প্রস্তুত ফ্রিজার ভ্যান

উপহারের ২০ লাখ ডোজ টিকার পর এবার চুক্তির ৫০ লাখ ডোজ টিকা ভারত থেকে ঢাকায় এসে পৌঁছেছে। ভারতের সেরাম ইনস্টিটিউট উৎপাদিত অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার এ টিকা বহনকারী এয়ার ইন্ডিয়ার বিশেষ ফ্লাইট সোমবার (২৫ জানুয়ারি) সকাল ১০টা ৫৬ মিনিটে শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করে। 

সকালে ভারতের মুম্বাই বিমানবন্দর থেকে স্থানীয় সময় ৮টা ২৮ মিনিটে টিকা নিয়ে রওনা হয় এয়ার ইন্ডিয়ার (এআই-১২৫৪) বিশেষ ফ্লাইটটি। বিমানবন্দর থেকে এই টিকা টঙ্গীতে বেক্সিমকোর গুদামে নেওয়া হবে। এ লক্ষ্যে সকাল থেকেই বিমানবন্দরে প্রস্তুত রাখা হয়েছে ৯টি ফ্রিজার ভ্যান।

সোমবার সকালে শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. শাহরিয়ার সাজ্জাদ ঢাকা পোস্টকে বলেন, বিমানবন্দরে আমাদের সবকিছু প্রস্তুত রয়েছে। টিকা গ্রহণ করে সেগুলো টঙ্গীতে ওয়ার হাউজে পাঠিয়ে দেওয়া হবে। 

এরপর সারা দেশে পাঠানোর আগে এই টিকা সরকারি ওষুধ পরীক্ষাগারে পরীক্ষা করে ছাড়পত্র নেওয়া হবে বলে জানা গেছে।

গত ২১ জানুয়ারি (বৃহস্পতিবার) বেলা ১১টা ২০ মিনিটে ঢাকার শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌঁছায় উপহার হিসেবে ভারত সরকারের পাঠানো ২০ লাখ ডোজ টিকা। ভারতের সেরাম ইনস্টিটিউটে উৎপাদিত অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার এই টিকা এয়ার ইন্ডিয়ার বিশেষ ফ্লাইটে করে আসে। সেসময় ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর এক টুইটে বলেন, বাংলাদেশের সঙ্গে সম্পর্ককে ‘সর্বোচ্চ গুরুত্ব’ দেয় ভারত, ‘ভ্যাকসিনমৈত্রী’ তারই নজির।

বিমানবন্দরে প্রস্তুত ফ্রিজার ভ্যান

গত রোববার (২৪ জানুয়ারি) রাতে রাজধানীর গুলশানে নিজ বাসভবনে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে বেক্সিমকো ফার্মাসিউটিক্যালস কোম্পানির ব্যবস্থাপনা পরিচালক নাজমুল হাসান পাপন বলেন, সরকারের সঙ্গে আমাদের যে চুক্তি হয়েছে, সে চুক্তি অনুযায়ী ঢাকায় টিকা আসার পরই আমরা আমাদের ওয়ার হাউজে নিয়ে যাব। সেখানে যাবতীয় পরীক্ষার পর দেশের ৬৪ জেলায় আমরা পৌঁছে দেব। এরমধ্যেই সব ধরনের কোল্ড চেইন মানা হবে।

নিশ্চিত বলা যাচ্ছে না, তবে তিন থেকে চার ডলারের মধ্যে টিকার দাম পড়বে।

বেক্সিমকো ফার্মাসিউটিক্যালস কোম্পানির ব্যবস্থাপনা পরিচালক নাজমুল হাসান পাপন

তিনি বলেন, ভারত সরকারের নির্ধারিত দামেই সেরামের কাছ থেকে বাংলাদেশ ভ্যাকসিন কিনেছে। তবে এখনও নিশ্চিত বলা যাচ্ছে না যে কত দাম পড়বে। তবে তিন থেকে চার ডলারের মধ্যে। ভারত সরকার চার ডলার করে কিনলেও বাংলাদেশ চার ডলারের বেশি দেবে না।

