• দেড় মাসে চার লাখ ট্যাব ডেলিভারি নিতে চায় বিবিএস
• অবাধ ক্রয় প্রতিযোগিতা বাধাগ্রস্ত হচ্ছে : বিসিএস সভাপতি
• জনশুমারি ব্যর্থ করার ষড়যন্ত্র হচ্ছে : সাইদুর রহমান

জনশুমারি ও গৃহগণনা প্রকল্পের আওতায় প্রায় চার লাখ ট্যাব (ট্যাবলেট কম্পিউটার) কিনতে দরপত্র (টেন্ডার) আহ্বান করে বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো (বিবিএস)। কিন্তু দরপত্রে ত্রুটি থাকায় পুনঃদরপত্রের (রি-টেন্ডার) আহ্বান করা হয়। সেই দরপত্রেও জটিলতা দেখা দিয়েছে। দেওয়া হয়েছে কঠিন কিছু শর্ত। সংশ্লিষ্টরা বলছেন, নির্দিষ্ট কোনো প্রতিষ্ঠানকে কাজ দিতে এমন শর্ত আরোপ করেছে বিবিএস।

‘জনশুমারি ও গৃহগণনা- ২০২১’ শীর্ষক প্রকল্পের আওতায় ডিজিটাল জনশুমারির জন্য তিন লাখ ৯৫ হাজার ট্যাব ও ৭২টি এয়ার কন্ডিশনার (এসি) কিনতে দরপত্র আহ্বান করে বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো। গত ২৩ জুন আহ্বান করা ওই দরপত্রে ‘ত্রুটি’ থাকায় সরকারি ক্রয়-সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটি পুনরায় দরপত্র আহ্বান করতে বিবিএসকে নির্দেশনা দেয়। নির্দেশনা অনুযায়ী ফের দরপত্র আহ্বান করে বিবিএস। কিন্তু সেখানে আরোপ করা হয় কঠিন কিছু শর্ত।

ডিজিটাল জনশুমারির জন্য তিন লাখ ৯৫ হাজার ট্যাব ও ৭২টি এসি কিনতে দরপত্র আহ্বান করে বিবিএস। কিন্তু ওই দরপত্রে ‘ত্রুটি’ থাকায় সরকারি ক্রয়-সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটি পুনরায় দরপত্র আহ্বান করতে বিবিএসকে নির্দেশনা দেয়। ফের দরপত্র আহ্বান করে বিবিএস। কিন্তু সেখানেও আরোপ করা হয় কঠিন কিছু শর্ত। অভিযোগ উঠেছে, নির্দিষ্ট কোনো প্রতিষ্ঠানকে কাজ দিতে এমন শর্ত আরোপ করেছে বিবিএস

শর্ত অনুযায়ী বিবিএসকে দরপত্র আহ্বানের দেড় মাসের মধ্যে সমুদয় ট্যাব হস্তান্তর করতে হবে। এছাড়া দরপত্র খোলার পাঁচ দিন পর ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানকে ট্যাব সরবরাহের কথা বলা হয়েছে। বিবিএসের এমন কঠিন শর্তের পরিপ্রেক্ষিতে বাংলাদেশ কম্পিউটার সমিতির (বিসিএস) অভিযোগ, নির্দিষ্ট কোনো প্রতিষ্ঠানকে কাজ দিতে এমন শর্ত আরোপ করেছে বিবিএস।

বিসিএসের মন্তব্য, ডিজিটাল বাংলাদেশ বিনির্মাণে সর্বোচ্চ প্রযুক্তির সুষম ব্যবহার এবং প্রতিযোগিতামূলক বাজার সৃষ্টিতে সরকারের সদিচ্ছা থাকলেও বিবিএস সেটা মানতে চাইছে না। অন্যদিকে বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ‘ট্যাবের মাধ্যমে এবারের জনশুমারি ব্যর্থ করার ষড়যন্ত্র চলছে।’

গত ২৩ জুন ৫৫৩ কোটি টাকায় তিন লাখ ৯৫ হাজার ট্যাব কিনতে প্রথম দরপত্র আহ্বান করে বিবিএস। অভিযোগ ওঠে, দরপত্রে কঠিন কিছু শর্ত আরোপ করায় সেখানে মাত্র দুটি প্রতিষ্ঠান অংশগ্রহণ করে। পরবর্তীতে মূল্যায়ন কমিটির সুপারিশে বিবিএসের ক্রয় কমিটি একটি প্রতিষ্ঠানকে কাজ দিতে সুপারিশ করে। কিন্তু ক্রয় কমিটির দরপত্রের প্রক্রিয়ায় ত্রুটি থাকায় এবং দরপত্রের শর্তগুলো সহজ করে অবাধ ক্রয় প্রতিযোগিতা নিশ্চিত করতে বিবিএসের আবেদনটি বাতিল করে পুনরায় দরপত্র আহ্বানের নির্দেশনা দেয় সরকারি ক্রয়-সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটি। এরই ধারাবাহিকতায় ট্যাব কিনতে আবারও টেন্ডার আহ্বান করে বিবিএস।

