ঘূর্ণিঝড় প্রস্তুতি কর্মসূচির (সিপিপি) আওতায় জুনিয়র সহকারী পরিচালক এবং রেডিও অপারেটরসহ ১০৮ পদে নিয়োগে অনিয়মের অভিযোগে অভিযান চালিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।

লিখিত ও মৌখিক পরীক্ষা গ্রহণ না করেই বেশ কয়েকজন প্রার্থীকে নিয়ােগ দেওয়ার অভিযোগে এই অভিযান চালায় সংস্থাটির এনফোর্সমেন্ট টিম।

রোববার (৩ অক্টোবর) প্রধান কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক জাবেদ হাবীবের নেতৃত্বে একটি এনফোর্সমেন্ট টিম এ অভিযান পরিচালনা করে। দুদক টিম সরজমিন পরিদর্শন করে এবং অভিযোগের বিষয়ে পরিচালকসহ (প্রশাসন) সংশ্লিষ্টদের বক্তব্য রেকর্ড করেছে।

অভিযানের বিষয়টি নিশ্চিত করে দুদকের সহকারী পরিচালক (জনসংযোগ) মোহাম্মদ শফিউল্লাহ ঢাকা পোস্টকে বলেন, ঘূর্ণিঝড় প্রস্তুতি কর্মসূচির (সিপিপি) নিয়ােগ কমিটির বিরুদ্ধে লিখিত ও মৌখিক পরীক্ষা গ্রহণ না করেই প্রার্থীদের নিয়ােগ দেওয়ার অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে আজ অভিযান পরিচালনা করেছে এনফোর্সমেন্ট টিম। একই অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয় ইতোমধ্যে তদন্ত কমিটি গঠন করেছে এবং তদন্ত কাজ অব্যাহত আছে। তদন্ত দল অভিযুক্ত প্রার্থীদের হাজিরা খাতা ও আবেদনপত্র তদন্তের প্রয়োজনে সিলগালা করে রেখেছে। দুদক টিম সব তথ্যের অনুলিপি চেয়েছে। প্রয়োজনীয় তথ্য ও রেকর্ডপত্র পাওয়া সাপেক্ষে পরবর্তী ব্যবস্থা নেবে দুদক।

বিভিন্ন সূত্রে আরো জানা যায়, গত ২৮ আগস্ট অনুষ্ঠিত পরীক্ষার ফল প্রকাশ করা হয় ৩০ আগস্ট। এরপর ৪-৬ সেপ্টেম্বর নেওয়া হয় মৌখিক পরীক্ষা। ভুক্তভোগীদের অভিযোগ লিখিত পরীক্ষায় উত্তীর্ণের তালিকায় নাম নেই তবুও সাবাহ বিন হুসাইনকে সহকারী পরিচালক পদে নিয়োগের সুপারিশ করা হয়েছে। একইভাবে সুমন নামে আরেকজনও লিখিত পরীক্ষায় পাস না করেই পেয়েছেন নিয়োগ সুপারিশ। এই তালিকায় এক পরিচালকের ছেলের নামও রয়েছে এমন অভিযোগ অনেক পরীক্ষার্থীর। শুধু তাই নয়, নিয়োগ পরীক্ষার ফল ঘোষণা করার পরও নতুন করে দুজনের নাম যুক্ত করে আবারও ফল প্রকাশ করেছ প্রতিষ্ঠানটি। এছাড়া একাধিক কর্মকর্তার সন্তানের নামও একই কায়দায় ঢোকানো হয়েছে বলে অভিযোগ তাদের

এছাড়া দুদক অভিযোগ কেন্দ্রে (হটলাইন-১০৬) আসা অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে ৯ দফতরে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে দুদক এনফোর্সমেন্ট ইউনিট থেকে চিঠি পাঠানো হয়েছে।

আরএম/জেডএস