বেক্সিমকো ফার্মাসিউটিক্যালসের ব্যবস্থাপনা পরিচালক নাজমুল হাসান পাপন - ছবি : ঢাকা পোস্ট

ওষুধ প্রতিনিধিদের জন্য আসছে আরও ১০ লাখ ডোজ টিকা
দেশের বিভিন্ন ফার্মাসিউটিক্যালস কোম্পানি প্রতিনিধিদের জন্য আলাদা ১০ লাখ ডোজ টিকা আসবে বলে জানিয়েছেন নাজমুল হাসান পাপন। 

তিনি বলেন, চিকিৎসক-নার্সসহ স্বাস্থ্যকর্মীদের পাশাপাশি ওষুধ কোম্পানিতে কর্মরতরাও ভয়াবহ করানো ঝুঁকিতে আছেন। অনেকেই কর্মক্ষেত্রে গিয়ে আক্রান্ত হচ্ছেন। কিন্তু তারা সরকারের প্রথম সারির ভ্যাকসিন পাওয়ার তালিকায় নেই। এটা দুঃখজনক।

পাপন বলেন, বিভিন্ন ফার্মাসিউটিক্যালস কোম্পানি আমাদেরকে বারবার অনুরোধ করছে তাদের জন্যও কিছু ভ্যাকসিন আনার জন্য। আমরা সেরামের সঙ্গে কথা বলেছি, তারা আমাদের আরও ১০ লাখ ডোজ টিকা দেওয়ার কথা বলেছে।

কবে আসবে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমরা এটা নিয়ে আলাপ-আলোচনা করছি। কবে আসবে সেটা এখনি বলতে পারছি না। শিগগিরই আপনাদেরকে জানানো হবে।

এর আগে ২৩ জানুয়ারি রাজধানীর মোহাম্মদপুরে উদয়াচল পার্কের উদ্বোধন এবং ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন (ডিএনসিসি) বনাম ভারতীয় হাই কমিশনের প্রীতি ক্রিকেট ম্যাচের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে পাপন বলেন, সেরাম ইনস্টিটিউটের সঙ্গে তিন কোটি ডোজ টিকা পেতে আমাদের যে চুক্তি রয়েছে এটি পর্যায়ক্রমে নিয়ে আসা হবে।

দামের বিষয়ে সেরাম কী বলছে?
অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার বরাত দিয়ে ফিন্যান্সিয়াল টাইমস এর আগে জানায়, তাদের টিকার প্রতি ডোজের দাম পড়তে পারে ৩ থেকে ৪ ডলার। অক্সফোর্ডের টিকা অলাভজনকভাবে বাজারজাত করা হবে এবং একই সঙ্গে বিশ্বের সব প্রান্তে প্রয়োজন অনুযায়ী পৌঁছে দেওয়া হবে এ টিকা। সেরামের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা আদর পুনাওয়ালা এক সংবাদ সম্মেলনে বলেছিলেন, টিকার দুই ডোজের দাম পড়বে সর্বোচ্চ এক হাজার রুপি।

কোন ভ্যাকসিনের দাম কেমন?
মডার্না : বিশ্বব্যাপী যেসব কোম্পানি করোনার ভ্যাকসিন আবিষ্কারের কাজ করছে তার মধ্যে অন্যতম যুক্তরাষ্ট্রের বায়োটেকনোলজি কোম্পানি মডার্না। প্রতিষ্ঠানটি দাবি করে, তাদের ভ্যাকসিন প্রায় ৯৫ শতাংশ (৯৪ দশমিক ৫ শতাংশ) কার্যকর। ব্রিটিশ সরকারের কাছ থেকে তারা প্রতি ডোজ করোনা টিকার দাম ২৫ থেকে ৩৭ ডলার করে রাখছে। যা বাংলাদেশি মুদ্রায় দুই হাজার ১৮৮ টাকা থেকে তিন হাজার ১৩৫ টাকা দাঁড়ায়।