বিসিএসের মন্তব্য, ডিজিটাল বাংলাদেশ বিনির্মাণে সর্বোচ্চ প্রযুক্তির সুষম ব্যবহার এবং প্রতিযোগিতামূলক বাজার সৃষ্টিতে সরকারের সদিচ্ছা থাকলেও বিবিএস সেটা মানতে চাইছে না। অন্যদিকে, ট্যাবের মাধ্যমে এবারের জনশুমারি ব্যর্থ করার ষড়যন্ত্রের গন্ধ পাচ্ছেন কেউ কেউ

কঠিন শর্তের বিষয়ে বাংলাদেশ কম্পিউটার সমিতির (বিসিএস) সভাপতি মো. শাহিদ-উল-মুনীর ঢাকা পোস্টকে বলেন, ‘বিবিএস প্রথম টেন্ডারের (দরপত্র) অনুকূলেই ট্যাব কেনার রি-টেন্ডার (পুনঃদরপত্র) দিয়েছে। রি-টেন্ডারে যেসব শর্ত আরোপ করা হয়েছে তা অবাধ ক্রয় প্রতিযোগিতাকে বাধাগ্রস্ত করছে। এছাড়া, রি-টেন্ডারে বিবিএসের শর্তগুলো বিশেষ একটি কোম্পানির জন্য করা। ফলে বিবিএসের রি-টেন্ডারে দেশীয় প্রযুক্তির প্রতিষ্ঠানগুলোর অংশগ্রহণের সুযোগ থাকছে না।’

এ বিষয়ে বিসিএসের পরামর্শ হলো, পুনঃদরপত্রে ক্রয় প্রতিযোগিতাকে উন্মুক্ত করে দেশীয় প্রযুক্তির প্রতিষ্ঠানগুলোকে অংশগ্রহণের সুযোগ দেওয়া। একইসঙ্গে শর্তগুলো সহজ করা। দরপত্রের শর্তে অভিজ্ঞতার মানদণ্ডে ‘বিগত তিন বছরে শুধুমাত্র একটি একক চুক্তির মাধ্যমে ৪০০ কোটি টাকার পূর্ব-অভিজ্ঞতা থাকার কথা বলা হয়েছে।’ বিসিএস বলছে, এ শর্তে বেশির ভাগ দেশীয় প্রযুক্তির প্রতিষ্ঠান দরপত্রে অংশগ্রহণ করতে পারবে না। শর্ত বদলে যদি পূর্ব-অভিজ্ঞতায় তিন বছরে শুধুমাত্র সরকারি/আধা-সরকারি (বেসরকারি ব্যতীত) প্রতিষ্ঠানে একাধিক কার্যাদেশ/চুক্তির মাধ্যমে কমপক্ষে ৫০ কোটি টাকার সমজাতীয় পণ্য (যেমন- রিলেটেড গুডস, মোবাইল, ট্যাব, ল্যাপটপ ও আইটি এক্সেসরিস) সরবরাহের বিষয়টি প্রতিস্থাপন করা হয়, তাহলে দেশীয় প্রতিষ্ঠানগুলো দরপত্রে অংশগ্রহণ করতে পারবে। 

এছাড়া, একক লটে অন্তর্ভুক্ত না করে কমপক্ষে চারটি লটে বিভক্ত করে সুষম প্রতিযোগিতামূলক ক্ষেত্র তৈরির পরামর্শ দিয়েছে বিসিএস।

বিসিএস সভাপতি আরও বলেন, গত ৩৫ বছর ধরে বাংলাদেশ কম্পিউটার সমিতি প্রযুক্তি ব্যবসায়ীদের স্বার্থ নিয়ে কাজ করে যাচ্ছে। বিসিএস সর্বদা স্বচ্ছ ও জবাবদিহিতামূলক প্রক্রিয়ার পক্ষে কথা বলে। প্রযুক্তি পণ্যের ক্ষেত্রে সবসময় হালনাগাদ ডিভাইস ব্যবহার করা উচিত। এক্ষেত্রে নির্দিষ্ট কোনো পণ্যনির্মাতা প্রতিষ্ঠান বা বিপণন প্রতিষ্ঠানকে এককভাবে সুবিধা দেওয়া হলে অন্যান্য প্রতিষ্ঠানে নেতিবাচক প্রভাব পড়ে। ডিজিটাল বাংলাদেশ বিনির্মাণে সর্বোচ্চ প্রযুক্তির সুষম ব্যবহার এবং প্রতিযোগিতামূলক বাজার সৃষ্টিতে সরকার বরাবর আন্তরিক। আমরা চাই, দরপত্রেও সুষ্ঠু ও স্বচ্ছ প্রক্রিয়া নিশ্চিত করা হোক।

