নকল পণ্য বিক্রি: ১৯ প্রতিষ্ঠানকে অর্ধকোটি টাকা জরিমানা
রাজধানীর চকবাজারে অভিযান চালিয়ে নকল কসমেটিকস তৈরি-মজুদ এবং মেয়াদোত্তীর্ণ শিশু খাদ্য বিক্রির অভিযোগে ১৯ প্রতিষ্ঠানকে ৫২ লাখ ২৫ হাজার টাকা জরিমানা করেছে র্যাবের ভ্রাম্যমাণ আদালত।
র্যাব-১০ এর কোম্পানি কমান্ডার (সিপিসি-৩) মেজর মোহাম্মদ আনিসুজ্জামানের সহায়তায় র্যাব সদর দপ্তরের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. সারোয়ার আলম এ আদালত পরিচালনা করেন।
বিজ্ঞাপন
বুধবার (২০ জানুয়ারি) দুপুর ১২টা থেকে মধ্যরাত পর্যন্ত চকবাজারের মুকিম কাটারা এবং চাম্পাতলী এলাকায় এ অভিযান চালানো হয়।
র্যাব-১০ এর কোম্পানি কমান্ডার (সিপিসি-৩) মেজর মোহাম্মদ আনিসুজ্জামান জানান, অভিযানে ১৯টি প্রতিষ্ঠান থেকে বিএসটিআইয়ের অনুমোদনবিহীন বিপুল পরিমাণ ভেজাল, নকল ও নিম্নমানের কসমেটিকস পণ্য এবং মেয়াদহীন খাদ্য পণ্য জব্দ করা হয়।
এসব ভেজাল পণ্য উৎপাদন, মজুদ ও বিক্রয়ের অপরাধে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ আইন, ২০০৯ এবং নিরাপদ খাদ্য আইন পঞ্চম সংশোধনী, ২০১৩ অনুযায়ী ১৯টি প্রতিষ্ঠানকে ৫২ লাখ ২৫ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করা হয়।
এর মধ্যে সারোয়ার ম্যানশনের মোহাম্মদ মিঠুকে ছয় লাখ এবং মোহাম্মদ শাহেদকে পাঁচ লাখ টাকা জরিমানা ও ৩ মাসের কারাদণ্ড দেয় ভ্রাম্যমাণ আদালত। এছাড়া রাজিব এন্টারপ্রাইজের মোহাম্মদ ইউনুসকে ২ লাখ টাকা জরিমানা এবং ৬ মাসের কারাদণ্ড দিয়ে জেলহাজতে প্রেরণ করা হয়।
এসময় ৮টি দোকান, গোডাউন সিলগালা করে প্রায় ৫০ লাখ টাকা মূল্যের ভেজাল, নকল, নিম্নমানের প্রসাধনী এবং বিভিন্ন মেয়াদোত্তীর্ণ খাদ্যসামগ্রী ধ্বংস করা হয়।
নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. সারোয়ার আলম বলেন, নকল ও নিম্নমানের প্রসাধনী ব্যবহারে শিশু এবং প্রাপ্তবয়স্কদের মারাত্মক চর্মরোগ এমনকি ক্যান্সারের মতো মারাত্মক রোগের আশঙ্কা রয়েছে। ভবিষ্যতে ভেজাল ও নিম্নমানের প্রসাধনী, খাদ্যসামগ্রী উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে অভিযান অব্যাহত থাকবে।
জেইউ/এসআরএস