মো. মাহবুব কবীর মিলন

বাংলাদেশ রেলওয়ের বিভিন্ন ধরনের অনিয়ম ও দুর্নীতি নিয়ে কথা বলে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে সরব রয়েছেন ওএসডিতে থাকা রেলপথ মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মো. মাহবুব কবীর মিলন।

যাত্রীদের অভিযোগ এবং মতামত সম্পর্কে জানতে রেলওয়ের কল সেন্টার চালু করা উচিত বলে মনে করছেন রেলপথ মন্ত্রণালয়ের সাবেক অতিরিক্ত সচিব মিলন। বিভিন্ন কারণে সরকারি এই কর্মকর্তা বর্তমানে ওএসডিতে আছেন।

শনিবার (৯ অক্টোবর) বাংলাদেশ রেলওয়ে ফ্যান্স ফোরাম (বিআরএফএফ) নামে একটু ফেসবুক গ্রুপে দেওয়া এক স্ট্যাটাসে তিনি রেলের নানা অনিয়মের কথা তুলে ধরেন।

স্ট্যাটাসে তিনি অভিযোগ করে বলেন, বাংলাদেশ রেলওয়ের কাছে যাত্রীরা নানা অভিযোগ করে আসলেও রেলপথ মন্ত্রণালয় বা বাংলাদেশ রেলওয়ের পক্ষ থেকে নিয়মিতভাবে তাদের জবাব দেওয়া হয় না। কল সেন্টার ব্যবস্থা চালু করা উচিত বলে মনে করেন এ সরকারি কর্মকর্তা।

ফেসবুকে দেওয়া মাহবুব কবীর মিলনের স্ট্যাটাসটি ঢাকা পোস্টের পাঠকদের জন্য হুবহু তুলে ধরা হলো-

আচ্ছা যাত্রীরা টিকিট নিয়ে যে সিএনএসবিডির বিরুদ্ধে শতশত হাজার অভিযোগ করে যাচ্ছেন, সে সব অভিযোগ সত্য হোক আর মিথ্যা হোক, হোস্ট পার্টি, মানে রেল, এসব অভিযোগ নিয়ে রেলের বক্তব্য  শুনেছেন কখনো?

ট্রেনে সিট ব্যবসা বা অবৈধ যাত্রী তোলা নিয়ে এটেনডেন্টদের বিরুদ্ধে শতশত হাজার হাজার অভিযোগ করে যাচ্ছেন যাত্রীরা, সে সব অভিযোগ সত্য হোক আর মিথ্যা হোক, রেলের বক্তব্য দেখেছেন কখনো?

ট্রেনে খাবার নিয়ে বা খাবারের কোয়ালিটি নিয়ে কিংবা বেশি দাম রাখা নিয়ে শতশত হাজার অভিযোগ করে যাচ্ছেন যাত্রীরা, সে সব অভিযোগ সত্য হোক আর মিথ্যা হোক, হোস্ট পার্টি, মানে রেল, এসব অভিযোগ নিয়ে রেলের বক্তব্য শুনেছেন কখনো?

এদের নিয়োগ দিয়েছে কে?

তাহলে এসব অভিযোগ যদি সত্য হয়, এদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেবে কে?

মিথ্যা হলে, সেটা যে মিথ্যা, তার ক্লারিফিকেশন দেবে কে?

আমি? আপনি?

যাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ, তারা?

তারা দোষী হলে, তারা কি সেটা স্বীকার করবে?

তাহলে জনগণ আশ্রয় পাবে কোথায়?

আশ্রয় না পাক, অন্তত শান্তনার জন্য মিনিমাম একটি উত্তর পাবার অধিকার তো আছে যাত্রীদের।

আমি ২০১৫ সাল থেকে রেল নিয়ে কাজ করছি। নিজেই অসংখ্য তথ্য যাচাই করেছি রেকর্ড নিয়ে। দেখেছি অনেক বিষয়ের ব্যাখ্যা প্রদান করা হলে যাত্রীদের অনেক ভুল ভেঙ্গে যেত বা ধারণা আরও পরিষ্কার হত। কিন্তু কোনো পক্ষ থেকেই তা করা হয়নি।

জগতের সব দেশের রেল, তাদের যাত্রীদের অভিযোগ এবং মতামতকে সর্বাধিক গুরুত্ব দিয়ে থাকে।

রেলের একটা কল সেন্টার চালুর পরিকল্পনা ছিল বহু বছর আগে। একটা শর্ট কোড নাম্বার বরাদ্দ দেয়া হয়েছিল বিটিআরসি থেকে। 

আমি রেলে জয়েন করার পর সেটা চালুর উদ্যোগ নিয়েছিলাম। 

কেউ কি জানেন সে নাম্বারটি কত ছিল? দফতরের কেউ জানেন?

পিএসডি/এমএইচএস