দেশে জনসংখ্যা ও চালের চাহিদার সঠিক পরিসংখ্যান নেই বলে জানিয়েছেন কৃষিমন্ত্রী ড. মো: আব্দুর রাজ্জাক।

বুধবার (২৯ সেপ্টেম্বর) ‘ফার্ম সেক্টর অব বাংলাদেশ : প্রসপেক্টস অ্যান্ড চ্যালেঞ্জ’ নামে বইয়ের মোড়ক উন্মোচন ও আলোচনা সভায় তিনি এ মন্তব্য করেন। ফোরাম ফর ইনফরমেশন ডিসেমিনেশন অন এগ্রিকালচার (ফিডা) ও সিনজেন্টা বাংলাদেশ লি. এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে। 

প্রধান অতিথির বক্তব্যে কৃষিমন্ত্রী বলেন, বর্তমান সরকারের সময়োপযোগী পদক্ষেপের ফলে দেশে চালের রেকর্ড উৎপাদন হয়েছে। গড় উৎপাদনশীলতাও বেড়েছে। এখন দেশে প্রতি শতাংশ জমিতে ১ মণ করে ধান উৎপাদন হয়। তারপরও চাল আমদানি করতে হচ্ছে নানা কারণে। দেশে জনসংখ্যা ও চালের চাহিদার সঠিক পরিসংখ্যান নেই।

তিনি বলেন, বছর বছর জনসংখ্যা বাড়ছে, চাষের জমি কমছে। অন্যান্য ফসলের চাষেও জমি ব্যবহার হচ্ছে। দেশে বছরে এখন ৬০ লাখ টন ভুট্টা উৎপাদন হচ্ছে। আগে যে খেতে ধানের চাষ হতো সেখানেই ভুট্টা চাষ হচ্ছে। একইসাথে, চালের নন-হিউম্যান কনজামশন অনেক বেড়েছে। মাছ, পোলট্রি, প্রাণি খাদ্য ও স্টার্চ হিসেবে চালের ব্যবহার দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। এসব মিলে দেশে চালের ঘাটতি দেখা যাচ্ছে।

কৃষিমন্ত্রী বলেন, যে যে ভাবে পারছে দেশের বাইরে থেকে নতুন ধরনের ফসলের জাত নিয়ে আসছে ও চাষ করছে। এটিকে আমরা উৎসাহ দেই, কিন্তু সাথে সাথে দেখতে হবে দেশে এসব ফসল চাষে কোনো ঝুঁকি বা স্বাস্থ্যঝুঁকি রয়েছে কি না। এসব ফসল চাষ আদৌ আমাদের প্রয়োজন আছে কি না।

ড. রাজ্জাক বলেন, প্রাইভেট সেক্টর ও সাংবাদিকদের এ যৌথ উদ্যোগকে অভিনন্দন জানাই। আমরা কৃষিকে বাণিজ্যিক, আধুনিক ও লাভজনক করতে চাই। এক্ষেত্রে মিডিয়ার বিরাট ভূমিকা রয়েছে। প্রাইভেট সেক্টরকেও এগিয়ে আসতে হবে।

ফিডার সভাপতি রিয়াজ আহমদের সভাপতিত্বে বিএডিসির চেয়ারম্যান ড. অমিতাভ সরকার, বিএআরসির নির্বাহী চেয়ারম্যান ড. শেখ মো. বখতিয়ার, কৃষি বিপণন অধিদফতরের মহাপরিচালক মোহাম্মদ ইউসুফ, বারির মহাপরিচালক নাজিরুল ইসলাম, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের পরিচালক মনিরুল আলম, ফিডার সাধারণ সম্পাদক সালাহউদ্দিন বাবলু, ফিডার সদস্য কাউসার রহমান, সিনজেন্টার ব্যবস্থাপনা পরিচালক গোলাম তৌহিদ প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।

অনুষ্ঠানে আয়োজকরা জানান, দেশের কৃষির সম্ভাবনা ও চ্যালেঞ্জ নিয়ে ‘ফার্ম সেক্টর অব বাংলাদেশ : প্রসপেক্টস অ্যান্ড চ্যালেঞ্জ’ বইটি ফিডা ও সিনজেন্টা বাংলাদেশ ফেলোশিপের আওতায় প্রকাশিত হয়েছে।

একে/এসকেডি