‘জাতীয় জন্ম ও মৃত্যু নিবন্ধন দিবস-২০২১’ উপলক্ষে আয়োজিত আলোচনা সভা

রোহিঙ্গারা যাতে জন্ম নিবন্ধনের আওতায় আসতে না পারে, সে বিষয়ে সংশ্লিষ্ট সবাইকে সতর্ক থাকার কথা বলেছেন চট্টগ্রামের বিভাগীয় কমিশনার মো. কামরুল হাসান।

বুধবার দুপুরে চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে ‘জাতীয় জন্ম ও মৃত্যু নিবন্ধন দিবস-২০২১’ উপলক্ষে আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি রোহিঙ্গাদের বিষয়ে সতর্ক করেন। 

বিভাগীয় কমিশনার বলেন, কেউ যাতে একাধিক জন্ম সনদ করতে না পারে এবং রোহিঙ্গারা যাতে জন্ম নিবন্ধনের আওতায় আসতে না পারে, সে বিষয়ে সংশ্লিষ্ট সবাইকে সতর্ক থাকতে হবে। ২০৩০ সালে এসডিজি পূরণের জন্য জন্ম নিবন্ধনের লক্ষ্যমাত্রা অর্জন করতে হবে এবং প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ ও উদ্যোগ নিতে হবে। 

তিনি বলেন, মানুষের জন্ম একবার, মৃত্যুও একবার। তাই জন্ম ও মৃত্যু সনদও থাকবে একটি করে। দেশের সব নাগরিক যদি জন্ম ও মৃত্যু সনদের আওতায় আসে, তাহলে দেশের জনসংখ্যা হিসাব করতে সহজ হবে। এছাড়া ভোটার তালিকা প্রস্তুতের ক্ষেত্রে স্বচ্ছতা নিশ্চিত হবে। 

তিনি আরও বলেন, এ বছর রাজশাহী বিভাগ জন্ম ও মৃত্যু নিবন্ধন কার্যক্রমে শ্রেষ্ঠ বিভাগ নির্বাচিত হয়েছে। আগামীবার এ অর্জন যেন চট্টগ্রাম বিভাগের হয়; বিশেষ করে জেলা পর্যায়ে যেন চট্টগ্রাম জেলা নির্বাচিত হয়, সেজন্য সবাইকে কঠোর পরিশ্রম করতে হবে। লক্ষ্য অর্জনে আনোয়ারার ১২শ ইউনিয়নের কার্যক্রমকে মডেল হিসেবে নেওয়া যেতে পারে।

বিভাগীয় কমিশনার বলেন, টিকাদান, স্কুলে ভর্তি, পাসপোর্ট ইস্যু, জাতীয় পরিচয়পত্র গ্রহণ ও আইনি সেবা প্রাপ্তি ইত্যাদিসহ ১৮টি গুরুত্বপূর্ণ কাজে জন্ম সনদ আবশ্যক। সবার জন্য জন্ম ও মৃত্যু নিবন্ধন বাধ্যতামূলক করার বিষয়টি গণপ্রচার করতে হবে। 

চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মমিনুর রহমানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার (উন্নয়ন) মো. মিজানুর রহমান, চট্টগ্রামের সিভিল সার্জন ডা. মোহাম্মদ ইলিয়াছ চৌধুরী, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক, কালেক্টরেটের অফিসার, ইউনিসেফ চট্টগ্রামের প্রতিনিধি, চসিক ওয়ার্ড কাউন্সিলর ও এনজিও সংস্থার প্রতিনিধিরা।

কেএম/আরএইচ