ফাইজার-বায়োএনটেক : ফাইজার দাবি, তাদের তৈরি করোনাভাইরাসের টিকা ৯৫ শতাংশ পর্যন্ত কার্যকর। এ টিকায় উল্লেখযোগ্য কোনো পার্শ্বপ্রতিক্রিয়াও নেই। ফাইজার বলছে, তাদের এই টিকা করোনাভাইরাসে সবচেয়ে ঝুঁকিপূর্ণ জনগোষ্ঠী বয়োজ্যেষ্ঠদের ক্ষেত্রে ৯৪ শতাংশ কার্যকর। তাদের তৈরি টিকার প্রতি ডোজের দাম পড়ছে ২০ ডলার করে।

জনসন অ্যান্ড জনসন : মার্কিন বহুজাতিক কোম্পানি জনসন অ্যান্ড জনসনের তৈরি টিকা স্বাভাবিক পদ্ধতিতে রেফ্রিজারেটরে সংরক্ষণ করা যাবে। প্রতি ডোজের দাম পড়বে ১০ ডলার করে। 

স্পুতনিক ফাইভ : রাশিয়ার তৈরি স্পুতনিক ফাইভ টিকা ৯২ শতাংশ কার্যকর। তবে এর কার্যকারিতা নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রসহ পশ্চিমা বিশ্ব সন্দিহান। স্পুতনিক ফাইভ টিকার অফিশিয়াল টুইটার অ্যাকাউন্টে বলা হয়েছে, মার্কিন ওষুধ কোম্পানি ফাইজার ও মডার্নার চেয়ে রাশিয়ার করোনা টিকার প্রতি ডোজের দাম অনেক কম পড়বে।

করোনার নমুনা নেওয়ার ফাইল ছবি

ঢাকার ৫ হাসপাতালে টিকা দেওয়া হবে ২৭ জানুয়ারি
প্রাণঘাতী করোনাভাইরাস প্রতিরোধে দেশে প্রথম করোনার টিকা প্রয়োগ শুরু হবে আগামী ২৭ জানুয়ারি (বুধবার)। একজন নার্সকে দিয়ে এদিন টিকা কার্যক্রম শুরু হলেও পরদিন ২৮ জানুয়ারি (বৃহস্পতিবার) রাজধানী ঢাকার ৫টি হাসপাতালে টিকা দেওয়া হবে। রোববার (২৪ জানুয়ারি) টিকা নিয়ে সংসদীয় কমিটির বৈঠক শেষে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. খুরশীদ আলম এ তথ্য জানান।

তিনি জানান, ২৭ জানুয়ারি পরীক্ষামূলক প্রথম টিকা দেওয়া হবে। তবে এর পরদিন ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল, কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতাল, মুগদা জেনারেল হাসপাতাল, কুয়েত মৈত্রী হাসপাতাল ও বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে ৪শ থেকে ৫শ জনের ওপর টিকা প্রয়োগ করা হবে। তাদের এক সপ্তাহ পর্যবেক্ষণে রাখার পর ফেব্রুয়ারির প্রথম সপ্তাহে সারাদেশে একযোগে টিকা দেওয়া হবে।

সারাদেশে ৮ ফেব্রুয়ারি টিকা দেওয়া শুরু
২৭ জানুয়ারি ঢাকায় টিকা প্রয়োগ শুরু হলেও এর পার্শ্বপ্রতিক্রিয়াসহ নানা বিষয় পর্যবেক্ষণ করে ৮ ফেব্রুয়ারি থেকে শুরু হবে সারাদেশে একযোগে টিকাদান। সংক্রমণের হার ও জনসংখ্যার ঘনত্ব বিবেচনায় সারাদেশের কোন জেলায় কত সংখ্যক ভ্যাকসিন যাবে তা নির্দিষ্ট করেছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। তারা জানিয়েছে, ফেব্রুয়ারির ১ তারিখ থেকে সারাদেশে করোনাভাইরাসের টিকা দেওয়া হবে। অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. এ বি এম খুরশীদ আলম বলেছেন, ৫০ লাখ মানুষকে প্রথম ডোজ দেওয়া হবে।

