রাজধানীর তেজগাঁওয়ে বিস্ফোরণে দগ্ধ জিতু (২৮) চিকিৎসাধীন অবস্থায় শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে মারা গেছেন।

শুক্রবার (১ অক্টোবর) দিবাগত রাত সাড়ে ৩টায় আইসিইউতে তার মৃত্যু হয়। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইন্সটিটিউটের আবাসিক সার্জন ডা. এসএম আইউব হোসেন।

তিনি ঢাকা পোস্টকে বলেন, শুক্রবার তেজগাঁওয়ে বিস্ফোরণে দগ্ধ জিতু ও ইয়াসিন আমাদের এখানে ভর্তি হয়। তাদের দুজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় আইসিইউতে পাঠানো হয়। পরে জিতু রাত সাড়ে ৩টায় আইসিইউর ১০ নম্বর বেডে মারা যায়। তার শরীরের ৬৪ শতাংশ দগ্ধ হয়েছিল। আইসিইউতে ইয়াসিনের চিকিৎসা চলছে।

নিহতের বোন জামাই গিয়াসউদ্দিন ঢাকা পোস্টকে বলেন, জিতু ঢাকা কলেজ থেকে পড়াশোনা শেষ করেছে। বিসিএস দিয়েছে দুই বার কিন্তু টেকেনি। এবারও তার বিসিএস দেওয়ার কথা ছিল। নেদারল্যান্ডস যাওয়ার জন্যও প্রস্তুতি নিচ্ছিল। কাগজপত্র চলে এসেছে কিন্তু তার আর নেদারল্যান্ডস যাওয়া হলো না। চলে গেলেন না ফেরার দেশে।

জিতুর বাড়ি পাবনা জেলার আতাইকুলা থানার গঙ্গারামপুর গ্রামে। তার বাবার নাম আহসাদুল ইসলাম।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে তেজগাঁও থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) আব্দুল মান্নান ঢাকা পোস্টকে বলেন, ওই বাসায় গ্যাস লিকেজ ছিল। পরে সিগারেট ধরাতে গেলে বিস্ফোরণ হয়। মৃত্যুর আগে জিতু এ কথা বলে গেছেন।

তার মরদেহ শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইন্সটিটিউটের মর্গে রাখা হয়েছে।

এসএএ/এসএসএইচ