শব্দদূষণ নিয়ন্ত্রণে প্রয়োজনীয় সব করা হবে: পরিবেশমন্ত্রী
শব্দদূষণ নিয়ন্ত্রণে প্রয়োজনীয় সবকিছু করা হবে বলে আশ্বস্ত করেছেন পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রী মো. শাহাব উদ্দিন।
তিনি বলেছেন, জনগণকে সম্পৃক্ত করে শব্দদূষণ নিয়ন্ত্রণে সমন্বিত ও অংশীদারিত্বমূলক প্রকল্প গ্রহণ করা হয়েছে। এ প্রকল্পের মাধ্যমে বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষকে সচেতনতামূলক প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে। নানামুখী কর্মসূচি বাস্তবায়নের মাধ্যমে শব্দদূষণের বিরুদ্ধে জনমত তৈরি করা হবে। সবার সমন্বিত প্রচেষ্টায় সহনীয় পর্যায় নেমে আসবে শব্দদূষণ।
বিজ্ঞাপন
বৃহস্পতিবার (২১ জানুয়ারি) পরিবেশ অধিদপ্তর আয়োজিত ‘শব্দদূষণ নিয়ন্ত্রণে সমন্বিত ও অংশীদারিত্বমূলক প্রকল্প‘র উদ্বোধনী কর্মশালায় তিনি এসব কথা বলেন।
মো. শাহাব উদ্দিন বলেন, বিআরটিএ প্রতিবছর প্রায় তিন থেকে চার লাখ নতুন গাড়ির রেজিস্ট্রেশন দিচ্ছে। ক্রমবর্ধমান যানবাহনের অহেতুক হর্ণ,যত্রতত্র সাউন্ড বক্স, মাইকের মাধ্যমে সৃষ্ট উচ্চশব্দে মানুষের স্বাভাবিক জীবনযাত্রা ব্যাহত হচ্ছে। আর্থ-সামাজিক উন্নয়নকে টেকসই করতে হলে অন্যান্য দূষণের পাশাপাশি শব্দদূষণের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ার এখনই সময়। ক্ষতিকর দিকগুলো বিবেচনায় নিয়ে শব্দদূষণ নিয়ন্ত্রণে বিদ্যমান আইন-বিধি বাস্তবায়ন ও অতিরিক্ত শব্দ করা থেকে বিরত থাকার সংস্কৃতি তৈরি করতে হবে।
ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য নিরাপদ আবাসের লক্ষ্যে ‘শব্দদূষণমুক্ত পরিবেশ, শেখ হাসিনার বাংলাদেশ’ গড়ার আহ্বান জানান তিনি।
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক প্রাণ গোপাল দত্ত বলেন, জনগণকে ব্যাপকভাবে বধির হওয়া থেকে রক্ষা করতে শব্দদূষণ বন্ধ করতেই হবে।
এজন্য পাঠ্যক্রমে শব্দদূষণের ক্ষতিকর প্রভাব অন্তর্ভুক্তের আহ্বান জানান এই চিকিৎসক।
পরিবেশ অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক ও প্রকল্প পরিচালক মো. হুমায়ুন কবির জানান, শব্দদূষণ নিয়ন্ত্রণে সমন্বিত ও অংশীদারিত্বমূলক প্রকল্পের আওতায় পরিবহন শ্রমিক-চালক, শিক্ষার্থী, সরকারি কর্মচারী, কারখানার নির্মাণ শ্রমিক, সাংবাদিক, শিক্ষক, ইমাম, পেশাজীবী ও স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের মোট ৯৫ হাজার ২০০ জনকে সচেতনতামূলক প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে। সারাদেশে মোট দুই হাজার ভ্রাম্যমাণ আদালত, যৌথ অভিযান পরিচালনা করা হবে। শব্দদূষণ (নিয়ন্ত্রণ) বিধিমালা, ২০০৬ সংশোধনক্রমে সময়োপযোগী বিধিমালা প্রণয়ন করা হবে।
৬৪ জেলায় শব্দের মাত্রা পরিমাপে জরিপ কার্যক্রম এবং তথ্যভাণ্ডার তৈরি করা হবে বলে জানান প্রকল্প পরিচালক।
এসময় পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের সচিব জিয়াউল হাসান, অতিরিক্ত সচিব (পরিবেশ) মাহমুদ হাসান, পরিবেশ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ড. এ. কে. এম রফিক আহাম্মদ প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
এইচএন/এসআরএস