ইভ্যালির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) মো. রাসেল ও তার স্ত্রী শামীমা নাসরিনের (চেয়ারম্যান) মুক্তিসহ সাত দফা দাবি জানিয়েছে প্রতিষ্ঠানটির গ্রাহকরা। তারা বিশ্বাস করে, ইভ্যালিকে সময় দিলে তাদের পণ্য ও টাকা ফেরত আসবে।

বুধবার (২৯ সেপ্টেম্বর) জাতীয় জাদুঘরের সামনে আয়োজিত এক মানববন্ধন থেকে এ দাবি জানান তারা।

তাদের অন্যান্য দাবিগুলো হলো- রাসেলকে নজরদারিতে রেখে ব্যবসায় করার সুযোগ দেওয়া; এসক্রো সিস্টেম চালু হওয়ার আগে অর্ডার করা পণ্য ডেলিভারি দিতে কমপক্ষে ছয় মাস সময় দিতে হবে; বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের অধীনে ইকাব, পেমেন্ট গেটওয়ে, মার্চেন্ট ও ভোক্তাদের প্রতিনিধিদের সমন্বয় কমিটি গঠন করতে হবে; করোনাকালীন সময়ে বিভিন্ন খাতের মতো ই-কমার্স প্ল্যাটফর্মগুলোকে প্রণোদনা দিতে হবে; ই-কমার্স প্ল্যাটফর্মগুলোকে বাংক গ্যারান্টিসহ বাণিজ্য মন্ত্রণালয় থেকে লাইসেন্স নিতে হবে। এছাড়াও ই-কমার্স দেশের সবচেয়ে সম্ভাবনাময় খাত, যেখানে হাজার হাজার উদ্যোক্তা সৃষ্টি এবং লাখ লাখ কর্মসংস্থান হচ্ছে। এই সেক্টরকে সরকারিভাবে সুরক্ষা দিতে হবে।

মানববন্ধনে প্রতিষ্ঠানটির একজন বিক্রেতা মো. ফয়সাল ইসলাম বলেন, রাসেল ভাইয়ের বিরুদ্ধে মামলা করেছে কে? নাম না জানা কয়েকজন মামলা করেছে। আমি এ প্রতিষ্ঠানে কোটি টাকার বেশি পাই। আমি মামলা করিনি। কারণ, আটক হওয়ার ৪/৫ দিন আগেও আমাকে ১০ লাখ টাকা দিয়েছে। আমি আমার ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছি। প্রতিষ্ঠান এখন লাভের দিকে যাচ্ছিল। প্রতি ল্যাপটপে তিনি ৬ হাজার টাকা করে লাভ করছেন। পণ্য ডেলিভারি দিচ্ছেন। তাহলে তাকে কেন সময় দেওয়া হবে না। তাদের সেল দারাজ থেকেও ৫০-৬০ গুণ বেশি।

তিনি আরও বলেন, তিনি যখন লাভে গেলেন তখনই কেন তাকে আটক করতে হবে? প্রতিমন্ত্রী পলক সাহেবসহ বড় বড় মানুষ তাকে প্রমোট করেছে। এখন কেন তারা মাথা ঘুরিয়ে ফেলছেন। এখন তাদের মাথা ঘুরানোর সুযোগ নেই। তারা ব্র্যান্ডিং না করলে আমরা ব্যবসায় নামতাম না। তাদের প্রমোটেই আমরা ব্যবসায় নেমেছি, প্রতারিত হয়েছি। ইভ্যালি টাকা দিতে ব্যর্থ হলে এই দ্বায়ভার সরকারকেই নিতে হবে।

মানববন্ধনে অন্যান্যরা বলেন, আমরা ইভ্যালির সিইও রাসেল ভাই ও তার স্ত্রীর মুক্তি চাচ্ছি। যত দ্রুত উনি মুক্তি পাবেন তত দ্রুত আমাদের ব্যাকলগগুলো ক্লিয়ার করতে পারবেন। আমরা বিশ্বাস করি, উনি আমাদের যে কমিটমেন্ট করেছেন সে কমিটমেন্ট অনুসারে আমাদের পণ্যগুলো আমাদেরকে দিয়ে দেবেন। আমরা যারা আছি, সবাই ওনাকে সময় দিতে চাই। এ বিষয়ে কিন্তু ভোক্তা অধিকারে মামলা করছি না। কারণ উনি বিজনেস করতে এসেছেন। বিজনেস করার চিন্তা আছে বলেই আমাদের কাছে সময় চেয়েছেন।

তিনি আরও বলেন, আজকেও আমাদের অর্ডারের ইনভয়েসগুলো নিয়ে এসেছি। কারণ আমাদের আন্দোলনে অনেকেই বলছে, আমরা নাকি রাসেল ভাইয়ের পক্ষে কথা বলছি। বিষয়টা ঠিক না, আমরা ক্রেতা-বিক্রেতা সবাই এখানে উপস্থিত আছি, আমাদের প্রত্যেকেরই অর্ডার ডকুমেন্ট আছে।

মানববন্ধনে প্রায় শতাধিক ক্রেতা-বিক্রেতা উপস্থিত ছিলেন।

এমএইচএন/ওএফ