সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্য দিচ্ছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক

ভারতের সেরাম ইনস্টিটিউট উৎপাদিত অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার করোনাভাইরাসের ৫০ লাখ টিকা সোমবার (২৫ জানুয়ারি) বাংলাদেশে আসছে বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক।

রোববার (২৪ জানুয়ারি) সচিবালয়ে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে স্বাস্থ্যমন্ত্রী এ তথ্য জানান। তিনি বলেন, ‘২০ লাখ ভ্যাকসিন আমরা পেয়েছি। আগামীকাল (সোমবার) আমাদের আরও ৫০ লাখ ভ্যাকসিন আসবে আশা করছি।’

এ জন্য সব প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে জানিয়ে জাহিদ মালেক বলেন, ‘আমাদের যে জাতীয় কমিটি আছে সে কমিটিও প্রস্তুতি মোটামুটি শেষ করেছে।’ ফেব্রুয়ারিতে দ্বিতীয় চালান আসবে বলেও জানান তিনি।

মন্ত্রী বলেন, ‘ভ্যাকসিন নিতে আগ্রহীদের নিবন্ধনের জন্য তৈরি অ্যাপ সোমবার হস্তান্তর করবে আইসিটি বিভাগ। বিকেলে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে সেটির উদ্বোধন করা হবে।’

এছাড়া ভ্যাকসিনের প্রয়োগ নিয়ে যেন কোনো অনিয়ম না হয় সেজন্য স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় কমিটি সুপারিশ করেছে বলেও জানান মন্ত্রী।

সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘বেসরকারিভাবে ভ্যাকসিন আনার অনুমতি এখনও দেয়া হয়নি।‘’

কিট দিয়ে করোনাভাইরাসের (কোভিড-১৯) অ্যান্টিবডি পরীক্ষার অনুমতি দেওয়া হয়েছে বলেও এ সময় জানান তিনি। 

জাহিদ মালেক বলেন, ‘অনেক দিনের দাবি ছিল অ্যান্টিবডি পরীক্ষার বিষয়টি। আমরা এখন থেকে অ্যান্টিবডি টেস্ট করার অনুমতি দিচ্ছি। এটা অনেকেরই দাবি ছিল।’

মন্ত্রী বলেন, ‘আমরা ভ্যাকসিন দেওয়ার জন্য ৪২ হাজার কর্মীকে প্রশিক্ষণ দিচ্ছি। এর মধ্যে টেকনোলজিস্ট, নার্স, মিডওয়াইফ, ভলান্টিয়ার রয়েছে। সবমিলিয়ে ৪২ হাজার জনকে ট্রেনিং দেওয়া হচ্ছে, যারা ভ্যাকসিন দেবে।’

তিনি বলেন, ‘ভ্যাকসিন যাতে সুন্দরভাবে দেওয়া যায় সেজন্য একটি অ্যাপ তৈরি করা হচ্ছে। এ অ্যাপ তৈরি করছে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি মন্ত্রণালয় এবং আমরা সহযোগিতা করছি। অ্যাপের মাধ্যমে প্রত্যেক ব্যক্তি, যিনি ভ্যাকসিন নিতে পারবেন, তিনি নিজেকে রেজিস্টার করবেন এবং সেখানে কিছু তথ্য দেওয়ার বিষয় আছে। তথ্য দিলে রেজিস্টার্ড হয়ে যাবে। পরে তাকে একটি সময় ও জায়গা বলে দেওয়া হবে। সেখানে সময়মতো উপস্থিত হলে ভ্যাকসিন নিতে পারবেন।’

স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, ‘আমরা কাদের ভ্যাকসিন দেব সে বিষয়টি আগেও বলেছি। ভ্যাকসিনে যারা ফ্রন্টলাইনার আছেন; যেমন- ডাক্তার, নার্স, টেকনোলজিস্ট, সাংবাদিক, সেনাবাহিনী, পুলিশ, ট্রান্সপোর্ট ওয়ার্কার যারা আছেন অর্থাৎ যারা প্রথম সারিতে তারা আগে পাবেন। পাশাপাশি যারা বয়স্ক আছেন, ৫৫ বছরের ঊর্ধ্বে যারা আছেন তাদের পর্যায়ক্রমে ভ্যাকসিনটি দেওয়ার চিন্তা-ভাবনা করছি।’

এসএইচআর/এফআর