কয়েদির নারীসঙ্গ: কাশিমপুর কারাগারের ২ কর্মকর্তা প্রত্যাহার
নিয়ম ভেঙে গাজীপুরের কাশিমপুর কারাগারে (কারাগার-১) হলমার্ক কেলেঙ্কারির সাজাপ্রাপ্ত বন্দি তুষারের নারীর সঙ্গে সময় কাটানোর ঘটনায় সিনিয়র জেল সুপার রত্না রায় এবং জেলার নুর মোহাম্মদকে প্রত্যাহার করা হয়েছে।
রোববার (২৪ জানুয়ারি) তাদের প্রত্যাহারের তথ্য ঢাকা পোস্টকে নিশ্চিত করেছেন আইজি প্রিজন্স ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. মোমিনুর রহমান মামুন।
বিজ্ঞাপন
তিনি বলেন, তদন্তের স্বার্থে তাদের বদলি করে কারা অধিদপ্তরে সংযুক্ত করা হয়েছে।
নারীসঙ্গের ব্যবস্থা করিয়ে দেওয়ার অভিযোগে এর আগে একই কারাগারের তিন জনকে প্রত্যাহার করা হয়েছে। তারা হলেন- কাশিমপুর কেন্দ্রীয় কারাগারের ডেপুটি জেলার মোহাম্মদ সাকলাইন, সার্জেন্ট আব্দুল বারী ও সহকারী প্রধান কারারক্ষী খলিলুর রহমান।
সম্প্রতি একটি গণমাধ্যমের সংবাদে কারাগারে থাকা হলমার্ক গ্রুপের মহাব্যবস্থাপক তুষার আহমদকে কারা কর্মকর্তাদের কক্ষেই নারীসঙ্গের ব্যবস্থা করে দেওয়ার সিসিটিভি ফুটেজসহ সংবাদ সম্প্রচার করা হয়। ঘটনাটি এ বছরের ৬ জানুয়ারির।
ওই ঘটনায় গাজীপুর জেলা প্রশাসন ও কারা অধিদপ্তর পৃথক কমিটি গঠন করে। জানা গেছে, কমিটির সুপারিশেই তিন জনকে প্রত্যাহার করা হয়েছে।
কারাগারের সিসিটিভি ফুটেজে দেখা গেছে, গত ৬ জানুয়ারি কারাগারে প্রবেশ পথে কর্মকর্তাদের কার্যালয় সংলগ্ন এলাকায় কালো রঙের জামা পরে স্বাচ্ছন্দ্যে ঘোরাফেরা করছেন ঋণ কেলেঙ্কারির সঙ্গে জড়িত হলমার্কের মহাব্যবস্থাপক তুষার আহমেদ।
তিনি সেখানে আসার কিছু সময় পর বাইরে থেকে বেগুনি রঙের সালোয়ার কামিজ পরা এক নারী সেখানে প্রবেশ করেন। দুপুর ১২টা ৫৫ মিনিটে কারাগারের দুই যুবকের সঙ্গে ওই নারী কারা কর্মকর্তাদের কক্ষ এলাকায় প্রবেশ করেন। তাকে সেখানে অভ্যর্থনা জানান খোদ ডেপুটি জেলার সাকলায়েন। ওই নারী সেখানে প্রবেশ করার পর অফিস থেকে বেরিয়ে যান ডেপুটি জেলার সাকলায়েন। ১০ মিনিট পর কারাগারে বন্দি তুষার আহমদকে সেখানে আনা হয়।
এআর/এসএম