পল্লবীর পুরনো ভিডিও ছড়িয়ে ‘হিন্দুদের ওপর নির্যাতনের’ গুজব
মিরপুর পল্লবীর ডি ব্লকে গত ১৬ মে বিকেলে সাহিনুদ্দীন নামে এক ব্যক্তিকে চাপাতি-রামদা দিয়ে এলোপাতাড়ি কোপানোর ঘটনায় ঘটনাস্থলেই তার মৃত্যু হয়। মৃত্যুর দিন রাতেই ফেসবুকে ভাইরাল হয় সেই ভিডিও। ঘটনার ৪ দিনের মধ্যে হত্যাকাণ্ডে জড়িত সব আসামিকে আটক করে র্যাব ও পুলিশ।
তবে এই বীভৎস ভিডিওকে কাজে লাগিয়ে দেশের অরাজক পরিস্থিতি সৃষ্টি করলো নাশকতাকারীরা। ‘বাংলাদেশের নোয়াখালীর পূজা মন্ডপে হিন্দু মহাজোটকর্মী যতন সাহা হত্যা।’
বিজ্ঞাপন
আইন শৃঙ্খলারক্ষাকারী বাহিনী বলছে, মূলত এ ভিডিওটি ছড়িয়ে মুসলমান ও হিন্দুদের মধ্যে বিভেদ সৃষ্টি করার চেষ্টা করছে একটি কুচক্রী মহল। এরই ফলশ্রুতিতে ঘটেছে কুমিল্লা, চাঁদপুর, নোয়াখালী ও রংপুরের মতো নাশকতার ঘটনা। শিগগিরই এসব গুজব ছড়ানো ব্যক্তিদের শনাক্ত করা হবে।
আরও পড়ুন: পল্লবীতে প্রকাশ্যে কুপিয়ে হত্যার আরেক আসামি বন্দুকযুদ্ধে নিহত
পুলিশ সদর দফতরের সহকারী মহাপরিদর্শক (এআইজি-মিডিয়া অ্যান্ড পাবলিক রিলেশনস) মো. কামরুজ্জামান জানান, সাম্প্রতিক সময়ে দেশে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বিনষ্ট করতে কতিপয় ব্যক্তি/গোষ্ঠী উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে গুজব ও বিভ্রান্তি ছড়িয়ে অস্থিতিশীল পরিস্থিতি সৃষ্টির অপচেষ্টা করছে। অনেক ক্ষেত্রে চক্রান্তকারীরা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের পোস্ট কিংবা বিভিন্ন তথ্য বিকৃত বা অপব্যাখ্যা করে তা বিভিন্ন মাধ্যমে ছড়িয়ে সংঘাতমূলক পরিস্থিতি সৃষ্টির অপচেষ্টায় লিপ্ত রয়েছে। বাংলাদেশ পুলিশের সংশ্লিষ্ট ইউনিটসমূহ বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে গুজব সৃষ্টিকারীদের মনিটর করছে এবং তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ অব্যাহত রয়েছে। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমসহ যে কোনো মাধ্যমে বিভ্রান্তি না ছড়াতে এবং অযাচাইকরা সংবাদ বিশ্বাস না করতে সবার প্রতি বিশেষভাবে অনুরোধ করা হচ্ছে।
এদিকে গুজব ছড়িয়ে পুজামণ্ডপসহ বিভিন্ন স্থানে হামলার মাধ্যমে দেশে অস্থিতিশীল পরিবেশ সৃষ্টির অভিযোগে সারাদেশে মোট ৭১টি মামলা হয়েছে। এছাড়া এসব ঘটনায় ৪৫০ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
এআর/এসএম