া পৌরসভা থেকে মেয়র অথবা প্রতিনিধি পরিষদে সদস্য থাকবেন।
দেশের উন্নয়নে জেলা পরিষদকে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ প্রতিষ্ঠান উল্লেখ করে মো. তাজুল ইসলাম বলেন, কোনো প্রতিষ্ঠানই একদিনে শক্তিশালী ও সক্ষম হয় না, কাঙ্ক্ষিত লক্ষ্যে পৌঁছাতে পারে না। এই কর্মশালায় সকলের পরামর্শ এবং মতামত গ্রহণ করে একটি কার্যকর ও শক্তিশালী জেলা পরিষদ গঠন এবং ভবিষ্যতের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় ভূমিকা রাখবে।
মন্ত্রী বলেন, বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা গড়তে হলে একটি পরিকল্পিত দেশ দরকার। তাই শহর-নগর, গ্রাম সবজায়গায়ই পরিকল্পিত অবকাঠামো নির্মাণ করতে হবে। এক্ষেত্রে জনপ্রতিনিধিরা সবচেয়ে বড় ভূমিকা রাখতে পারেন।
তিনি বলেন, বিশ্বের যে কোনো দেশের তুলনায় বাংলাদেশের সম্প্রীতির বন্ধন অত্যন্ত শক্তিশালী। এই ভূখণ্ডে সকল ধর্মের মানুষ স্বাধীনভাবে বসবাস করে। দেশের এই সম্প্রীতির বন্ধনে আঘাত করার জন্য অনেক ষড়যন্ত্র চলছে। সকল ষড়যন্ত্র মোকাবিলা করে সবাই মিলে একসঙ্গে কাজ করলে দেশের উন্নয়ন কেউ ঠেকাতে পারবে না।
স্থানীয় সরকার বিভাগের সিনিয়র সচিব হেলালুদ্দীন আহমদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, ইউএনডিপির আবাসিক প্রতিনিধি সুদীপ্ত মুখার্জি এবং সুইজারল্যান্ডের অ্যাম্বাসেডর নাথালিয়া চুয়ার্ড।
এসএইচআর/এসকেডি