ফটিকছড়িতে পিতা-পুত্র খুনের রহস্য উন্মোচন
চট্টগ্রামের ফটিকছড়িতে পিতা-পুত্রকে হত্যার রহস্য উন্মোচন করেছে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) । এ ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে তিনজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
এর মধ্যে আসামি সালাহ উদ্দিন বুধবার (২০ অক্টোবর) চট্টগ্রামের আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন। বাকি দুই আসামি ফিরোজ ও এখলাসের তিন দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন একই আদালত।
বিজ্ঞাপন
পিবিআই চট্টগ্রাম জেলার পুলিশ সুপার নাজমুল হাসান বলেন, মঙ্গলবার (১৯ অক্টোবর) খাগড়াছড়ি ও চট্টগ্রামের ফটিকছড়ি উপজেলা থেকে তিনজনকে গ্রেফতার করা হয়।
পিবিআই জানায়, গত বছরের ২৮ সেপ্টেম্বর জমি সংক্রান্ত বিরোধের জেরে খুন হন ফটিকছড়ি কাঞ্চন নগর ইউনিয়নের বাসিন্দা ফকির আহাম্মদ (৩৩)। এ ঘটনায় তার বাবা এজাহার মিয়া (৭০) বাদী হয়ে অজ্ঞাতনামাদের আসামি করে ফটিকছড়ি থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। কিন্তু দীর্ঘ ৮ মাসেও ফকির আহমদ হত্যাকাণ্ডের রহস্য উদ্ঘাটন না হওয়ায় এজাহার মিয়া মামলাটি তদন্তের জন্য পিবিআইয়ের নিকট হস্তান্তরের সিদ্ধান্ত নিন। এ বিষয়ে তিনি কয়েকজনের সঙ্গে কথা বলেন। বিষয়টি আসামিরা জেনে যায়। মামলার দায়িত্ব পিবিআইয়ের কাছে গেলে ঘটনার রহস্য উন্মোচন হয়ে যাবে এ চিন্তা থেকে এজাহার মিয়াকেও খুনের পরিকল্পনা করে তারা। এরই ধারাবাহিকতায় ২৪ জুন এজাহার মিয়াকেও খুন করে তারা। এ ঘটনায় নিহতের স্ত্রী নাছিমা বেগম বাদী হয়ে ফটিকছড়ি থানায় অজ্ঞাতনামাদের আসামি করে আরেকটি মামলা করেন।
পুলিশ কর্মকর্তা নাজমুল হাসান বলেন, পুলিশ সদর দফতরের নির্দেশে এজাহার হত্যা মামলার তদন্ত শুরু করে পিবিআই চট্টগ্রাম জেলা ইউনিট। গত ২৮ সেপ্টেম্বর তদন্ত কার্যক্রম শুরু করেন পিবিআইয়ের এসআই কামাল আব্বাস। এরই ধারাবাহিকতায় উভয় মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই মো. কামাল আব্বাস মঙ্গলবার তিন আসামিকে গ্রেফতার করেন। এর মধ্যে একজন আদালতে জবানবন্দি দিয়েছেন।
পুলিশ সুপার বলেন, আসামিদের দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত ২টি ধারালো দা উদ্ধার করা হয়েছে। বর্তমানে মামলা দুইটি পিবিআই তদন্ত করছে।
কেএম/ এসকেডি