উপেক্ষিত সরকারি ক্রয়-সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির নির্দেশনা
বিবিএসকে ট্যাব কেনার বিষয়ে পুনঃদরপত্র আহ্বানের ক্ষেত্রে সরকারি ক্রয়-সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটি কিছু নির্দেশনা দেয়।  ক্রয়-সংক্রান্ত কার্যপত্রে বলা হয়, “উন্মুক্ত দরপত্র পদ্ধতিতে আলোচ্য ক্রয়ে দুটি দরদাতা প্রতিষ্ঠান দরপত্র দাখিল করলেও দরদাতা প্রতিষ্ঠান ওয়ালটন ডিজিটেক ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেড কর্তৃক দাখিলকৃত দরপত্র কারিগরিভাবে কতিপয় শর্তপূরণ না করায় এবং অভিজ্ঞতার ঘাটতি থাকায় মূল্যায়নে উক্ত প্রতিষ্ঠানটি ‘নন-রেসপনসিভ’ বিবেচিত হয়। এজন্য আলোচ্য ক্রয়প্রক্রিয়ায় যথাযথ ক্রয় প্রতিযোগিতার অভাব পরিলক্ষিত হয়। এছাড়া এ ধরনের বৃহৎ ও টেকনিক্যাল পণ্য ক্রয়ের ক্ষেত্রে উন্মুক্ত দরপত্র পদ্ধতির পরিবর্তে ‘এক ধাপ দুই খাম’ পদ্ধতি অনুসরণ করা হলে পণ্যের গুণগতমান ঠিক রেখে ক্রয়কার্য সম্পন্ন করা যায়। এ প্রেক্ষাপটে আলোচ্য ক্রয় প্রস্তাবটি বাতিল করে পিপিআর, ২০০৮ এর বিধি- ৬৮ (খ) অনুযায়ী ‘এক ধাপ দুই খাম’ পদ্ধতি অনুসরণ করে আলোচ্য পণ্য ক্রয়ের ক্ষেত্রে দরপত্র দাখিলের সময়সীমা ন্যূনতম ১০ দিন নির্ধারণ করে ক্রয়কার্যক্রম সম্পন্ন করা যেতে পারে।”

নির্দেশনায় আরও বলা হয়, ‘সরকার সকল ক্ষেত্রে বাংলাদেশে তৈরি মানসম্মত পণ্য ব্যবহারে নীতিগতভাবে একমত। ফলে এ ধরনের ক্রয়প্রক্রিয়ায় বাংলাদেশি শিল্পপ্রতিষ্ঠানসমূহকে উৎসাহ প্রদানের লক্ষ্যে ক্রয়-সম্পর্কিত বিধি-বিধানে বিশেষ কোনো সুবিধা প্রদান করা যায় কি না তা বাস্তবায়ন, পরিবীক্ষণ ও মূল্যায়ন বিভাগ (আইএমইডি) বিবেচনা করতে পারে।’

ট্যাব কেনা প্রস্তাব বাতিল প্রসঙ্গে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের অতিরিক্ত সচিব শামসুল আরেফিন ঢাকা পোস্টকে বলেন, ‘জনশুমারি ও গৃহগণনা প্রকল্পের আওতায় ট্যাব কেনার বিষয়টিতে ত্রুটি ধরা পড়ে। এজন্য এটি বাতিল করে রি-টেন্ডারের (পুনঃদরপত্র) জন্য বলা হয়।’

আপনারা শর্ত সহজ করে পুনঃদরপত্র আহ্বানের জন্য নির্দেশনা দিলেও বিবিএস প্রথম দরপত্রের শর্তগুলো পুনঃদরপত্রে আরোপ করেছে— এ বিষয়ে শামসুল আরেফিন বলেন, ‘প্রস্তাবটি নতুন করে না আসলে এখন কিছু বলতে পারব না। এ কমিটির সদস্য মন্ত্রী মহোদয়গণ। প্রস্তাব আসলে তারা (মন্ত্রীরা) যে সিদ্ধান্ত দেবেন, সেটাই চূড়ান্ত বলে গণ্য হবে।’

