আগামী ২ নভেম্বর (মঙ্গলবার) অনুষ্ঠিত হয়ে যাওয়া সিরাজগঞ্জ-৬ আসনের উপনির্বাচনের ভোটগ্রহণ ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনের (ইভিএম) মাধ্যমে হবে। এ লক্ষ্যে ইভিএমের নিরাপত্তা, ইভিএম ও সিল সংরক্ষণ ও গোপনীয়তা রক্ষা, ভোটকেন্দ্রে সিল পাঠানো এবং আইন অনুসারে নির্বাচনী কাগজপত্র সংরক্ষণে পরিপত্র জারি করেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)।

পরিপত্রে বলা হয়, ইভিএমসহ বিভিন্ন নির্বাচনী দ্রব্যাদি রিটার্নিং অফিসারের কাছে যথাসময়ে পাঠানো অত্যাবশ্যক। ইভিএমসহ বিভিন্ন নির্বাচনী দ্রব্যাদি জেলা পর্যায়ে পৌঁছানোর পর জেলা ও পুলিশ প্রশাসন বিশেষ সতর্কতামূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন। 

সোমবার (২৫ অক্টোবর) ইসির নির্বাচন পরিচালনা শাখার উপসচিব মো. আতিয়ার রহমান স্বাক্ষরিত এ পরিপত্র জারি করা হয়।

মো. আতিয়ার রহমান জানান, এই পরিপত্রে ইভিএমের নিরাপত্তা, ইভিএমের গোপনীয়তা রক্ষা, ব্রাশ সিলের নিরাপত্তা কোড নম্বর, হেসিয়ান ব্যাগ ও গানি ব্যাগের মাধ্যমে নির্বাচনী দ্রব্যাদি প্রেরণ, নির্বাচনী দ্রব্যাদি ও ভোটগ্রহণ কর্মকর্তাদের গন্তব্যস্থলে পৌঁছানোর জন্য সহায়তা, নির্বাচনী কাগজপত্র নিরাপত্তা সহকারে সংরক্ষণ করা হবে।

পরিপত্রে জানানো হয়েছে, ইভিএম ও বিভিন্ন সিল সংরক্ষণ ও গোপনীয়তা রক্ষা এবং আইন অনুসারে নির্বাচনী কাগজপত্র সংরক্ষণ ও অনুরূপ বিষয়ে জাতীয় সংসদ সাধারণ নির্বাচন উপলক্ষে জারি করা নির্দেশনা অনুসারে কার্যক্রম গ্রহণ করার অনুরোধ করা হলো।

সাবেক সংসদ সদস্য মো. হাসিবুর রহমান স্বপন গত ২ সেপ্টেম্বর মারা গেলে আসনটি শূন্য ঘোষণা করে সংসদ সচিবালয়। সংবিধান অনুযায়ী, আগামী ৩০ নভেম্বরের মধ্যে এ আসনে ভোটগ্রহণের বাধ্যবাধকতা রয়েছে।

সিরাজগঞ্জ-৬ আসনটি শাহজাদপুর উপজেলা নিয়ে গঠিত। এ আসন থেকে হাসিবুর রহমান দশম ও একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে জয়ী হয়েছিলেন। তিনি উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতিও ছিলেন।

১৯৯৬ সালে সপ্তম সংসদ নির্বাচনে বিএনপি থেকে সংসদ সদস্য হিসেবে নির্বাচিত হয়েছিলেন। পরে দল পরিবর্তন করে আওয়ামী লীগে যোগ দিলে ১৯৯৮ সালে সংসদ সদস্য পদ হারান। ১৯৯৮ থেকে ২০০১ সাল পর্যন্ত তিনি শিল্প উপ-মন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করেন। ২০০৮ সালে আওয়ামী লীগের টিকিটে শাহজাদপুর উপজেলা চেয়ারম্যান হিসেবে নির্বাচিত হয়েছিলেন। রাজনৈতিক জীবনে প্রথমে ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান পরে পৌরসভার মেয়র হয়েছিলেন।

এসআর/জেডএস