করোনা মহামারির প্রাদুর্ভাব শুরু হওয়ার পর থেকে বিগত ২০ মাসের ১ হাজার ৬শ'র বেশি ভার্চুয়াল সভায় অংশ নিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। আগামী ১২ ডিসেম্বর আওয়ামী লীগ সরকারের ডিজিটাল বাংলাদেশ ঘোষণার এক যুগপূর্তি হতে যাচ্ছে। ডিজিটাল বাংলাদেশে গড়ার অগ্রগতির চিত্র থেকে এমন তথ্য জানা গেছে। 

সরকারের তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের তথ্য অনুযায়ী, বর্তমানে ৬৪ জেলার ৪৮৭টি উপজেলায় ভিডিও কনফারেন্সিং সিস্টেমের অধিনে ১৮ হাজার ৪৩৪ টি সরকারি অফিস সংযুক্ত রয়েছে। রয়েছে ৮৮৩টি ভিডিও কনফারেন্সিং সিস্টেম। ২ হাজার ৬০০ ইউনিয়ন পরিষদের পাশাপাশি ১ হাজার পুলিশ স্টেশন সংযুক্ত রয়েছে ভিডিও কনফারেন্সিং সিস্টেমে। 

তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের একটি তুলনামূলক তথ্যচিত্র থেকে জানা যায়, দেশে বর্তমানে ১২ কোটি ৫০ লাখ ইন্টারনেট ব্যবহারকারী রয়েছে; ২০০৮ সালে যা ছিল ৫০ হাজারের কম। ২০০৮ সালে একটিও সরকারি ই-সেবা না থাকলেও বর্তমানে ১ হাজার ২৩২ টি সরকারি সেবা পাওয়া যাচ্ছে অনলাইনে। একই সঙ্গে ৫০ হাজার থেকে উন্নীত হয়ে বর্তমানে ১৫ লাখ মানুষের কর্মসংস্থান হয়েছে আইসিটি খাতে। ২৬ মিলিয়ন থেকে উন্নীত হয়ে বর্তমানে আইসিটি শিল্প থেকে ১ বিলিয়ন ডলার আয় হচ্ছে। 

তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনায়েদ আহমেদ পলক বলেন, ২০২৫ সালের মধ্যে ৩০ লাখ তরুণ-তরুণীর কর্মসংস্থান, সবার জন্য ইন্টারনেট, শতভাগ সেবা ডিজিটাল পদ্ধতিতে ও ৫ বিলিয়ন ডলারের আইসিটি রফতানির লক্ষ্যমাত্রা নিয়ে আমরা কাজ করে যাচ্ছি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে। প্রধানমন্ত্রীর তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিষয়ক উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয় এ পরিকল্পনার রূপকার। 
 
পলক বলেন, আমাদের ডিজিটাল পদ্ধতি থাকায় গত বছরের করোনা মহামারী শুরু পর থেকে এ পর্যন্ত ১৬ হাজারের বেশি ভার্চুয়াল মিটিং করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। 

এইউএ/এসএম