প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা

মানসিক স্বাস্থ্যসেবা জনগণের দোরগোড়ায় পৌঁছে দিতে আরও বেশি মনোযোগী হতে সংশ্লিষ্ট সবার প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

১০ অক্টোবর ‘বিশ্ব মানসিক স্বাস্থ্য দিবস ২০২১’ উপলক্ষে শনিবার দেওয়া এক বাণীতে এ আহ্বান জানান তিনি। তিনি বলেন, বর্তমানে করোনা মহামারির এ বৈশ্বিক পরিস্থিতিতে জনসাধারণের মানসিক স্বাস্থ্য মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। আক্রান্ত ব্যক্তি ছাড়াও পরিবারের সদস্য, সমাজের নারী, শিশু ও বৃদ্ধদের মানসিক স্বাস্থ্য হুমকির সম্মুখীন। এই পরিস্থিতিতে মানসিক স্বাস্থ্যসেবার পরিধি আরও বিস্তৃত করতে হবে। 

বিশ্বের অন্যান্য দেশের ন্যায় বাংলাদেশেও যথাযথ গুরুত্ব দিয়ে বিশ্ব মানসিক স্বাস্থ্য দিবস পালন করা হচ্ছে জেনে প্রধানমন্ত্রী আনন্দিত। দিবসটির এবারের প্রতিপাদ্য ‘অসম বিশ্বে মানসিক স্বাস্থ্য’ সময়োপযোগী হয়েছে বলে তিনি মনে করেন।

শেখ হাসিনা বলেন, বিশ্ব সভ্যতা বিকশিত হয়েছে। কিন্তু বিভিন্ন ক্ষেত্রে বিস্তর বৈষম্য ও নানাবিধ অসমতা রয়ে গেছে দেশে দেশে। এ অসমতা অর্থনৈতিক, সামাজিক এমনকি স্বাস্থ্য ক্ষেত্রেও। স্বাস্থ্যের দিকে যদি তাকাই, তাহলে মানসিক স্বাস্থ্য আরও বেশি উপেক্ষিত। অথচ সুখী, সমৃদ্ধ, বৈষম্যহীন মানবিক বিশ্ব গঠনে শারীরিক স্বাস্থ্যের পাশাপাশি মানসিক স্বাস্থ্যের দিকেও নজর দেওয়া প্রয়োজন।

তিনি বলেন, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ সরকার মানসিক স্বাস্থ্যের এই প্রয়োজনীয়তা যথাযথভাবে অনুধাবন করে। এ জন্য আমাদের সরকার ২০০১ সালে ঢাকার শেরে বাংলা নগরে প্রতিষ্ঠা করে ‘জাতীয় মানসিক স্বাস্থ্য ইনস্টিটিউট’। সবার জন্য মানসিক স্বাস্থ্য বাস্তবায়নে এটি একটি মাইলফলক।

এবারের বিশ্ব মানসিক স্বাস্থ্য দিবসের সার্বিক সাফল্য কামনা করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ ২০৪১ সালের আগেই উন্নত-সমৃদ্ধ দেশে পরিণত হবে- এ লক্ষ্য নিয়েই আমরা কাজ করে যাচ্ছি। সকলের সম্মিলিত প্রচেষ্টায় আমরা জাতির পিতার স্বপ্নের সোনার বাংলাদেশ গড়ে তুলব, ইনশাআল্লাহ। 

সূত্র : বাসস 

আরএইচ