জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের লেখা ‘অসমাপ্ত আত্মজীবনী’ একটি অমূল্য ঐতিহাসিক দলিল এবং এর সাহিত্য মূল্য অপরিসীম বলে উল্লেখ করেছেন দক্ষিণ এশিয়া অনলাইন সাহিত্য সম্মেলনে দ্বিতীয়ার্দ্ধে নির্ধারিত আলোচনায় অংশগ্রহণকারী বিশিষ্ট প্যানেল আলোচকরা। 

চারদিনব্যাপী দক্ষিণ এশিয়া অনলাইন সাহিত্য সম্মেলনের উদ্বোধনী দিনের দ্বিতীয় পর্বে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের অসমাপ্ত আত্মজীবনী : ইতিহাস ফিরে দেখা শীর্ষক প্যানেল আলোচনায় বঙ্গবন্ধুর অসমাপ্ত আত্মজীবনী সম্পর্কে তাদের বক্তব্যে একথা বলেন।

ভারতের সাহিত্য আকাদেমি এবং ফাউন্ডেশন অব সার্ক রাইটার্স অ্যান্ড লিটারেচার আয়োজিত এ সাহিত্য সম্মেলনের আলোচনা পর্বে অংশগ্রহণ করেন মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘরের ট্রাস্টি ও গবেষক মফিদুল হক, গবেষক ও অনুবাদক ড. ফখরুল আলম এবং জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী উদযাপন জাতীয় বাস্তবায়ন কমিটির প্রধান সমন্বয়ক ড. কামাল আবদুল নাসের চৌধুরী (কবি কামাল চৌধুরী)।

ভার্চুয়াল প্লাটফর্মে আয়োজিত এই অনুষ্ঠানে আলোচকরা বঙ্গবন্ধুর অসমাপ্ত আত্মজীবনী নিয়ে তাদের বিশ্লেষণে বলেন, দেশ বিভাগপূর্ব ও পরবর্তী সময়ের সমাজ ও রাজনীতির গতিপ্রকৃতি জানার জন্য এই গ্রন্থটি নিঃসন্দেহে একটি মৌলিক ও নির্ভরযোগ্য উৎস। এছাড়া অনেক ঐতিহাসিক ঘটনার প্রেক্ষাপট এবং বস্তুনিষ্ঠভাবে ইতিহাস বিশ্লেষণে পাঠক ও গবেষকদের জন্য এটি মূল্যবান গ্রন্থ।

এই ‘অসমাপ্ত আত্মজীবনী’ কেবল বাংলাদেশের জন্যই প্রসঙ্গিক নয়, এটি সমগ্র দক্ষিণ এশিয়ায় সমান গুরুত্ব বহন করে বলে বক্তারা উল্লেখ করেন।
এ অঞ্চলের নতুন প্রজন্মের ইতিহাসকে শুদ্ধভাবে জানার জন্য একটি অবশ্য পাঠ্যগ্রন্থ। পাকিস্তানি রাজনীতিকদের বিমাতা সুলভ আচরণ ও সার্বিক শঠতার চিত্র ধরা পড়ছে এ বইয়ে। আলোচকগণ বইটির বিষয়বস্তু, রচনাকাল, রচনার নেপথ্য ঘটনা প্রবাহ নিয়েও আলোকপাত করেন।

৬ থেকে ৯ অক্টোবর দক্ষিণ এশীয় অনলাইন সাহিত্য সম্মেলনের আয়োজন করে যৌথভাবে ভারতের সাহিত্য আকাদেমি এবং সার্ক লেখক ও সাহিত্য ফাউন্ডেশন। উদ্বোধনী অধিবেশনে প্রধান অতিথি ছিলেন সাহিত্য আকাদেমির সভাপতি চন্দ্রশেখর কাম্বার। সভাপতির বক্তব্য দেন সার্ক লেখক ও সাহিত্য ফাউন্ডেশনের সভাপতি অজিত কউর। এ অনলাইন সাহিত্য সম্মেলনে বাংলাদেশসহ সার্কভুক্ত দেশের বুদ্ধিজীবীরা নির্ধারিত বিভিন্ন সেশনে অংশ নেবেন।

এনএফ