জানা গেছে, দেশের ৬৪ জেলাতেই প্রথম ধাপে পর্যায়ক্রমে টিকা দেওয়া হবে। তবে ঢাকা জেলার জন্য রাখা হয়েছে সবচেয়ে বেশি। এ জেলায় বরাদ্দ রয়েছে ১২ লাখ ৫৪ হাজার ২০০ ডোজ। সবচেয়ে কম বরাদ্দ বান্দরবন জেলায়। জেলাটিতে ৪০ হাজার ৪৩৯ ডোজ টিকা দেওয়া হবে।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের কোভিড-১৯ ভ্যাকসিন ডিস্ট্রিবিউশন প্ল্যানে দেখা গেছে, ঢাকা বিভাগে টিকা দেওয়া হবে ৪৯ লাখ ৩৮ হাজার ৫৪৫ জনকে। চট্টগ্রাম বিভাগে দেওয়া হবে ২৯ লাখ ৫৯ হাজার ৮৩৩ জনকে, রাজশাহী বিভাগে ১৯ লাখ ২৪ হাজার ৯২২ জনকে, রংপুর বিভাগে ১৬ লাখ ৪৪ হাজার ৫৯ জনকে, খুলনা বিভাগে দেওয়া হবে ১৬ লাখ ৩৩ হাজার ৬৪৬ জনকে, সিলেট বিভাগে দেওয়া হবে ১০ লাখ ৩২ হাজার জনকে এবং বরিশাল বিভাগে আট লাখ ৬৬ হাজার ৯৯৪ জনকে টিকা দেওয়া হবে। তিন রাউন্ডে এ জনগোষ্ঠী টিকা পাবেন।

মানা হচ্ছে না স্বাস্থ্যবিধি - ফাইল ছবি

কোন জেলায় কতজন টিকা পাচ্ছেন
জেলা পর্যায়ের পরিসংখ্যানে দেখা যায়, ঢাকায় ১২ লাখ ৫৪ হাজার ২০০ জন, ফরিদপুরে এক লাখ ৯৯ হাজার ২০৭ জন, গাজীপুরে তিন লাখ ৫৪ হাজার ৪৬৭ জন, গোপালগঞ্জে এক লাখ ২২ হাজার ৯০ জন, জামালপুরে দুই লাখ ৩৮ হাজার ৭৪৮ জন, কিশোরগঞ্জে তিন লাখ তিন হাজার ২৩২ জন, মাদারীপুরে এক লাখ ২১ হাজার ৪১৬ জন, মানিকগঞ্জে এক লাখ ৪৫ হাজার ৪৬ জন, মুন্সীগঞ্জে এক লাখ ৫০ হাজার ৫৪৪ জন, নারায়ণগঞ্জে তিন লাখ সাত হাজার ১৩ জন, নরসিংদীতে দুই লাখ ৩১ হাজার ৬৯৫ জন, নেত্রকোনায় দুই লাখ ৩২ হাজার ১৮৪ জন, রাজবাড়ীতে এক লাখ নয় হাজার ৩১৯ জন, শরীয়তপুরে এক লাখ ২০ হাজার ৩৬২ জন, টাঙ্গাইলে তিন লাখ ৭৫ হাজার ৪১৬ মানুষ টিকা পাবেন।

বান্দরবনে টিকা পাবেন ৪০ হাজার ৪৩৯ জন, ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় দুই লাখ ৯৫ হাজার ৭৯৫ জন, চাঁদপুরে দুই লাখ ৫১ হাজার ৫৯২ জন, চট্টগ্রামে সাত লাখ ৯৩ হাজার ১২৯ জন, কুমিল্লায় পাঁচ লাখ ৬১ হাজার ছয়জন, কক্সবাজারে দুই লাখ ৩৮ হাজার ৪৬৮ জন, খাগড়াছড়িতে ৬৩ হাজার ৯৩০ জন, লক্ষ্মীপুরে এক লাখ ৮০ হাজার ৬৯ জন, নোয়াখালীতে তিন লাখ ২৩ হাজার ৬৬০ জন, রাঙ্গামাটিতে ৬২ হাজার ৬২ জন।

ভোলায় টিকা পাবেন এক লাখ ৮৫ হাজার ২৭ জন, ঝালকাঠিতে ৭১ হাজার ৯০ জন, পটুয়াখালীতে এক লাখ ৫৯ হাজার জন, পিরোজপুরে এক লাখ ১৫ হাজার ৯২৯ জন, বরগুনায় ৯২ হাজার ৯৭০ জন, বরিশালে দুই লাখ ৪২ হাজার ৪২ জন।