ট্যাব দিয়ে জনশুমারি করার যৌক্তিকতা নিয়ে প্রশ্ন 
এদিকে, বিবিএসের ট্যাব কেনার যৌক্তিকতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন সংস্থাটির সাবেক পরিচালক এ এম সাইদুর রহমান। তিনি ঢাকা পোস্টকে বলেন, ‘যে জিনিস (ট্যাব) ব্যবহার হবে, এটা আসলে ব্যবহারযোগ্য কি না? যেহেতু জনশুমারি কাজটা জাতীয় পর্যায়ে করা হবে, সেহেতু সরাসরি ব্যবহারে এটার পরীক্ষা-নিরীক্ষার কোনো সুযোগ নেই। বিশাল পর্যায়ে কাজটি করতে হলে আগে পাইলটিং করতে হয়। এর আগে বিবিএসের এনএসডি প্রকল্পের আওতায় রংপুর ও নীলফামারীতে ট্যাবের মাধ্যমে তথ্য সংগ্রহের পরীক্ষা করা হয়েছিল। কিন্তু সেই প্রকল্পে ট্যাব ব্যর্থ হয়। যেটা ব্যর্থ হয়েছিল সেটার ব্যবহার আবার কেন?’

‘ডাটা এন্ট্রির জন্য যেখানে ইনটেলিজেন্ট ক্যারেক্টার রিকগনিশন (আইসিআর) মেশিনসহ সংশ্লিষ্ট জিনিসপত্র প্রয়োজন, সেখানে ট্যাব কিনব কেন? খরচের বিষয়টা তো দেখতে হবে! গত শুমারির অভিজ্ঞতায় বলব, আইসিআর মেশিনে ডাটা এন্ট্রি করতে যন্ত্রপাতি কেনার পর প্রতি প্রশ্নপত্রে খরচ হয় ১৫ পয়সা করে। এখন যদি চার কোটি হাউজহোল্ডও গণনা করা হয়, তাহলে আইসিআর মেশিনে খরচ হবে ৬০ লাখ টাকা। সেখানে ট্যাবের মাধ্যমে সাড়ে ৫০০ কোটি টাকা খরচ করা হচ্ছে কেন? আমি মনে করি, জনগণের ট্যাক্সের টাকা এ অর্থে খরচ করা অপচয় ছাড়া আর কিছুই নয়।’

তিনি প্রশ্ন রাখেন, ‘চলমান কৃষি শুমারির অভিজ্ঞতায় চার কোটি প্রশ্নপত্র ছাপাতে লাগবে সাড়ে তিন কোটি টাকা। হাউজহোল্ড ডাটা এন্ট্রি করতে লাগবে ৬০ লাখ টাকা। তাহলে চার কোটি টাকার কাজ করতে কেন ৫৫৩ কোটি টাকা ব্যয় করা হচ্ছে?’

‘অনিশ্চিত এবং বিবিএসে ব্যর্থ হিসেবে প্রমাণিত সেই ট্যাবেই এবারের জনশুমারি! আমার মনে হয়, এটি শুধু অর্থের অপচয় ও লুটপাটের আয়োজনই নয়, শুমারিটা ব্যর্থ করার ষড়যন্ত্রও’— বলেন এ এম সাইদুর রহমান।

প্রসঙ্গত, বিবিএসের সব কার্যক্রম পরিচালিত হয় পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের অধীনে। বিবিএসের সবচেয়ে বড় ‘জনশুমারি ও গৃহগণনা- ২০২১’ শীর্ষক প্রকল্পটি হাতে নেওয়ার পর থেকে বেশ কয়েকবার হোঁচট খায়। বেশি দামে ট্যাব কেনা এবং ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের অর্থে ২০ জনের বিদেশ ভ্রমণের বিষয়টি বেশ সমালোচিত হয়। এছাড়া, প্রথম দরপত্রে ত্রুটি থাকায় সেটি বাতিল করা হয়। এসব কারণে সঠিক সময়ে প্রকল্পটির বাস্তবায়ন নিয়ে সন্দেহ দেখা দিয়েছে।

প্রকল্পটি ২০১৯ সালের ২৯ অক্টোবর জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) সভায় অনুমোদন দেন একনেক চেয়ারপারসন ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। মূল অনুমোদিত প্রকল্পটির মোট ব্যয় ধরা হয়েছে এক হাজার ৭৬২ কোটি টাকা।

এবারই প্রথম মূল শুমারির কাজটি ট্যাবের মাধ্যমে করার উদ্যোগ নিয়েছে বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো (বিবিএস)। এর আগে, ট্যাবে শুমারির কাজ করতে মূল ডিপিপি (উন্নয়ন প্রকল্প প্রস্তাব) আন্তঃসমন্বয় করে বিবিএস। ফলে শুমারির কাজ ম্যানুয়ালি এবং দুটি জেলায় ট্যাবের মাধ্যমে পাইলটিং বেসিস করার কথা। কিন্তু প্রকল্প কর্তৃপক্ষ পরিবর্তন হওয়ায় ম্যানুয়ালি পদ্ধতি বাদ দিয়ে সম্পূর্ণভাবে ডিজিটালি করার উদ্যোগ নেয় বিবিএস।

এসআর/এমএআর