কমিউনিটি জবসের নামে ২১২ কোটি টাকা হাতিয়েছে রিং আইডি
মাত্র তিন মাসে ‘কমিউনিটি জবস’-এর নামে ২১২ কোটি ৪৫ লাখ টাকা আত্মসাৎ করেছে সামাজিক নেটওয়ার্কিং প্ল্যাটফর্ম ‘রিং আইডি’।
শনিবার (২ অক্টোবর) পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগের (সিআইডি) মিডিয়া কর্মকর্তা অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. আজাদ রহমান এ তথ্য জানিয়েছেন।
বিজ্ঞাপন
তিনি বলেন, রিং আইডির পরিচালক মো. সাইফুল ইসলামকে জিজ্ঞাসাবাদে অর্থ আত্মসাতের গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পাওয়া যাচ্ছে। জিজ্ঞাসাবাদে জানা গেছে, কমিউনিটি জবসের নামে রিং আইডি গত মে মাসে ২৩ কোটি ৯৪ লাখ, জুন মাসে ১০৯ কোটি ১৩ লাখ এবং জুলাই মাসে ৭৯ কোটি ৩৮ লাখ টাকাসহ মোট ২১২ কোটি ৪৫ লাখ টাকা অবৈধভাবে সংগ্রহ করেছে।
‘আইনি প্রক্রিয়া চলাকালে জনগণের কাছ থেকে নেওয়া এ টাকা যাতে বিদেশে পাচার না হয় সেজন্য ইতোমধ্যে রিং আইডি সংশ্লিষ্ট সব ব্যাংক অ্যাকাউন্ট ফ্রিজ করতে বাংলাদেশ ব্যাংককে অনুরোধ জানানো হয়েছে।’
রাজধানীর ভাটারা থানায় করা এক প্রতারণার মামলায় শুক্রবার (১ অক্টোবর) সকালে রিং আইডির পরিচালক মো. সাইফুল ইসলাম (৪১) গ্রেফতার হয়েছেন। গুলশানের নিজ বাসা থেকে তাকে গ্রেফতার করে সিআইডি। গ্রেফতারের পর জিজ্ঞাসাবাদে অর্থ আত্মসাতের চাঞ্চল্যকর তথ্য পাওয়া যাচ্ছে।
আজাদ রহমান বলেন, তাদের (রিং আইডি) সন্দেহজনক কার্যক্রম লক্ষ্য করে বেশ কিছুদিন আগে সিআইডি থেকে বাংলাদেশ ফিন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিটকে (বিএফআইইউ) অনুসন্ধানের জন্য চিঠি পাঠানো হয়। বিএফআইইউ ইতোমধ্যে এ বিষয়ে তাদের অনুসন্ধান কার্যক্রম শুরু করেছে। এছাড়াও রিং আইডির ইস্যুতে সাইবার পুলিশ সেন্টারে মানিলন্ডারিং বিষয়ে একটি অনুসন্ধান কার্যক্রম চলমান রয়েছে।
‘এরই ধারাবাহিকতায় সাইবার পুলিশ সেন্টার ইতোমধ্যে রিং আইডির অবৈধ কার্যক্রম সম্পর্কে অনেক তথ্য সংগ্রহ করেছে। কমিউনিটি জবসের নামে বিজ্ঞাপন দেখার বিনিময়ে অর্থ উপার্জনের কথা বলত রিং আইডি। এ অফারকে কৌশল হিসেবে ব্যবহার করে জনগণের কাছে থেকে বিপুল পরিমাণ অর্থ হাতিয়ে নিয়েছে প্রতিষ্ঠানটি। ইতোমধ্যে তার প্রমাণও পাওয়া গেছে।’
তিনি আরও বলেন, দেশের বিভিন্ন স্থানে ভুক্তভোগীরা রিং আইডির বিরুদ্ধে একাধিক মামলা দায়ের করেছেন। ভুক্তভোগীরা মামলা দায়েরের জন্য সহায়তা বা চলমান কার্যক্রম সম্পর্কে তথ্য পেতে চাইলে সাইবার পুলিশ সেন্টারের বিশেষ পুলিশ সুপার রেজাউল মাসুদের (০১৩২০০১০০৮১) সাথে যোগাযোগ করতে পারেন বলে জানিয়েছেন আজাদ রহমান।
এমএসি/এইচকে