চট্টগ্রামের ফটিকছড়িতে পিতা-পুত্র হত্যার ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে আরও ছয়জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)। মঙ্গলবার (২৬ অক্টোবর) চট্টগ্রামের ফটিকছড়ি ও খাগড়াছড়ি এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেফতার করা হয়।  

গ্রেফতার হওয়া আসামিরা হলেন :  মো. বাহাদুর,  মো. রমজান, মো. মহিউদ্দিন, নজরুল ইসলাম, আবুল কালাম  ও মো সুলতান আহমদ। এর মধ্যে মো. বাহাদুর,  মো. রমজান, মো. মহিউদ্দিন ও নজরুল ইসলাম বুধবার (২৭ অক্টোবর) চট্টগ্রামের অতিরিক্ত চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট ফরিদা ইয়ামিনের আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন। বাকি দুইজনের তিন দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন একই আদালত। 

ঢাকা পোস্টকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা পিবিআই চট্টগ্রাম জেলার এসআই মো. কামাল আব্বাস। 

তিনি বলেন, চট্টগ্রামের ফটিকছড়ি ও খাগড়াছড়ি এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে তাদের গ্রেফতার করা হয়। গ্রেফতার হওয়া আসামিদের মধ্যে চারজন নিজেদের দোষ স্বীকার করে আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন। 

পিবিআই চট্টগ্রাম জেলার পুলিশ সুপার নাজমুল হাসান বলেন, হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত পলাতক অন্য আসামিদের গ্রেফতারে জোর চেষ্টা চালাচ্ছে পিবিআই। মামলা দুটির তদন্ত কার্যক্রম চলছে। 

এর আগে গত ১৮ অক্টোবর আরও তিনজনকে গ্রেফতার করেছিল পিবিআই। 

পিবিআই জানায়, গত বছরের ২৮ সেপ্টেম্বর জমি সংক্রান্ত বিরোধের জেরে খুন হন ফটিকছড়ি কাঞ্চন নগর ইউনিয়নের বাসিন্দা ফকির আহাম্মদ (৩৩)। এ ঘটনায় তার বাবা এজাহার মিয়া (৭০) বাদী হয়ে অজ্ঞাতনামাদের আসামি করে ফটিকছড়ি থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। কিন্তু দীর্ঘ ৮ মাসেও ফকির আহমদ হত্যাকাণ্ডের রহস্য উদ্ঘাটন না হওয়ায় এজাহার মিয়া মামলাটি তদন্তের জন্য পিবিআইয়ের নিকট হস্তান্তরের সিদ্ধান্ত নিন। এ বিষয়ে তিনি কয়েকজনের সঙ্গে কথা বলেন। বিষয়টি আসামিরা জেনে যায়। মামলার দায়িত্ব পিবিআইয়ের কাছে গেলে ঘটনার রহস্য উন্মোচন হয়ে যাবে এ চিন্তা থেকে এজাহার মিয়াকেও খুনের পরিকল্পনা করে তারা। এরই ধারাবাহিকতায় ২৪ জুন এজাহার মিয়াকেও খুন করে তারা। এ ঘটনায় নিহতের স্ত্রী নাছিমা বেগম বাদী হয়ে ফটিকছড়ি থানায় অজ্ঞাতনামাদের আসামি করে আরেকটি মামলা করেন। 

পুলিশ কর্মকর্তা নাজমুল হাসান বলেছিলেন, পুলিশ সদর দফতরের নির্দেশে এজাহার হত্যা মামলার তদন্ত শুরু করে পিবিআই চট্টগ্রাম জেলা ইউনিট। গত ২৮ সেপ্টেম্বর তদন্ত কার্যক্রম শুরু করেন পিবিআইয়ের এসআই কামাল আব্বাস। এরই ধারাবাহিকতায় উভয় মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই মো. কামাল আব্বাস ১৮ অক্টোবর তিন আসামিকে গ্রেফতার করেন। 

কেএম/এসকেডি