দেশের মানসম্মত শিক্ষার স্বার্থে বিচ্ছিন্নভাবে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান জাতীয়করণ না করে একযোগে মাধ্যমিক শিক্ষা জাতীয়করণের দাবি জানিয়েছে বাংলাদেশ শিক্ষক সমিতি (বিটিএ)।

মঙ্গলবার (৫ অক্টোবর) জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে বিশ্ব শিক্ষক দিবস উপলক্ষে আয়োজিত এক মানববন্ধনে থেকে এ দাবি জানানো হয়। শিক্ষক দিবসে এবারের প্রতিপাদ্য ‘শিক্ষা পুনরুদ্ধারের কেন্দ্রবিন্দুতে শিক্ষক’।

মানববন্ধনে সমিতির সাধারণ সম্পাদক শেখ কাওছার আহমেদ বলেন, বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে শিক্ষকতাকে এখনও পেশা হিসেবে না দেখে ‘ব্রত’ হিসেবে দেখা হয়। তাই রাষ্ট্রীয় বাজেটে শিক্ষকদের জন্য প্রয়োজনীয় বরাদ্দ রাখা হয় না। রাষ্ট্র চায় শিক্ষকরা কোনোমতে খেয়ে-পরে রাষ্ট্র বিনির্মাণকে মহান ব্রত মনে করে নিঃস্বার্থভাবে দায়িত্ব পালন করুক। ‘বিশ্ব শিক্ষক দিবস’ রাষ্ট্রীয়ভাবে পালনের এবং শিক্ষকদের সঙ্গে আলোচনার মাধ্যমে শিক্ষাক্ষেত্রের সমস্যাগুলো সমাধান করার জন্য সরকারের কাছে জোর দাবি জানাচ্ছি। স্বাধীনতার এতবছর পরেও আমরা জাতির মেরুদণ্ড শিক্ষাকে সঠিক ভিত্তির ওপর দাঁড় করাতে পারিনি। এ যাবৎকালে রাষ্ট্র কখনও মনে করেনি যে শিক্ষাসহ টেকসই উন্নয়ন করতে হলে শিক্ষকদের যথাযোগ্য মর্যাদা ও অধিকার সুপ্রতিষ্ঠিত করতে হবে।

তিনি বলেন, শিক্ষকদের ন্যায্য পাওনা ও সুবিধা থেকে বঞ্চিত রেখে শিক্ষা ও উন্নয়নের ক্ষেত্রে শিক্ষকদের অসামান্য অবদানকে প্রকারান্তরে অস্বীকার করা হচ্ছে। মাধ্যমিক শিক্ষা জাতীয়করণ না করায় এবং কোনো ধরনের সুযোগ-সুবিধা না বাড়িয়ে শিক্ষক-কর্মচারীদের বেতন থেকে ৬ শতাংশের জায়গায় ১০ শতাংশ কেটে রাখা খুবই দুঃখজনক।

শেখ কাওছার আহমেদ দাবি জানিয়ে বলেন, শিক্ষাব্যবস্থায় টেকসই উন্নয়নের জন্য শিক্ষায় বিনিয়োগের বিকল্প নেই। তাই আমরা এ মুজিববর্ষেই মাধ্যমিক শিক্ষা জাতীয়করণের দাবি জানাচ্ছি। আশা করি, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বিষয়টি গুরুত্বের সঙ্গে দেখবেন।

মানববন্ধনে আরও উপস্থিত ছিলেন- সমিতির সভাপতি অধ্যক্ষ বজলুর রহমান মিয়া, সিনিয়র সহ-সভাপতি আবুল কাশেম, সহ-সভাপতি আলী আসগর হাওলাদার ও বেগম নূরুন্নাহার, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আবু জামিল সেলিম, সাংগঠনিক সম্পাদক ইকবাল হোসেন, সহ-মহিলা বিষয়ক সম্পাদক শাহানা বেগম, দফতর সম্পাদক জাহাঙ্গীর হোসেন প্রমুখ।

এমএইচএন/এসএসএইচ