মোটরসাইকেল, পাওয়ার টিলার, ট্রাক্টর ও বিভিন্ন কৃষি যন্ত্রপাতিসহ ৪৩ ধরনের মালামাল বিক্রি হয়েছে মাত্র ২ লাখ ৮৭ হাজার টাকায়। বাস্তবে যার দাম কয়েকগুণ বেশি। গোপনে নিলামে বিক্রি করা হয়েছে এসব জিনিসপত্র।

বরিশালের বাকেরগঞ্জ উপজেলা কৃষি অফিসে ঘটে যাওয়া এমন অনিয়মের অভিযোগে রোববার (২৪ অক্টোবর) অভিযান চালিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) এনফোর্সমেন্ট টিম।

দুদকের বরিশাল সমন্বিত জেলা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক মো. হাফিজুর রহমানের নেতৃত্বে অভিযানটি চালানো হয়। অভিযানে এই অনিয়মের সত্যতা পেয়েছে দুদক। বর্তমানে চলছে অনুসন্ধান প্রতিবেদন তৈরির কাজ। শিগগিরই দোষীদের চিহ্নিত করে তাদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নিতে যাচ্ছে সংস্থাটি।

অভিযানের বিষয়টি নিশ্চিত করে দুদকের সহকারী পরিচালক (জনসংযোগ) মো. শফি উল্লাহ ঢাকা পোস্টকে বলেন, বাকেরগঞ্জ উপজেলা কৃষি কর্মকর্তাসহ অন্যান্যদের বিরুদ্ধে উপজেলা কৃষি অফিসের পুরাতন মালামাল টেন্ডার ব্যতিরেকে বিক্রয়পূর্বক অর্থ আত্মসাতের অভিযোগ পাওয়া গেছে। এর পরিপ্রেক্ষিতে অভিযান পরিচালনা করেছে এনফোর্সমেন্ট টিম।

তিনি বলেন, দুদক টিম সরেজমিনে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তার কার্যালয় পরিদর্শন করে এবং অভিযোগের বিষয়ে উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তাসহ অন্যান্যদের বক্তব্য গ্রহণ করে। টিম অভিযোগের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট নথির কপি সংগ্রহ করে এবং তথ্যাদি যাচাইকালে বেশকিছু ক্ষেত্রে অভিযোগের সত্যতা সম্পর্কে প্রাথমিকভাবে নিশ্চিত হয়।

তিনি আরও বলেন, অভিযান থেকে পাওয়া ও সরবরাহ করা সব তথ্য-প্রমাণ যাচাই করে চূড়ান্ত প্রতিবেদন কমিশনে দাখিল করা হবে। এরপরই আইনি ব্যবস্থায় যাবে দুদক।

আরএম/এমএইচএস