সই জালিয়াতি : আ. লীগ নেতা আফতাব খান কারাগারে
সই জালিয়াতি করে রাজস্ব ফাঁকির অপচেষ্টার ঘটনায় চট্টগ্রাম কাস্টমস হাউসের দায়ের করা মামলায় চট্টগ্রাম উত্তর জেলা আওয়ামী লীগের কোষাধ্যক্ষ ও মেসার্স পারিমস সাউথ ইস্ট এশিয়া লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আফতাব খানসহ দুজনকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দিয়েছেন আদালত।
বুধবার দুপুরে মহানগর দায়রা জজ শেখ আশফাকুর রহমানের আদালত এ আদেশ দেন। ঢাকা পোস্টকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন মহানগর দায়রা জজ আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) মো. ফখরুদ্দিন চৌধুরী।
বিজ্ঞাপন
তিনি বলেন, আফতাব খান ও রিয়াসাত খান আদালতে আত্মসমর্পণ করে ২৬ অক্টোবর জামিন আবেদন করেন। আদালত আজ শুনানি শেষে জামিন নামঞ্জুর করে তাদের কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।
আদালত সূত্রে জানা গেছে, ২০২১ সালের ১৮ জুলাই বন্ড সুবিধায় আমদানিকৃত বিভিন্ন ফ্রেবিক্স শুল্কায়নের লক্ষ্যে চারটি বিল দাখিল করা হয়। পরে সেগুলো যাচাই-বাছাই করেন কাস্টমসের রাজস্ব কর্মকর্তা। কাগজপত্র যাচাইকালে কাস্টমস বন্ড কমিশনারেট ঢাকা কর্তৃক ইস্যুকৃত প্রাপ্যতা শিটে উপ-কমিশনার কাঞ্চন রানী দত্তের সই দেখা যায়। যাচাই-বাছাইকারী কর্মকর্তার কাছে সইটি জাল বলে মনে হয়। পরে তিনি সইটি অনলাইনে চেক করেন ও কাঞ্চন রানীর সাথে কথা বলে নিশ্চিত হন যে, সইটি জাল।
আসামিরা পরস্পরের যোগসাজশে উপ-কমিশনার কাঞ্চন রানী দত্তের সই জাল করে দুই কোটি ৩০ লাখ দুই হাজার ৪০৫ টাকা রাজস্ব ফাঁকির অপচেষ্টা করেন। এ ঘটনায় সহকারী রাজস্ব কর্মকর্তা গাজী মো. হোসাইন বাদী হয়ে গত ১৯ জুলাই বন্দর থানায় পাঁচজনকে আসামি করে একটি মামলা করেন। এ মামলায় গত ১ সেপ্টেম্বর হাইকোর্ট থেকে আফতাব খান ও রিয়াসাত খান ৮ সপ্তাহের অন্তর্বর্তীকালীন জামিন লাভ করেন।
জামিনের মেয়াদ শেষ হওয়ার আগে তাদের মহানগর দায়রা জজ আদালতে আত্মসমর্পণ করার নির্দেশ দেন হাইকোর্ট। গত ২৬ অক্টোবর মহানগর দায়রা জজ আদালতে আত্মসমর্পণ করে তারা জামিন আবেদন করেন। আদালত নথি প্রাপ্তি সাপেক্ষে বুধবার শুনানি করে দুজনকে কারাগারে পাঠালেন। মামলা পরিচালনায় সময় পিপিকে সহযোগিতা করেন অ্যাডভোকেট সাব্বির আহম্মদ শাকিল, মো. সাহাব উদ্দিন ও সাফায়াত শাকির।
কেএম/আরএইচ