ই-সিগারেট নিয়ন্ত্রণে নীতিমালা প্রণয়নের দাবি
বিশ্বের বিভিন্ন দেশের মতো নীতিমালা প্রণয়ন বা বিদ্যমান তামাক নিয়ন্ত্রণ আইন সংশোধনের মাধ্যমে ই-সিগারেট নিয়ন্ত্রণের দাবি জানিয়েছে এলায়েন্স ফর এফসিটিসি ইমপ্লিমেন্টেশেন বাংলাদেশ (এএফআইবি)।
মঙ্গলবার (১২ অক্টোবর) জাতীয় তামাকমুক্ত সপ্তাহ-২০২১ উপলক্ষে জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে মানববন্ধন কর্মসূচীতে এ দাবি জানানো হয়।
বিজ্ঞাপন
কর্মসূচি থেকে জানানো হয়, তামাক সেবনের ফলে এক লাখ ২০ হাজারের অধিক লোক মারা যায়। অনাকাঙ্ক্ষিত মৃত্যু রোধে এ বছরের ৮-১৫ অক্টোবর জাতীয় তামাকমুক্ত সপ্তাহের নির্ধারণ করা হয়েছে। দেশব্যাপী ধূমপান ও তামাকমুক্ত করার লক্ষ্যে সাত দিনব্যাপী নানা কর্মসূচির আয়োজন করেছে এএফআইবি।
দেশে ই-সিগারেটের প্রচলন ক্রমেই বেড়ে চলেছে। উন্নত দেশের মতো বাংলাদেশে ই-সিগারেট নিয়ন্ত্রণের কোনো পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়নি। ফলে বাংলাদেশে অবৈধভাবে ব্যাপক হারে ব্যবহার হচ্ছে। প্রচলিত সিগারেটের চেয়ে এর ক্ষতিকর প্রভাব কম বলা হলেও এখনই এর ব্যবহার নিয়ন্ত্রণ করা নিয়ন্ত্রণের পদক্ষেপ গ্রহণ করা না হলে ই-সিগারেটের সঙ্গে নেশাজাতীয় অন্যান্য ক্ষতিকর দ্রব্যাদি সম্পৃক্ত করে আরও বিপদজনক করার সম্ভাবনা রয়েছে। এ বিপদ থেকে রক্ষা পাওয়ার জন্য ইউরোপ-আমেরিকার মতো ই-সিগারেট নিয়ন্ত্রণের জন্য নীতিমালা প্রণয়ন করা জরুরি। অথবা বিদ্যমান তামাক নিয়ন্ত্রণ আইন সংশোধনের মাধ্যমে ই-সিগারেট নিয়ন্ত্রণ এখন সময়ের দাবি।
মানববন্ধন কর্মসূচীতে ই-সিগারেট নিয়ন্ত্রণে চার দফা দাবি জানানো হয়। এগুলো হচ্ছে- আন্তর্জাতিক বিভিন্ন গবেষণায় প্রচলিত সিগারেটের চেয়ে ই-সিগারেট ৯৫ শতাংশের কম ক্ষতিকর হলেও ২০৪০ সালের মধ্যে তামাকমুক্ত দেশ গড়তে ই-সিগারেট নিয়ন্ত্রণ করা। উচ্চহারে শুল্ক কর বৃদ্ধির মাধ্যমে ই-সিগারেট আমদানি বা উৎপাদন নিরুৎসাহিত করা।
অবৈধ পথে বা চোরাচালানের মাধ্যমে ই-সিগারেট আমদানি বিরুদ্ধে কঠোর শাস্তি প্রদান এবং নিয়মিত মোবাইল কোর্টের মাধ্যমে ই-সিগারেটের অবৈধ বাজারজাতকরণ কার্যক্রম বন্ধ করা।
এমআই/ওএফ