ড. ইনামুল হক

একুশে পদকপ্রাপ্ত গুণী অভিনেতা, নাট্যকার, নির্দেশক ও শিক্ষক ড. ইনামুল হকের মৃত্যুতে গভীর শোক ও দুঃখ প্রকাশ করেছেন রাষ্ট্রপতি মো. আব্দুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

রাষ্ট্রপতি এক শোক বার্তায় বলেন, ড. ইনামুল হকের মৃত্যু দেশের সাংস্কৃতিক অঙ্গণের জন্য এক অপূরণীয় ক্ষতি। দেশের সাংস্কৃতিক উন্নয়নে তার অবদান মানুষ দীর্ঘদিন শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করবে।

এক শোকবার্তায় প্রধানমন্ত্রী বলেন, নাট্যাঙ্গনে ইনামুল হকের অবদান স্মরণীয় হয়ে থাকবে।

রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রী মরহুমের আত্মার মাগফিরাত কামনা করেন এবং শোকসন্তপ্ত পরিবারের সদস্যদের প্রতি গভীর সমবেদনা জানান।

এছাড়া, অভিনেতা ড. ইনামুল হকের মৃত্যুতে গভীর শোক ও দুঃখ প্রকাশ করেছেন সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রী এবং বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। এক শোকবার্তায় প্রয়াত ড.ইনামুল হকের শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা জানান এবং তার বিদেহী আত্মার মাগফেরাত কামনা করেন মন্ত্রী।

সোমবার (১১ অক্টোবর) বিকাল ৪টার দিকে বেইলি রোডের নিজ বাসায় মারা যান তিনি। তার বয়স হয়েছিল ৭৮ বছর।

দেশের অভিনয় জগতের উজ্জ্বল নক্ষত্র ড. ইনামুল হক। ফেনীতে জন্মগ্রহণ করা এই ব্যক্তিত্ব পড়াশোনা করেছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে। ১৯৬৫ সালে প্রভাষক হিসেবে বুয়েটের রসায়ন বিভাগে যোগ দেন তিনি। পরবর্তীতে তিনি সহকারী অধ্যাপক ও অধ্যাপক পদে উন্নীত হন।

ড. ইনামুল হকের অভিনয় জীবন শুরু হয় মুক্তিযুদ্ধের সময়। জনগণকে আন্দোলনে উদ্বুদ্ধ করার জন্য নাটকের পথ বেছে নেন তিনি। একাত্তরে ঢাকার বিভিন্ন স্থানে ট্রাকে ঘুরে ঘুরে পথনাটক করেছেন। পরবর্তীতে তিনি টিভি নাটক, সিনেমা এবং ম্যাগাজিন অনুষ্ঠান ইত্যাদিতে অভিনয় করে দেশজুড়ে জনপ্রিয়তা লাভ করেন।

২০১২ সালে ড. ইনামুল হক একুশে পদক লাভ করেন। ২০১৭ সালে তাকে স্বাধীনতা পুরস্কারে ভূষিত করে সরকার।

এইউএ/পিএসডি/ওএফ