অবৈধ সম্পদের মামলায় আসামি প্রকৌশলী, তার স্ত্রী ও শ্যালক
ঘুষ ও দুর্নীতির মাধ্যমে সোয়া ছয় কোটি টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে স্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদফতরের সাবেক তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী মো. নজরুল ইসলামসহ তিনজনের বিরুদ্ধে মামলা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
মঙ্গলবার (১৯ অক্টোবর) কমিশনের সমন্বিত জেলা কার্যালয় ঢাকা-১ এ দুদকের উপপরিচালক আশীষ কুমার কুণ্ডু বাদী হয়ে মামলা করেন। সংস্থার জনসংযোগ কর্মকর্তা (উপপরিচালক) মুহাম্মদ আরিফ সাদেক এ তথ্য জানিয়েছেন।
বিজ্ঞাপন
মামলার অপর দুই আসামি হলেন- প্রকৌশলী নজরুল ইসলামের স্ত্রী সৈয়দা তামান্না শাহেরীন ও অবৈধ সম্পদ অর্জনে সহযোগী তামান্নার ভাই সৈয়দ হাসান শিবলী।
এজাহারে বলা হয়, দুদকের অনুসন্ধানে আসামি নজরুল ইসলামের স্থাবর ও অস্থাবর সম্পদ হিসেবে আট কোটি ৩৮ লাখ ১৩ হাজার ৯৩৭ টাকার সম্পদের তথ্য পাওয়া যায়। এর মধ্যে দুই কোটি ৩৮ লাখ ১৩ হাজার ৯৩৭ টাকা তার বেতনভাতা, চাকরি জীবনের সঞ্চয়, আগের আয় ও ব্যাংক সুদ হিসেবে পাওয়া গণ্য করা হলেও ছয় কোটি টাকা জ্ঞাত আয় বহির্ভূত সম্পদ থাকার প্রমাণ পায় দুদক।
মামলায় আরও বলা হয়, ইস্টার্ন ব্যাংকের প্রিন্সিপাল শাখায় নজরুল ইসলাম ২০১৯ সালের ৬ জানুয়ারি একই বছরের ১ ডিসেম্বর পর্যন্ত এক বছরে ১৪টি এফডিআর হিসাবে মোট আট কোটি টাকা নগদ জমা করেছেন। এছাড়াও তার নামে যমুনা ব্যাংকের বৈদেশিক বাণিজ্য শাখার ব্যাংক হিসাবে আট লাখ ৭৪ হাজার ৫৩৭ টাকা জমার তথ্য পাওয়া যায়।
ব্যাংকে আট কোটি টাকা নগদ জমা হওয়ার বিষয়ে কোনো গ্রহণযোগ্য বক্তব্য, ব্যাখ্যা, তথ্য-প্রমাণ এবং রেকর্ডপত্র নজরুল ইসলাম উপস্থাপন করতে পারেননি বলে মামলায় উল্লেখ করা হয়।
এজাহারে বলা হয়, একজন সরকারি কর্মচারীর নামে ব্যাংক হিসাবে আট কোটি টাকা নগদ জমা হওয়ার বিষয়ে কোনো ব্যাখ্যা না থাকায় এ অর্থ ঘুষ ও দুর্নীতিলব্ধ এবং এর অবৈধ উৎস গোপন করার লক্ষ্যে নগদ জমার মাধ্যমে এফডিআর করে মানিলন্ডারিং করা হয়েছে মর্মে প্রতীয়মান হয়।
এসব বিষয় যাচাই-বাছাই করে নজরুল ইসলামের নামে ছয় কোটি ১৭ লাখ টাকার জ্ঞাত আয় বহির্ভূত সম্পদ পাওয়া গেছে। এসব অর্থ গোপন করে পরবর্তীতে ব্যাংকে জমা করতে তামান্না শাহেরীন ও হাসান শিবলী সহযোগিতা করেছেন বলে মনে করছে দুদক।
আরএম/ওএফ/জেএস