এক মাসে টানা তিন দিন ইন্টারনেট সেবা বিচ্ছিন্ন থাকলে ওই মাসের বিল গ্রাহকের কাছ থেকে নেওয়া যাবে না। এছাড়া মাসে একদিন ইন্টারনেট সেবা বিচ্ছিন্ন থাকলে মাসিক বিলের ৫০ ভাগ ও দুইদিন অব্যাহতভাবে বিচ্ছিন্ন থাকলে ২৫ ভাগ বিল নিতে হবে।

সম্প্রতি বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন (বিটিআরসি) ইন্টারনেট সার্ভিস প্রোভাইডারদের (আইএসপি) প্রতি এ নির্দেশেনা দিয়েছে। বিটিআরসির সিস্টেম অ্যান্ড সার্ভিস বিভাগের মহাপরিচালক ব্রি. জেনারেল মো. নাসিম পারভেজ স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য উল্লেখ করা হয়েছে।

বিটিআরসি জানায়, সারাদেশে ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট সেবা দেওয়ার লক্ষ্যে সকল ধরনের আইএসপিদের জন্যে ট্যারিফ ও সংশোধিত গ্রেড অব সার্ভিস (জিওএস) এ নিয়ম করা হয়েছে।

সূত্র জানায়, সরকারের নির্বাচনী ইশতেহার ২০১৮ প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী ইন্টারনেট ও মোবাইল ব্যবহারের মূল্য যুক্তিসঙ্গত পর্যায়ে নামিয়ে আনা হবে। এ লক্ষ্যে একটি বাস্তব সম্মত এবং গ্রাহকবান্ধব ইন্টারনেট প্রণয়নে সারা দেশের জন্য এক দেশ এক রেট জারি করা হয়।

গ্রাহক সেবা ও সেবার মান নিশ্চিতে প্রয়োজনীয় পেনাল্টি শর্তসহ কোয়ালিটি সার্ভিস অ্যান্ড এক্সপেরিয়েন্সকে বিবেচনায় নিয়ে প্রতিটি সেবার মান নির্ধারণের গ্রেট অফ সার্ভিস দেওয়া হয়। এ বিষয়ে ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগ নির্দেশনা অনুযায়ী কমিশনের সিদ্ধান্ত মোতাবেক অপরিবর্তিত রেখে অনুমোদন ইন্টারনেটের বিল নির্ধারিত করে দেওয়া হয়।

এতে বলা হয়েছে, সারাদেশের সবখানে ৫০০ এমবিপিএস ব্যান্ডউইথের দাম ৫০০ টাকা, ১০ এমবিপিএস ৮০০ টাকা এবং ২০ এমবিপিএস ১২শ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।

গ্রাহক সেবা ও সেবার মান নিশ্চিত প্রয়োজনীয় প্যানাল্টিসহ কোয়ালিটি অফ সার্ভিস অ্যান্ড এক্সপেরিয়েন্স বিবেচনায় নিয়ে প্রতিটি সেবার মান ঠিক রাখতে আইএসপি বাধ্য থাকবে।

কমিশন হতে অনুমোদিত আইএসপির নিজস্ব ওয়েবসাইটে প্রকাশ করতে হবে। কোনো প্রকার পরিবর্তন বা সংযোজন গ্রহণযোগ্য হবে না। নিয়ম ছাড়া প্রোডাক্ট পরিচালনা করলে বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ আইনের আওতায় ওই প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে কমিশন আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

গ্রাহক অভিযোগের অভিযোগ দ্রুততার সাথে সমাধান করতে হবে। গ্রাহক কর্তৃক কোন অভিযোগ পেলে বিটিআরসি প্রয়োজনীয় আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহণ করবে। গ্রাহকের অভিযোগ সমাধানের তথ্য কমপক্ষে ছয় মাসের জন্য সংরক্ষণ করতে হবে।

একে/এইচকে