দ্বিতীয় দফায় ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ড ও মিরসরাই উপজেলার ২৫টি ইউনিয়নের ১৩ টিতেই আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় চেয়ারম্যান নির্বাচিত হতে যাচ্ছেন।

বৃহস্পতিবার ( ২১ অক্টোবর) যাচাই-বাছাই শেষে নির্বাচনের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তারা তাদের মনোনয়নপত্র বৈধ বলে ঘোষণা করেন। তাদের সঙ্গে কোনো প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী না থাকায় তারা বিনা ভোটে নির্বাচিত হতে যাচ্ছেন।

ঢাকা পোস্টকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন চট্টগ্রাম জেলা সিনিয়র নির্বাচন কর্মকর্তা জাহাঙ্গীর হোসেন। 

তিনি বলেন, আজকে (বৃহস্পতিবার) ছিল মনোনয়নপত্র যাচাই-বাছাইয়ের শেষ দিন। আইন অনুযায়ী, যাচাই-বাছাই শেষে তাদের প্রার্থিতা বৈধ ঘোষণা করা হয়। মিরসরাই ও সীতাকুণ্ড উপজেলার ২৫টি ইউনিয়নে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।এর মধ্যে ১৩ ইউনিয়নের চেয়ারম্যান পদে একক প্রার্থী হওয়ায় তাদের বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় বিজয়ী ঘোষণা করা হবে। তবে অন্যান্য পদে যথারীতি নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। 

জেলা নির্বাচন অফিস সূত্রে জানা গেছে, সীতাকুণ্ড উপজেলার সৈয়দপুর ইউনিয়নে এইচ এম তাজুল ইসলাম নিজামি, মুরাদপুর ইউনিয়নে এস এম রেজাউল করিম, কুমিরা ইউনিয়নে মো. মোরশেদ হোসেন চৌধুরী ও সোনাইছড়ি ইউনিয়নে মনির আহমদের মনোনয়নপত্র বৈধ হওয়ায় একক প্রার্থী হিসেবে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় চেয়ারম্যান নির্বাচিত হতে যাচ্ছেন।

এছাড়া মিরসরাই উপজেলার করেরহাট ইউনিয়নে এনায়েত হোসেন, ধুম ইউনিয়নে আবুল খায়ের মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর, ওসমানপুর ইউনিয়নের আওয়ামী লীগ প্রার্থী মো. মফিজুল হক, কাটাছড়া ইউনিয়নে রেজাউল করিম চৌধুরীর হুমায়ুন, মঘাদিয়া ইউনিয়নে জাহাঙ্গীর হোসাইন, মায়ানি ইউনিয়নে কবির আহমদ নিজামী, সাহেরখালী ইউনিয়নে মো. কামরুল হায়দার চৌধুরী, হাইতকান্দি ইউনিয়নে জাহাঙ্গীর কবির চৌধুরী, ইছাখালী ইউনিয়নে মো. নুরুল মোস্তফা। তারা সবাই আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী। তাদের মনোনয়ন বৈধ হওয়ায় তারা বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় চেয়ারম্যান নির্বাচিত হওয়ার পথে।

উল্লেখ্য, এ ইউনিয়নগুলোয় একক প্রার্থী হিসেবে তারাই মনোনয়ন দাখিল করেছিলেন। ২২ ও ২৩ অক্টোবর প্রার্থীরা আপিল করার সুযোগ পাবেন। আর আপিলের নিষ্পত্তি হবে ২৪ ও ২৫ অক্টোবর। আপিল নিষ্পত্তির পর বৈধ প্রার্থীরা ২৬ অক্টোবর পর্যন্ত প্রার্থিতা প্রত্যাহার করতে পারবেন। এরপর ২৭ অক্টোবর প্রতীক বরাদ্দ দেওয়া হবে। ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে ১১ নভেম্বর।

কেএম/এসকেডি