সিআইডির আরেক কর্মকর্তার অবৈধ সম্পদের খোঁজে দুদক
পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগের (সিআইডি) উপ-পরিদর্শক ওয়ালিউল্লাহর দুর্নীতি অনুসন্ধানে নেমেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
অভিযোগ রয়েছে, উপ-পরিদর্শক (এসআই) ওয়ালিউল্লাহর ঘুষ-দুর্নীতির মাধ্যমে শত কোটি টাকার সম্পদ অর্জন করেছেন। সম্প্রতি অনুসন্ধানের সিদ্ধান্ত নেওয়ার পর বৃহস্পতিবার (২৭ অক্টোবর) দুদকের প্রধান কার্যালয় থেকে তার বিরুদ্ধে উত্থাপিত অভিযোগ তদন্তে কর্মকর্তা নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। তদন্তের দায়িত্ব দুদকের উপ-সহকারী পরিচালক প্রবীর কুমার দাস পেয়েছেন বলে সংস্থাটির জনসংযোগ দফতর সূত্রে জানা গেছে।
বিজ্ঞাপন
এর আগে গত ১৮ অক্টোবর দিনাজপুরে মা ও ছেলেকে অপহরণের ঘটনায় গ্রেফতার হওয়া সিআইডির সহকারী পুলিশ সুপার সারোয়ার কবিরের অবৈধ সম্পদের বিষয়ে অনুসন্ধান শুরু করে সংস্থাটি।
এসআই ওয়ালিউল্লাহর বিরুদ্ধে অভিযোগের বিষয়ে জানা যায়, ঘুষ ও দুর্নীতির মাধ্যমে অর্জিত টাকা দিয়ে তিনি রাজধানীর রাজারবাগে ৭ তলা ভবন নির্মাণ করেছেন। উত্তরায় বাড়িসহ জমি কিনেছেন। এছাড়া নেত্রকোনায় বাড়ি ও জমি ক্রয় করার পাশাপাশি সুনামগঞ্জ ও ময়মনসিংহেও অনেক সম্পত্তি ক্রয় করেছেন ওয়ালিউল্লাহ। অভিযোগে বিলাসবহুল প্রাইভেটকারসহ ব্যাংকে হিসাবে লাখ লাখ টাকা থাকার কথাও উল্লেখ করা হয়েছে।
অন্যদিকে সহকারী পুলিশ সুপার সারোয়ার কবিরের অভিযোগ অনুসন্ধানে অনুসন্ধান কর্মকর্তা সিআইডির থেকে কাছে ব্যক্তিগত নথিপত্র সংগ্রহ করেছেন বলে জানা গেছে।
দিনাজপুরের চিরিরবন্দর থেকে এক নারী ও তার ছেলেকে অপহরণের পর মুক্তিপণ দাবির অভিযোগে গত ২৪ আগস্ট এএসপি সারোয়ার কবিরসহ পাঁচজনকে গ্রেফতার করে পুলিশ। অপর আসামিরা হলেন : রংপুর সিআইডির এএসআই হাসিনুর রহমান ও কনস্টেবল আহসানুল হক, মাইক্রোবাস চালক হাবিবুর ও সিআইডির সোর্স খাসিউর রহমান।
মামলার এজাহারে বলা হয়, ২৩ অগাস্ট রাত ৮টার দিকে ৭-৮ জন অজ্ঞাতনামা ব্যক্তি পুলিশ পরিচয় দিয়ে চিরিরবন্দরের নান্দারাই গ্রামের লুৎফর রহমানের বাড়িতে ঢুকে তার স্ত্রী জহুরা বেগম ও ছেলে জাহাঙ্গীরকে মাইক্রোবাসে তুলে নিয়ে যায়। পরে মা-ছেলের মুক্তিপণ হিসেবে ১৫ লাখ টাকা দাবি করেন তারা।
আরএম/এসকেডি