সকলের জন্য নিরাপদ ও পুষ্টিকর খাদ্যের নিশ্চয়তায় মানসম্মত পদ্ধতিতে ফসল উৎপাদনে কৃষি মন্ত্রণালয় কাজ করছে বলে জানিয়েছেন কৃষিমন্ত্রী ড. মো. আব্দুর রাজ্জাক।
 
শনিবার (১৬ অক্টোবর) বিকেলে ঢাকার হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টালে বিশ্ব খাদ্য দিবস উপলক্ষে ‘ভালো উৎপাদনে ভালো পুষ্টি, আর ভালো পরিবেশেই উন্নত জীবন’ শীর্ষক কারিগরি সেশনে তিনি এ তথ্য জানান। কৃষি মন্ত্রণালয় ও জাতিসংঘের খাদ্য ও কৃষি সংস্থা (এফএও) এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে কৃষিমন্ত্রী বলেন, ইতোমধ্যে উত্তম কৃষি চর্চা মেনে উৎপাদন কার্যক্রম শুরু হয়েছে। এটি মেনে ফসল উৎপাদিত হলে খাবারের পুষ্টিমান যেমন অক্ষুণ্ন থাকবে, পরিবেশেরও ক্ষতি হবে না।

ড. আব্দুর রাজ্জাক বলেন, দেশে পুষ্টিকর খাবারের অভাব নেই। কিন্তু সমস্যা হলো বেশিরভাগ মানুষ তা কিনতে পারে না। কারণ, মানুষের আয় সীমিত। সেজন্য মানুষের আয় বাড়াতে হবে। আর এটি করতে হলে কৃষিকে লাভজনক ও আধুনিকায়নের মাধ্যমে গ্রামীণ কৃষিজীবী বৃহৎ জনগোষ্ঠীর জীবনমানকে উন্নত করতে হবে।

তিনি জানান, এ লক্ষ্যে সরকার কৃষি যান্ত্রিকীকরণ, বাণিজ্যিকীকরণ ও প্রক্রিয়াজাতে কার্যকর উদ্যোগ গ্রহণ ও বাস্তবায়ন করে যাচ্ছে। কৃষিপণ্য রফতানি বৃদ্ধি ও উচ্চমূল্যের অর্থকরী ফসল উৎপাদনে গুরুত্বারোপ করা হচ্ছে।

এফএওর মহাপরিচালক কিউ দোংয়ু ভিডিও বার্তার মাধ্যমে সেমিনারে বক্তব্য রাখেন। তিনি বলেন, কোভিড মহামারির বিরূপ পরিস্থিতির মধ্যে খাদ্য দিবস পালিত হচ্ছে। এই চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করে বিশ্বব্যাপী মানুষের খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে একটি রেজিলিয়েন্ট, ইনক্লুসিভ ও সাসটেইনেবল কৃষি ব্যবস্থা গড়ে তুলতে হবে।

অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন কৃষি মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মো. মেসবাহুল ইসলাম। বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন খাদ্যসচিব ড. মোছাম্মৎ নাজমানারা খানুম। অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা কাউন্সিলের নির্বাহী চেয়ারম্যান ড. শেখ মোহাম্মদ বখতিয়ার, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মো. আসাদুল্লাহ, এফএওর বাংলাদেশ প্রতিনিধি রবার্ট ডি. সিম্পসন, মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মো. তৌফিকুল আরিফ, খাদ্য ও পুষ্টি বিজ্ঞান ইনস্টিটিউটের পরিচালক ড. খালেদা ইসলাম, আইসিডিডিআরবির নির্বাহী পরিচালক ড. তাহমিদ আহমেদ, বাকৃবির সাবেক উপাচার্য ড. সাত্তার মণ্ডল।

সেমিনারে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপনা করেন গ্লোবাল অ্যালায়েন্স ফর ইমপ্রুভড নিউট্রিশনের (গেইন) নির্বাহী পরিচালক ড. লরেন্স হাদ্দাদ। প্রবন্ধে বলা হয়, কোভিডের প্রভাবে বিশ্বব্যাপী অপুষ্টি, দারিদ্র্য ও খাদ্য পণ্যের দাম উল্লেখযোগ্য হারে বৃদ্ধি পাচ্ছে। করোনার কারণে অপুষ্টিতে ২০২২ সালের মধ্যে অতিরিক্ত ১২ মিলিয়ন খর্বাকৃতি শিশু ও ১৩ মিলিয়ন কৃশকায় শিশু যুক্ত হতে পারে। অথচ করোনার আগে দুটোই পর্যায়ক্রমে কমছিল। 

একে/এইচকে