অধ্যাপক সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইমেরিটাস অধ্যাপক সিরাজুল ইসলাম চৌধুরীসহ তিনজনের বিরুদ্ধে মামলার আবেদন থেকে সরে এসেছেন বাদী নাজিম উদ্দিন সুজন।  

রোববার চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ রেজার আদালতে মামলা না নেওয়ার জন্য লিখিত আবেদন জানান তিনি।

মামলার আবেদন থেকে কেন সরে গেলেন- জানতে চাইলে নাজিম উদ্দিন সুজন বলেন, আবেদনে কিছু তথ্যগত ভুল রয়েছে। তাই মামলাটি না নেওয়ার জন্য আদালতে আবেদন করি। আদালত আবেদন মঞ্জুর করেছেন। মামলাটির কার্যক্রম আপাতত স্থগিত করেছি। 

পরে মামলা করবেন কি না- এ প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, এ বিষয়ে পরে জানানো হবে ।
 
‘বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে নিয়ে একটি লেখায় কটূক্তি করা হয়েছে’— এমন অভিযোগ এনে অধ্যাপক সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী, বাংলা অ্যাকাডেমির পুরস্কারপ্রাপ্ত সাহিত্যিক ও দৈনিক আজাদীর সহযোগী সম্পাদক রাশেদ রউফ ও লেখক নেছার আহমেদের বিরুদ্ধে গত মঙ্গলবার একই আদালতে মামলার আবেদন করেন।

মামলার আবেদনে বলা হয়, চট্টগ্রাম একাডেমি থেকে ২০২০ সালের ১৭ মার্চ বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকীতে ‘জাতির পিতা’ নামে একটি পুস্তক প্রকাশিত হয়। সেখানে অধ্যাপক সিরাজুল ইসলামের প্রবন্ধে বলা হয়, ‘একাত্তরের আগের শেখ মুজিব আর পরের শেখ মুজিব এক নন, বড়ই সত্য কথা’। আরেকটি লাইনে লেখা হয়, ‘নৈতিক পতনই তার দৈহিক পতন ডেকে আনে’।

চট্টগ্রাম শহরে এমন আরও অনেকে আছেন, যারা প্রতিনিয়ত অত্যন্ত সূক্ষ্মভাবে বঙ্গবন্ধু তথা স্বাধীনতার বিরুদ্ধে লেখনির মাধ্যমে নানা অপকর্ম চালিয়ে যাচ্ছেন। বঙ্গবন্ধুর আদর্শের একজন বিশ্বাসী হিসেবে লজ্জাবোধ থেকে আদালতের আশ্রয় নিয়েছিলেন বলে সেদিন জানান মামলার আবেদনকারী সুজন।

নাজিম উদ্দিন সুজন চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা যুবলীগের সাবেক যুগ্ম-আহ্বায়ক বলে জানা গেছে।  

কেএম/আরএইচ