ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) বর্জ্য ব্যবস্থাপনা কার্যক্রম আধুনিকায়নে নিজস্ব অর্থায়নে ৩০টি কমপ্যাক্টর ভিহিকেল ক্রয় করা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস।

বুধবার (৬ অক্টোবর) নগরীর ওয়াসা রোডে ৫ ও ৬ নম্বরের অন্তর্বর্তীকালীন বর্জ্য স্থানান্তর কেন্দ্রের উদ্বোধন শেষে এ তথ্য জানান তিনি। 

মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস বলেন, আধুনিক পদ্ধতি অবলম্বন করে খুব অল্প সময়ের মধ্যেই যেন এই বর্জ্য সংগ্রহ করে সরাসরি কেন্দ্রীয় ভাগাড়ে নিয়ে যাওয়া যায় সেই প্রক্রিয়া, সেই ব্যবস্থাপনায় আমরা নজর দিয়েছি। আমরা ওয়ার্ডভিত্তিক বর্জ্য স্থানান্তর কেন্দ্র নির্মাণ করছি। আমরা ওয়ার্ডভিত্তিক বর্জ্য সংগ্রহকারীও নিবন্ধন করেছি, যাতে করে তাদের মাধ্যমে সরাসরি বাসাবাড়ি ও স্থাপনা থেকে বর্জ্য নিয়ে আসতে পারি। এছাড়াও আমরা আধুনিক যন্ত্রপাতি ক্রয় করছি। আমরা নিজস্ব অর্থায়নে ১৫টি ১০ টন ক্ষমতাসম্পন্ন এবং ১৫টি ৭ টন ক্ষমতাসম্পন্ন মোট ৩০টি কমপ্যাক্টর ভিহিকেল ক্রয়ের উদ্যোগ গ্রহণ করেছি।

তাপস বলেন, এতে খুব অল্প সময়ে সংগৃহীত বর্জ্য আমরা মাতুয়াইল কেন্দ্রীয় ভাগাড়ে নিয়ে যেতে সক্ষম হব। এতে কম সময়ে বেশি পরিমাণ বর্জ্য অপসারণে আমাদের সক্ষমতা বাড়বে। সুতরাং বর্জ্য যেখানে স্তূপাকারে থাকে সেখানে বাছাইয়ের মাধ্যমে যে অস্বস্তিকর পরিস্থিতি সৃষ্টি করা হয়, তা আর হবে না।       

ডিএসসিসি মেয়র ব্যারিস্টার শেখ তাপস বলেন, আজ আমরা ৫ নম্বর ও ৬ নম্বর ওয়ার্ডের জন্য অন্তর্বর্তীকালীন বর্জ্য স্থানান্তর কেন্দ্রের (এসটিএস) উদ্বোধন করলাম। এর মাধ্যমে আমরা ৩৯টি বর্জ্য স্থানান্তর কেন্দ্র নির্মাণ সম্পন্ন করলাম। বাকিগুলোর নির্মাণ কার্যক্রম চলমান রয়েছে। আশা করছি, এ বছরের মধ্যেই আমাদের ৭৫টি ওয়ার্ডে বর্জ্য স্থানান্তর কেন্দ্র করতে পারব।

এ সময় অন্যান্যের মধ্যে ডিএসসিসি প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ফরিদ আহম্মদ, প্রধান বর্জ্য ব্যবস্থাপনা কর্মকর্তা এয়ার কমডোর সিতওয়াত নাঈম, সচিব আকরামুজ্জামান, প্রধান সম্পত্তি কর্মকর্তা রাসেল সাবরিন, অঞ্চল-২ এর আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তা সোয়ে মেন জো, ৫ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর চিত্তরঞ্জন দাস, ৬ নম্বর ওয়ার্ডের মো. সিরাজুল ইসলাম ভাট্টি, সংরক্ষিত আসনের কাউন্সিলর ফারজানা ইয়াসমিন, বিপ্লবী মাকসুদা শমশের প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

এএসএস/এসকেডি/জেএস