সিলেটের দক্ষিণ সুরমা সরকারি কলেজের বিজ্ঞান বিভাগের দ্বাদশ শ্রেণির ছাত্রও আরিফুল ইসলাম রাহাত হত্যার রহস্য উদঘাটন করেছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)। সিআইডি জানায়, সিনিয়র-জুনিয়র দ্বন্দ্বে প্রাণ গেছে তার। শামসুদ্দোহা সাদী নামে এক ছাত্র নিজেকে সিনিয়র দাবি করে আরিফুলের সঙ্গে তর্ক-বিতর্ক করে। একপর্যায়ে সহপাঠীকে খুন করে সে।

গত ২১ আগস্ট দুপুরে দক্ষিণ সুরমা কলেজের ছাত্র আরিফুল ইসলাম রাহাত (১৮) কলেজ গেটে সহপাঠীর ছুরিকাঘাতে খুন হয়। এ ঘটনায় মঙ্গলবার (২৬ অক্টোবর) মধ্যরাতে কুষ্টিয়ার দৌলতপুর থেকে সহপাঠী শামসুদ্দোহা সাদীকে (২৩) গ্রেফতার করে সিআইডি।

বুধবার (২৭ অক্টোবর) দুপুরে সিআইডি কার্যালয়ে এ বিষয়ে সংবাদ সম্মেলন করেন বিশেষ পুলিশ সুপার (এসএসপি) মুক্তা ধর।

তিনি বলেন, চাঞ্চল্যকর এই হত্যাকাণ্ডে খুনিকে দ্রুত গ্রেফতারসহ বিচার দাবিতে কলেজের সাধারণ ছাত্র-ছাত্রীদের আন্দোলনে নামে। এরই পরিপ্রেক্ষিতে কলেজ কর্তৃপক্ষ অনির্দিষ্টকালের জন্য পাঠদান বন্ধ ঘোষণা করে। ঘটনার পর থেকেই সিআইডি ঘটনাটির ছায়া তদন্ত শুরু করে। এর ধারাবাহিকতায় কুষ্টিয়ার দৌলতপুর থানাধীন দুর্গম চর এলাকা থেকে মামলার এজাহারনামীয় প্রধান আসামি শামসুদ্দোহা সাদীকে গ্রেফতার করা হয়।

সাদীকে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে হত্যার দায় স্বীকার করেছেন তিনি। ভিকটিম রাহাত ও আসামি সাদী একই শ্রেণির ছাত্র ছিলেন। সাদী কলেজের পার্শ্ববর্তী এলাকার বাসিন্দা এবং বয়সে রাহাতের চেয়ে বড় হওয়ায় সে নিজেকে সিনিয়র দাবি করে আসছিলেন। এনিয়ে উভয়ের মধ্যে চলমান বিবাদের জেরে হত্যাকাণ্ড সংঘটিত হয়।

এআর/এসএম