চট্টগ্রাম নগরীতে বাস চলাচল কম, নগরবাসীর দুর্ভোগ
প্রশাসনের হয়রানির অভিযোগ তুলে চট্টগ্রাম নগরীতে বেশ কিছু বাস চলাচল বন্ধ রেখেছেন মালিক শ্রমিকরা। এতে গন্তব্যে যেতে বাহন না পেয়ে দুর্ভোগে পড়েছেন শিক্ষার্থী ও অফিসগামী লোকজন।
বৃহস্পতিবার (৭ অক্টোবর) সকাল থেকেই নগরীতে কিছু মালিক ও শ্রমিক অঘোষিতভাবে বাস চলাচল বন্ধ রাখায় এ দুর্ভোগে পড়েন তারা।
বিজ্ঞাপন
বাংলাদেশ পরিবহন শ্রমিক ফেডারেশনের চট্টগ্রাম অঞ্চলের সাধারণ সম্পাদক অলি আহম্মদ ঢাকা পোস্টকে বলেন, আমাদের কোনো ধর্মঘট বা কর্মবিরতি চলেনি। তবে মালিক শ্রমিকরা কিছু গাড়ি চলাচল বন্ধ রেখেছেন।
তিনি বলেন, বুধবার রাতে নগরীর অলংকার এলাকা থেকে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী আমাদের কয়েকজন সদস্যকে আটক করায় পরিবহন মালিক ও শ্রমিকরা কিছু গাড়ি চলাচল বন্ধ রেখেছে।
বৃহস্পতিবার দুপুরের দিকে নগরের ওয়াসা মোড়, কাজির দেউড়ী, লালদিঘী এলাকা ঘুরে দেখা গেছে স্বাভাবিক সময়ের চেয়ে বাস চলাচল কম। ওয়াসা মোড়ে কথা হয় আসমা আক্তার নামে এক যাত্রীর সঙ্গে। তিনি বলেন, বাস চলাচল করছে, তবে সংখ্যায় কম। যে কারণে গাড়ির জন্য দীর্ঘসময় অপেক্ষা করতে হচ্ছে।
যাত্রী সবুজ মিয়া বলেন, অনেকক্ষণ ধরে কাজির দেউড়ী মোড়ে দাঁড়িয়ে আছি অথচ কোনো গাড়ি পাচ্ছি না।
চট্টগ্রাম জেলা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির নেতা গোলাম রসুল বাবুল ঢাকা পোস্টকে বলেন, ‘ধর্মঘট বা কর্মবিরতি কিছুই হচ্ছে না। গতকাল রাতে অলংকার থেকে আমাদের ৫ জন শ্রমিককে আটক করা হয়েছে। তাই শ্রমিকরা ক্ষিপ্ত হয়ে কিছু পরিবহন চলাচল বন্ধ রেখেছে। বিকেল পাঁচটায় মালিক ফেডারেশন আর শ্রমিক ফেডারেশনের বৈঠক আছে। দেখা যাক কী সমাধান আসে।’
এ বিষয়ে চট্টগ্রাম মেট্রো পরিবহন মালিক সমিতির সভাপতি মো. বেলায়ত হোসেন ঢাকা পোস্টকে বলেন, কোনো ধর্মঘট বা কর্মবিরতি নেই। আমাদের সব গাড়ি চলাচল করছে বলেও দাবি করেন তিনি।
উল্লেখ, বুধবার রাতে চট্টগ্রাম নগরীর অলংকার এলাকায় পরিবহনে চাঁদাবাজির সময় ৫ জন চাঁদাবাজকে আটক করা হয়েছে বলে জানিয়েছে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ান (র্যাব)। রাত সাড়ে বারটার দিকে অভিযান চালিয়ে তাদের আটক করা হয়েছে। এর ঘটনার জেরে সকাল থেকে কিছু মালিক ও শ্রমিক বাস চলাচল বন্ধ রেখেছেন বলে জানা গেছে।
কেএম/জেডএস