পুরোনো খোয়া ও ধুলোবালিতে সওজের নতুন সড়ক!
রাস্তার পুরোনো ইট, অন্য রাস্তার পিচযুক্ত খোয়া ও ধুলোবালি দিয়ে তৈরি করা হয়েছে সড়ক ও জনপথ বিভাগের নতুন সড়ক। প্রতিষ্ঠানটির আওতাধীন ঝিনাইদহ শৈলকুপার শেখপাড়া থেকে লাঙ্গলবাঁধ পর্যন্ত ১৮ ফিট চওড়া, ২৬ কিলোমিটার দীর্ঘ সড়ক নির্মাণে এমন নিম্নমানের সামগ্রী ব্যবহার করা হয়েছে। মাইনুদ্দিন বাশি লি. অ্যান্ড মিজানুর রহমান জেভি সড়ক সংস্কারের কাজ করে। যার মালিক মিজানুর রহমান।
বুধবার (২৭ অক্টোবর) দুদকের সমন্বিত জেলা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক মোহা. মোশাররফ হোসেনের নেতৃত্বে একটি টিম অভিযান পরিচালনা করে অভিযোগের প্রাথমিক সত্যতা পেয়েছে।
বিজ্ঞাপন
দুদকের সহকারী পরিচালক (জনসংযোগ) মোহাম্মদ শফিউল্লাহ ঢাকা পোস্টকে এ তথ্য নিশ্চিত করে বলেন, সড়ক ও জনপথ কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে শেখপাড়া থেকে লাঙ্গলবাঁধ পর্যন্ত ২৬ কিলোমিটার রাস্তা সংস্কারে নিম্নমানের নির্মাণ সামগ্রী ব্যবহারের অভিযোগের ভিত্তিতে অভিযান পরিচালনা করেছে দুদক এনফোর্সমেন্ট টিম। দুদক টিম সরেজমিনে ওই রাস্তাসহ প্রকল্প এলাকা পরিদর্শন করে এবং কাজের মান যাচাই করে।
তিনি আরও বলেন, সরকারি নিয়ম অনুযায়ী নতুন সামগ্রীর সঙ্গে একটি নির্দিষ্ট পরিমাণ পুরাতন সামগ্রী মেশানোর অনুমোদন থাকলেও কাজের অগ্রগতির দালিলিক প্রমাণের সঙ্গে বাস্তব অবস্থার অমিল রয়েছে বলে টিমের কাছে প্রতীয়মান হয়েছে। সংশ্লিষ্ট নির্বাহী প্রকৌশলী ও উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলীর মনিটরিংয়েরও অভাব পরিলক্ষিত হয়। ঠিকাদারকে কাজের বিপরীতে ইতোমধ্যে প্রায় ১৮ কোটি টাকা দেওয়া হয়েছে। এক্ষেত্রে অনুসন্ধান প্রতিবেদন তৈরি করবে দুদক টিম।
অভিযোগের বিষয়ে জানা যায়, ঝিনাইদহ সড়ক ও জনপথ বিভাগ ৮৮ কোটি টাকা ব্যয়ে শৈলকুপার শেখপাড়া-লাঙ্গলবাঁধ সড়ক নির্মাণ কাজে রাস্তার পুরোনো ইট, অন্য রাস্তার পিচযুক্ত খোয়া ও ধুলোবালি দিয়ে রাস্তা তৈরি করেছে। শৈলকুপার শেখপাড়া থেকে লাঙ্গলবাঁধ পর্যন্ত ১৮ ফিট চওড়া, ২৬ কিলোমিটার দীর্ঘ সড়ক নির্মাণের কার্যাদেশ পায় মাইনুদ্দিন বাশি লি. অ্যান্ড মিজানুর রহমান জেভি।
অভিযোগ, পুরাতন ইটের সঙ্গে নতুন ইটের খোয়া মিশিয়ে এবং পুরাতন পিচের রাস্তা উঠিয়ে সেই পাথর মেশিনে ভেঙে নতুন পাথরের সঙ্গে মেশানো হয়। ইট বালির মিশ্রণে ৩ ঝুড়ি ইট এবং ১ ঝুড়ি বালি দেওয়ার নিয়ম থাকলেও সেখানে বালিই বেশি দেওয়া হয়েছে। ঠিকমতো রোলারও করা হয়নি। ইচ্ছামতো কাজ করেছে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান। নির্মাণাধীন রাস্তার একেবারেই কোল ঘেঁষে মাটি কাটার ফলে বড় বড় গর্তের সৃষ্টি হয়েছে।
আরএম/এসএসএইচ