ভ্যাট খাচ্ছে শিক্ষা অফিস!
বিভিন্ন সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের নামে বরাদ্দকৃত অর্থে প্রযোজ্য ভ্যাটের টাকা খাচ্ছে শিক্ষা অফিস। অতিরিক্ত ভ্যাট কর্তন দেখালেও সরকারি কোষাগারে জমা দিচ্ছে অনেক কম টাকা। এভাবে দিনের পর দিন ভ্যাটের টাকা যাচ্ছে শিক্ষা অফিসের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের পকেটে।
গাইবান্ধার পলাশবাড়ী উপজেলা শিক্ষা অফিসারসহ একটি চক্রের বিরুদ্ধে উঠেছে এমন অভিযোগ। দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) অভিযানেও মিলেছে অভিযোগের প্রাথমিক সত্যতা। এছাড়াও রয়েছে শিক্ষকদের ভ্রমণ-ভাতা বিলসহ বিভিন্ন বরাদ্দের টাকা আত্মসাতের অভিযোগ।
বিজ্ঞাপন
বৃহস্পতিবার (৭ অক্টোবর) দুদকের রংপুর সমন্বিত জেলা কার্যালয়ের উপ-সহকারী পরিচালক একেএম নূরে আলম সিদ্দিকের নেতৃত্বে পলাশবাড়ী উপজেলা শিক্ষা অফিসে অভিযান পরিচালিত হয়। দুদকের জনসংযোগ দফতর বিষয়টি নিশ্চিত করেছে।
দুদক সূত্রে জানা যায়, পলাশবাড়ী উপজেলা শিক্ষা অফিসারের বিরুদ্ধে বিদ্যালয় মেরামত বাবদ বরাদ্দকৃত সরকারি অর্থ ও শিক্ষকদের ভ্রমণ ভাতার বিল প্রতারণার মাধ্যমে আত্মসাতের অভিযোগ আসে দুদকের হটলাইনে (১০৬)।
দুদকের এনফোর্সমেন্ট টিম অভিযানে দেখতে পায়, পলাশবাড়ী উপজেলা শিক্ষা অফিস বিভিন্ন সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের নামে বরাদ্দকৃত অর্থের ভ্যাট বাবদ পাঁচ থেকে সাত শতাংশ কর্তন দেখানো হলেও চেক বিতরণের সময় ভ্যাট বাবদ অতিরিক্ত আরও আড়াই থেকে সাড়ে সাত শতাংশ টাকা বেশি নিচ্ছে, যা কোষাগারে জমা না দিয়ে আত্মসাৎ করা হয়েছে বলে প্রাথমিকভাবে প্রতীয়মান হয়েছে।
এছাড়া, শিক্ষকদের ভ্রমণ-ভাতা বিল এবং একই বিদ্যালয়ের একাধিক বরাদ্দ থাকলেও একটি বরাদ্দের টাকা দিয়ে অন্য বরাদ্দের টাকা সরকারি কোষাগারে জমা না দিয়ে আত্মসাৎ হয়েছে বলে প্রাথমিকভাবে সত্যতা মিলেছে।
বিষয়টি আরও খতিয়ে দেখতে পলাশবাড়ী উপজেলা শিক্ষা অফিস ও সংশ্লিষ্ট ব্যাংক থেকে অভিযোগ সংশ্লিষ্ট নথিপত্র সংগ্রহ করছে দুদক টিম। সব নথিপত্র হাতে পাওয়ার পর তা যাচাই-বাছাই করে কমিশনে প্রতিবেদন দাখিল করবে এনফোর্সমেন্ট টিম।
বৃহস্পতিবার দুদক অভিযোগ কেন্দ্রে (হটলাইন-১০৬) আসা অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে সরকারি পাঁচ দফতরে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে চিঠি পাঠানো হয়েছে বলেও জানা গেছে।
আরএম/আরএইচ