চট্টগ্রামের জেএমসেন হলের পূজামণ্ডপে হামলার চেষ্টা ও ব্যানার-পোস্টার ছেঁড়াসহ পুলিশের ওপর হামলার অভিযোগে ৮৩ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। 

ঢাকা পোস্টকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন কোতোয়ালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নেজাম উদ্দীন। তিনি বলেন, ভিডিও ফুটেজ দেখে শুক্রবার বিকেল থেকে শনিবার পর্যন্ত অভিযান চালিয়ে ৮৩ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। অভিযান অব্যাহত রয়েছে। অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে পুলিশ প্রস্তুত রয়েছে।

তিনি জানান, চট্টগ্রামের জেএমসেন হলে পূজামণ্ডপে হামলার ঘটনায় ৮৩ জনের নাম উল্লেখ করে কোতোয়ালী থানায় মামলা দায়ের হয়। এছাড়া অজ্ঞাতনামা আরও অন্তত পাঁচশ জনকে আসামি করা হয়েছে। শনিবার (১৬ অক্টোবর) সকালে কোতোয়ালী থানার এসআই আকাশ মাহমুদ ফরিদ বাদী হয়ে বিশেষ ক্ষমতা আইনে মামলাটি দায়ের করেছেন। 

তিনি আরও বলেন, এই ঘটনায় যারা জড়িত আছে সবাইকে আইনের আওতায় আনা হবে। এছাড়া এই ঘটনাটার নেপথ্যে কারা তা আসামিদের জিজ্ঞাসাবাদে বের করা হবে। 

এর আগে শুক্রবার (১৫ অক্টোবর) দুপুরে জুমার নামাজের পর আন্দরকিল্লা শাহী জামে মসজিদের সামনে একটি প্রতিবাদ সমাবেশ থেকে একদল লোক জেএমসেন হল পূজামণ্ডপের গেট ভেঙে ভেতরে প্রবেশের চেষ্টা চালায়। এ সময় তারা ঢিল ছুড়ে এবং পূজার ব্যানার ছিঁড়ে ফেলে। পুলিশ পুলিশ ফাঁকা গুলি ছুড়ে এবং লাঠিচার্জ করে হামলাকারীদের ছত্রভঙ্গ করে দেয়। এ ঘটনায় নির্ধারিত সময়ে প্রতিমা বিসর্জন দেওয়া যায়নি।

ঘটনার প্রতিবাদে বাংলাদেশ হিন্দু, বৌদ্ধ, খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের নেতা অ্যাডভোকেট রানা দাশগুপ্ত শনিবার (১৬ অক্টোবর) চট্টগ্রামে আধাবেলা হরতালের ডাক দেন। শনিবার সকাল থেকে চট্টগ্রাম নগরীর আন্দরকিল্লা মোড় এলাকায় সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেন হরতাল সমর্থকরা। এ সময় তারা বিভিন্ন স্লোগান দেন। এ সময় আন্দরকিল্লা মোড় এলাকায় যানবাহন চলাচল বন্ধ ছিল। তবে চট্টগ্রাম নগরীর ও জেলার অন্যান্য স্থানে যান চলাচল স্বাভাবিক ছিল। কোথাও কোনো অপ্রীতিকর ঘটনার খবর পাওয়া যায়নি।

কেএম/এইচকে