সকালে লিখিত, বিকেলে ভাইভা, রাতে নিয়োগের সুপারিশ
ঢাকা জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে রাজস্ব প্রশাসনের আওতাধীন ‘অফিস সহায়ক’ পদে শনিবার সকালে লিখিত এবং বিকেলে মৌখিক পরীক্ষা (ভাইভা) অনুষ্ঠিত হয়। রাতে এ পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশ করা হয়েছে। ফলাফলে ১১টি শূন্য পদে ১১ জনকে নিয়োগের জন্য সুপারিশ করা হয়েছে।
শনিবার (১৬ অক্টোবর) রাতে রেভিনিউ ডেপুটি কালেক্টর আসফিয়া সিরাত স্বাক্ষরিত এক নোটিশে এ তথ্য জানানো হয়।
বিজ্ঞাপন
নোটিশটি ঢাকা জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের ফেসবুক পেজেও শেয়ার করা হয়েছে। দ্রুত ফলাফল দেওয়ার কারণে অনেকে এ উদ্যোগের প্রশংসা করছেন।
মো. আকতারউজ্জামান আজাদ নামের একজন ফেসবুক ব্যবহারকারী লিখেছেন, ‘এত তাড়াতাড়ি নিয়োগ হলে দুর্নীতি কম হয়।’
মাধবর সবুজ নামের এক ব্যক্তি লিখেন, ‘প্রতিটি নিয়োগ যদি এমন হতো তাহলে দুর্নীতি জিরোর কোটায় চলে আসত।’
অন্যদিকে প্রবেশপত্র না পাওয়ার অভিযোগ করে এ নিয়োগের বিষয়ে প্রশ্ন তুলেছেন কয়েকজন। ফয়সাল আহমেদ নামের একজন লিখেছেন, ‘হাস্যকর। এডমিট কার্ড পেল না অনেকে। জানল না কবে কখন পরীক্ষা। ফলাফল হয়ে গেল। একদিনেই কাহিনি শেষ।’
ফেরদৌস হাসান ওমি লেখেন, ‘আমার ছোট ভাইয়ের কার্ড আসেনি। আগেরবারও কার্ড আসেনি। ডিসি অফিসে গিয়ে দায়িত্বরতদের সঙ্গে কথা বললে বিভাগীয় কমিশনার অফিসে গিয়ে কথা বলতে বা জানাতে বলে। তারা বলেছে আপনার প্রার্থীর আবেদনে কোথাও কোনো ভুল হয়েছে। আমি আবেদন কপিসহ দেখালাম। সে আমাকে দূর দূর করে তাড়িয়ে দিল। আমি বললাম আপনি আমার সঙ্গে এমনটা করতে পারেন না। পরবর্তীতে ডেপুটি রেভিনিউ কর্মকর্তার কাছে গেলাম। উনি আমাকে বুঝিয়ে বললেন তাদের কিছু করার নেই। আমি বললাম স্যার আমি জীবনেও এমনটি দেখিনি। কোনো প্রার্থী এডমিট কার্ড না পেলে আবেদনের মাধ্যমে বিকল্প ব্যবস্থা থাকে। তখন আমার বুঝতে বাকি রইল না, সবকিছু আগে হতে ফিক্স। এ হচ্ছে তাদের অবস্থা। কোনো নিয়োগের আগে যাচাই-বাছাই হয়ে নির্বাচিত প্রার্থীদের তালিকা থাকে। তারা সেটাও আমাকে দেখায়নি। আমি নিরুপায় হয়ে আল্লাহর কাছে বিচার দিয়ে চলে আসলাম।’
এসএইচআর/এসএসএইচ