এদিকে বাগেরহাটে এক লাখ ৫৩ হাজার ৭১৩ জন, চুয়াডাঙ্গায় এক লাখ ১৭ হাজার ৫৭০ জন, যশোরে দুই লাখ ৮৭ হাজার ৮৮৬ জন, ঝিনাইদহে এক লাখ ৮৪ হাজার ৪৫৫ জন, খুলনায় দুই লাখ ৪১ হাজার ৪৪০ জন, কুষ্টিয়ায় দুই লাখ দুই হাজার ৭৩৪ জন, মাগুরায় ৯৫ হাজার ৬৪০ জন, মেহেরপুরে ৬৮ হাজার ২৪৯ জন, নড়াইলে ৭৫ হাজার ১৫১ জন, সাতক্ষীরায় টিকা পাবেন দুই লাখ ছয় হাজার ৮০৮ জন।

বগুড়ায় টিকা পাবেন তিন লাখ ৫৪ হাজার ১৫০ জন, জয়পুরহাটে ৯৫ হাজার ১৫৫ জন, চাঁপাইনবাবগঞ্জে এক লাখ ৭১ হাজার ৫৬৫ জন, নওগাঁয় দুই লাখ ৭০ হাজার ৭৬৮ জন, নাটোরে এক লাখ ৭৭ হাজার ৭২৫ জন, পাবনায় দুই লাখ ৬২ হাজার ৭৫১ জন, রাজশাহীতে দুই লাখ ৭০ হাজার ২৫১ জন, সিরাজগঞ্জে তিন লাখ ২২ হাজার ৫৫৭ জন।

রংপুরে তিন লাখ ২২ জন, দিনাজপুরে তিন লাখ ১১ হাজার ৩৭৭ জন, কুড়িগ্রামে দুই লাখ ১৫ হাজার ৪৮৪ জন, লালমনিরহাটে এক লাখ ৩০ হাজার ৮০৪ জন, গাইবান্ধায় দুই লাখ ৪৭ হাজার ৭৬৪ জন, নীলফামারীতে এক লাখ ৯১ হাজার আটজন, পঞ্চগড়ে এক লাখ দুই হাজার ৮৪৮ জন, ঠাকুরগাঁওয়ে এক লাখ ৪৪ হাজার ৭৫২ জন টিকা পাচ্ছেন।

এছাড়া হবিগঞ্জে দুই লাখ ১৭ হাজার ৫৩৮ জন, মৌলভীবাজারে এক লাখ ৯৯ হাজার ৮৪২ জন, সুনামগঞ্জে দুই লাখ ৫৭ হাজার দুজন, সিলেটে তিন লাখ ৫৭ হাজার ৬১৯ জন করোনা টিকা পাবেন।

ভারতের উপহারের ২০ লাখ করোনা টিকা গ্রহণ করছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ও স্বাস্থ্যমন্ত্রী | ঢাকা পোস্ট, ২১ জানুয়ারি

যেসব স্থানে দেওয়া হবে টিকা
করোনাভাইরাসের টিকা প্রয়োগের জন্য সরকার কিছু জায়গা নির্দিষ্ট করে দিয়েছে। উপজেলা স্বাস্থ্যকেন্দ্র, ইউনিয়ন পরিষদ, জেলা/সদর হাসপাতাল, সরকারি-বেসরকারি মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল, বিশেষায়িত হাসপাতাল, পুলিশ-বিজিবি হাসপাতাল ও সিএমএইচ, বক্ষব্যাধি হাসপাতালে এ টিকা দেওয়া হবে। এসব জায়গায় প্রথম ধাপের ৫০ লাখ ভ্যাকসিন দিতে ৭ হাজার ৩৪৪টি দল গঠন করা হয়েছে। প্রতিটি দলে দুজন সরাসরি ভ্যাকসিন দেবেন এবং বাকি চারজন স্বেচ্ছাসেবক হিসেবে অন্যান্য কাজ করবেন।

এআর/এইচকে