একদিনের ব্যবধানে চট্টগ্রামের খাতুনগঞ্জ পাইকারি বাজারে পেঁয়াজের দাম বেড়েছে কেজিপ্রতি ৭ টাকা। সপ্তাহের ব্যবধানে যা বেড়েছে ১৮ টাকা। গত সপ্তাহে পাইকারিতে প্রতি কেজি ভারতীয় পেঁয়াজ বিক্রি হয়েছে ৩৬-৩৭ টাকায়। আজ তা বিক্রি হচ্ছে ৫৪-৫৫ টাকায়। আর মিয়ানমারের পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৫০-৫২ টাকায়।

মঙ্গলবার (৫ অক্টোবর) দুপুরে খাতুনগঞ্জের হামিদুল্লাহ মিঞা মার্কেট কল্যাণ সমিতির সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ ইদ্রিস ঢাকা পোস্টকে বলেন, আজ ভারতীয় পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৫৪-৫৫ টাকায়। খাতুনগঞ্জে দেশি পেঁয়াজ তেমন নেই। তবে ভারতীয় ও দেশি পেঁয়াজ একই দামে বিক্রি হচ্ছে এখানে। সোমবার বিকেল থেকে হঠাৎ করে পেঁয়াজের দাম বেড়ে গেছে। ওইদিন সকালে ভারতীয় পেঁয়াজ বিক্রি হয়েছে ৪৮ টাকায়। আর এক সপ্তাহ আগে বিক্রি হয়েছে ৩৬-৩৭ টাকা দরে। 
 
তিনি আরও বলেন, খাতুনগঞ্জে মিয়ানমারের পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৫০-৫২ টাকায়। গত সপ্তাহে মিয়ানমারের পেঁয়াজ বিক্রি হয়েছে ৩৫-৩৬ টাকায়। বাড়লে একসঙ্গে সব পেঁয়াজের দাামই বাড়ে। যে কারণে দেশি পেঁয়াজের দামও বাড়ছে।
 
পেঁয়াজের দাম কেমন থাকবে তা ভারতীয় পেঁয়াজ আমদানির উপর নির্ভর করবে উল্লেখ করে তিনি বলেন, আর বেশি বাড়ার সম্ভাবনা নেই। পেঁয়াজের দাম বর্তমানে ভারতেও বেশি। সেখানে বৃষ্টি ও বিভিন্ন কারণে দাম বেড়েছে। তবে খাতুনগঞ্জে পেঁয়াজের চালান আসছে বলেও জানিয়েছেন তিনি। 

যদি ভারতীয় পেঁয়াজ আসার পরিমাণ আরও বাড়ে তাহলে দাম কমে যাবে বলেও আশা প্রকাশ করেন তিনি।

চট্টগ্রামের কাজির দেউড়ি এলাকার ব্যাটারিগলিতে মন্টু স্টোরে সকালে মিয়ানমারের পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৫৫ টাকা কেজিতে। আর ভারতীয় পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৬০ টাকায়। 

কনজ্যুমার অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের সহ-সভাপতি এস এম নাজির হোসেন ঢাকা পোস্টকে বলেন, ব্যবসায়ী ও আমদানির কারসাজির কারণেই পেঁয়াজের দাম হঠাৎ বৃদ্ধি পেয়েছে। পেঁয়াজের দাম বাড়বে কারণ এটা তো আউট অব কন্ট্রোল। এছাড়া খাতুনগঞ্জে পেঁয়াজের ব্যবসা পেপারলেস কমিশন এজেন্ট আর আড়তদার মিলেই খাতুনগঞ্জে পেঁয়াজের দাম বাড়ায়। যখন প্রশাসনের পক্ষ থেকে মনিটরিংয়ে যায় তখন ব্যবসায়ীরা কোনো কাগজ দেখাতে পারে না। খাতুনগঞ্জে পেঁয়াজের ব্যবসাকে শৃঙ্খলার মধ্যে আনতে হবে। না হলে প্রতিনিয়ত এ ধরনের ঘটনা ঘটবে।
 
কেএম/জেডএস