চট্টগ্রামের জেএমসেন হলের পূজামণ্ডপে হামলার চেষ্টা ও ব্যানার-পোস্টার ছেঁড়াসহ পুলিশের ওপর হামলার অভিযোগে আরও ১০ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (২১ অক্টোবর) রাত ২টার দিকে ঢাকা পোস্টকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নেজাম উদ্দীন।

তিনি বলেন, ভিডিও ফুটেজ দেখে বৃহস্পতিবার রাত ৮টা থেকে রাত ১টা পর্যন্ত নগরীর বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে ১০ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এর মধ্যে ঘটনার দিন মিছিলে নেতৃত্ব দেওয়া কয়েকজন রয়েছেন।

জানা গেছে, গ্রেফতার হওয়াদের মধ্যে বাংলাদেশ যুব অধিকার পরিষদ, চট্টগ্রাম মহানগরের আহ্বায়ক মো. নাছির, সদস্য সচিব মিজানুর রহমান এবং বায়েজিদ থানার সভাপতি ডা. রাসেলও রয়েছেন।

এদিকে ১৬ অক্টোবর চট্টগ্রামের জেএমসেন হলে পূজামণ্ডপে হামলার ঘটনায় ৮৩ জনের নাম উল্লেখ করে কোতোয়ালি থানায় মামলা দায়ের করা হয়। মামলা অজ্ঞাতনামা আরও অন্তত ৫০০ জনকে আসামি করা হয়েছে। কোতোয়ালি থানার এসআই আকাশ মাহমুদ ফরিদ বাদী হয়ে বিশেষ ক্ষমতা আইনে মামলাটি দায়ের করেন।

এর আগে চট্টগ্রামের জেএমসেন হলের পূজামণ্ডপে হামলার চেষ্টা ও ব্যানার-পোস্টার ছেঁড়াসহ পুলিশের ওপর হামলার অভিযোগে ৮৩ জনকে গ্রেফতার করা হয়।

শুক্রবার (১৫ অক্টোবর) দুপুরে জুমার নামাজের পর আন্দরকিল্লা শাহী জামে মসজিদের সামনে একটি প্রতিবাদ সমাবেশ থেকে একদল লোক জেএমসেন হল পূজামণ্ডপের গেট ভেঙে ভেতরে প্রবেশের চেষ্টা চালায়। এ সময় তারা ঢিল ছুড়ে এবং পূজার ব্যানার ছিঁড়ে ফেলে। পুলিশ পুলিশ ফাঁকা গুলি ছুড়ে এবং লাঠিচার্জ করে হামলাকারীদের ছত্রভঙ্গ করে দেয়। এ ঘটনায় নির্ধারিত সময়ে প্রতিমা বিসর্জন দেওয়া যায়নি।

ঘটনার প্রতিবাদে বাংলাদেশ হিন্দু, বৌদ্ধ, খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের নেতা অ্যাডভোকেট রানা দাশগুপ্ত শনিবার (১৬ অক্টোবর) চট্টগ্রামে আধা বেলা হরতালের ডাক দেন। শনিবার সকাল থেকে চট্টগ্রাম নগরীর আন্দরকিল্লা মোড় এলাকায় সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেন হরতাল সমর্থকরা।

কেএম/এসকেডি/এইচকে