ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) মেয়র আতিকুল ইসলাম বলেছেন, অভিজাত এলাকার অনেক বাড়িতে সেপটিক ট্যাংক নেই। আগামী ৬ মাসের মধ্যে এসব ভবনে কার্যকর সেপটিক ট্যাংক নিশ্চিত করতে না পারলে প্রয়োজনীয় আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

মঙ্গলবার (১৯ অক্টোবর) রাজধানীর গুলশান-বনানী এলাকায় পয়ঃবর্জ্য নিষ্কাশন সংশ্লিষ্ট কার্যক্রম সরেজমিনে পরিদর্শনকালে তিনি একথা বলেন।

ডিএনসিসি মেয়র বলেন, আজ পরিদর্শনকালে বনানীর ১৮ নম্বর রোডের ২৩, ৪২ ও ৪৪ নম্বর বাড়ির কোনোটিতেই সেপটিক ট্যাংক পাওয়া যায়নি। ইতোমধ্যে পরিদর্শনকৃত ২১টি ভবনের কোনটিতেই সেপটিক ট্যাংক কিংবা সোক ওয়েল কিছুই ছিল না। অপরিকল্পিত ঢাকার অসংখ্য বাসাবাড়ি এমনকি গুলশান, বনানী ও বারিধারার মতো অভিজাত এলাকার অধিকাংশ ভবনেই কার্যকর সেপটিক ট্যাংক ও সোক ওয়েল না থাকায় অপরিশোধিত পয়ঃবর্জ্য সরাসরি ড্রেন কিংবা খালে পতিত হওয়ায় জলাশয়ের পানিসহ সার্বিক পরিবেশ দূষিত হচ্ছে।

তিনি বলেন, নগরীর বাসাবাড়িগুলোতে আধুনিক সেপটিক ট্যাংক ও সোক ওয়েল স্থাপন করতে হবে এবং পরিশোধন ব্যবস্থা সচল রাখতে হবে। জনসচেতনতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে ডিএনসিসির পক্ষ থেকে একটি ডিজিটাল প্রদর্শনীর আয়োজন করা হবে।

এর আগে মেয়র আতিকুল ইসলাম ‘রাজধানীর নিরাপদ স্যানিটেশন : ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশন’ শীর্ষক গোলটেবিল বৈঠকে তিনি বলেন, নগরসহ দেশকে রক্ষা করার দায়িত্ব সকলের, নিজ নিজ অবস্থান থেকে এ বিষয়ে সকলকে দায়িত্ব পালন করতে হবে, সমাজের সর্বস্তরের মানুষকে এগিয়ে আসতে হবে।

ডিএনসিসি মেয়র বলেন, যেসব ভবনে রেইন ওয়াটার হার্ভেস্টিংয়ের ব্যবস্থা থাকবে, সেসব ভবন মালিকদের ১০ শতাংশ হোল্ডিং কর রেয়াত দেওয়া হবে।

অপরিকল্পিত ঢাকাকে সবাই মিলে বাসযোগ্য সুস্থ, সচল ও আধুনিক ঢাকায় রূপান্তরিত করতে হবে।

এএসএস/এনএফ/জেএস