সেপটিক ট্যাংক নিশ্চিতকরণে বাড়িওয়ালাদের বাধ্য করতে হবে
ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস বলেছেন, ঢাকা শহরের ৯৫ শতাংশ বাড়িতে সেপটিক ট্যাংক ও ৯৯.৯৯ শতাংশ বাড়িতে সোক ওয়েল নেই। বাড়ির মালিকদের সেগুলো নিশ্চিত করার জন্য উদ্যোগ গ্রহণে বাধ্য করতে হবে।
শনিবার (১৬ অক্টোবর) রাজধানীর প্যান প্যাসিফিক সোনারগাঁও হোটেলের বলরুমে স্থানীয় সরকার বিভাগ ও ওয়াটার এইড বাংলাদেশের উদ্যোগে স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী ও মুজিব শতবর্ষ উপলক্ষে আয়োজিত ‘পানি সরবরাহ, স্যানিটেশন ও হাইজিন (ওয়াশ) সেক্টরে ৫০ বছরের অর্জন ও ভবিষ্যৎ করণীয়’ শীর্ষক সেমিনারে তিনি এ কথা বলেন।
বিজ্ঞাপন
মেয়র বলেন, স্থানীয় সরকার (সিটি করপোরেশন) আইন ২০০৯-এ ইমারত নির্মাণ ও পুনর্নির্মাণের আবেদন ও অনুমতি সিটি করপোরেশনের কাছ থেকে নিতে হবে বলে উল্লেখ আছে। কিন্তু আজ অবধি সেটা রাজউক দিয়ে থাকে। আমরা একটি নীতিমালা প্রণয়ন করে মন্ত্রণালয়ে প্রেরণ করেছি। মন্ত্রণালয় সেটা পর্যালোচনা করছে। আমি আশাবাদী যে, ডিসেম্বরের মধ্যে সেটা পেয়ে যাব। পেয়ে গেলে আগামী বছর থেকে সেটা বাস্তবায়ন করব। যতক্ষণ পর্যন্ত বসতবাড়ি, আবাসনগুলো নিজস্ব সেপটিক ট্যাংক ও সোক ওয়েল স্থাপনা বা নির্মাণ না করবে আমরা সেগুলোর কোনো অনুমতি দেবো না। সেটা যত বড় অট্টালিকার ডেভেলপার কোম্পানিই হোক অথবা ছোটখাটো ঘরই হোক।
ঢাকামুখী অভিবাসন রোধ করা না গেলে যত পরিকল্পনায় নেওয়া হোক তা কার্যকর হবে না বলে মন্তব্য করে মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস বলেন, ঢাকা আজ ২ কোটি ১০ লাখ মানুষের শহর। ২০৩০ সালে কি এটা ৩ কোটি হবে? ২০৪১ সালে কি ৫ কোটি হবে? তাহলে কিন্তু সমস্যার সমাধান হবে না। আমাদেরকে আগে ২ কোটি ১০ লাখ মানুষের সকল নাগরিক সুবিধা, উন্নত ঢাকার সুবিধা নিশ্চিত করতে হবে। সেজন্য আমাদেরকে দেশের গ্রামগুলোতে চাকরি, কর্মসংস্থান ও অন্যান্য সুযোগ-সুবিধা নিশ্চিত করতে হবে। যখন ঢাকার দিকে এই গতি (গ্রাম হতে শহরে অভিবাসন) রোধ করতে পারব, তখনই আমরা ২০৩০ সালে ঢাকার ২ কোটি ১০ লাখ মানুষের যথার্থ সুযোগ-সুবিধা নিশ্চিত করতে পারব। কিন্তু আমরা যদি ধরেই নিই যে, ঢাকার দিকে এই অভিবাসনের গতি চলতে থাকবে, তাহলে আমরা যতই পরিকল্পনা করি না কেন, ২০৩০ সালে গিয়ে দেখা যাবে আমাদের কোনো পরিকল্পনাই কার্যকর হয়নি।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দেওয়া রূপরেখা আলোকেই কেবল ঢাকামুখী অভিবাসন রোধ করা যাবে উল্লেখ করে শেখ তাপস বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ‘গ্রাম হবে শহর’ স্লোগানে যে পথনকশা আমাদের দিয়েছেন তা যদি সঠিকভাবে, সুনির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে আমরা বাস্তবায়ন করতে পারি, তবে অভিবাসনের এই গতি রোধ করা যাবে। ২০৩০ সালের মধ্যে ঢাকাবাসীর জন্য উন্নত নাগরিক সেবা নিশ্চিত করা যাবে।
স্থানীয় সরকার বিভাগের সিনিয়র সচিব হেলালুদ্দীন আহমদের সভাপতিত্বে সেমিনারে আরও উপস্থিত ছিলেন পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রী তাজুল ইসলাম, ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের মেয়র আতিকুল ইসলাম প্রমুখ।
এএসএস/এইচকে