তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, যেসব বিদেশি চ্যানেল ‘ক্লিন ফিড’ পাঠায় না তাদের এজেন্ট আছে। এ দায়িত্ব সংশ্লিষ্ট চ্যানেল ও এজেন্টের। এটি কেবল অপারেটরদের দায়িত্ব নয়। কিন্তু কোনো কোনো কেবল অপারেটর এজেন্টেদের পাশ কাটিয়ে সরাসরি স্যাটেলাইট থেকে পাইরেসির মাধ্যমে ডাউনলিংক করে। সেটি কিন্তু তারা করতে পারেন না। এটি আইন বহির্ভূত।

রোববার (৩ অক্টোবর) দুপুরে সচিবালয়ে মন্ত্রীর নিজ দফতরে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা জানান।

মন্ত্রী বলেন, বিবিসি, সিএনএন, আল জাজিরা, ফ্রান্স টিভি, রাশান টিভি, ইউরো টিভি, এনিমেল প্ল্যানেটসহ বাংলাদেশে ১৭টি চ্যানেলের ক্লিন ফিডে আসে। সেগুলোও তারা চালাচ্ছেন না, যা কেবল অপারেটর লাইসেন্সের শর্ত ভঙ্গ। তাই কেউ শর্ত ভঙ্গ করলে সেই অপরাধে অভিযুক্ত হবেন।

ডিজিটালাইজেশন করা পর্যন্ত বিদেশি চ্যানেলগুলো ‘ক্লিন ফিড’ ছাড়া চালানোর অনুমতি দিতে সরকারকে অনুরোধ জানিয়েছে কেবল অপারেটরস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (কোয়াব)।

এ বিষয়ে মন্ত্রীর দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে তিনি বলেন, ভারত, পাকিস্তান, শ্রীলঙ্কা পুরোটা ডিজিটালাইজড হয়নি। সেখানে আইন কার্যকর আছে। আমাদের দেশে এ ধরনের অজুহাত তোলার কোনো যুক্তি নেই।

কেবল অপারেটররা আর্থিকভাবে ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছেন- এমন দাবির বিষয়ে তথ্যমন্ত্রী বলেন, এটি জনগণকে ধোঁকা দেওয়ার মতো একটি বক্তব্য। তারা কি চ্যানেলগুলো দেখা না যাওয়ার পর চার্জ কমিয়ে দিয়েছে? এক টাকাও তো কমেনি। বিদেশি চ্যানেল দেখানোর জন্য এজেন্টেদের যে ফি দিত, বরং সেটা এখন দিতে হবে না, টাকা সাশ্রয় হবে।

সবাই বিদেশি চ্যালেন বন্ধ করেনি জানিয়ে তিনি বলেন, আকাশ ডিটিএইচসহ কেউ কেউ ওইসব চ্যানেল চালু রেখেছে। প্রথম দিকে তারা কিছু অসুবিধার কথা বলেছিল। আমি আশা করব, সেটি দু’একদিনের মধ্যে সমাধান হয়ে যাবে।

এসএইচআর/এসএম