প্রধানমন্ত্রীর উপহার হিসেবে গৃহহীনদের জন্য নির্মিত ঘর/ ছবি: সংগৃহীত

‘মুজিববর্ষের’ উপহার হিসেবে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পক্ষ থেকে এক দিনে ঘর ও জমি পাচ্ছে ৬৬ হাজার পরিবার।

বৃহস্পতিবার (২১ জানুয়ারি) এক সংবাদ সম্মেলনে এ কথা জানান প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের মুখ্য সচিব আহমেদ কায়কাউস। প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে এ সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়।

তিনি বলেন, ‘এটি একটি সামাজিক যুদ্ধ। এই প্রকল্পের মাধ্যমে যদি প্রধানমন্ত্রীর ঘোষণা বাস্তবায়ন হয়, তাহলে মুজিববর্ষে একটি মানুষও গৃহহীন থাকবে না।’

উল্লেখ্য, সারা দেশে ভূমি ও গৃহহীন আট লাখ ৮৫ হাজার ৬২২ পরিবারকে বাড়ি নির্মাণ করে দিচ্ছে সরকার। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী ‘মুজিববর্ষে’ এটিই প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিশেষ উপহার।

২০২০ সালের ৭ মার্চ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ঘোষণা দিয়েছিলেন যে, দেশের একটি মানুষও গৃহহীন বা ভূমিহীন থাকবে না। তার এই ব্রতকে সামনে রেখেই মুজিববর্ষে প্রতিটি গৃহহীন-ভূমিহীন পরিবারই পাচ্ছে দুর্যোগ সহনীয় সেমিপাকা ঘর, আর দুই শতাংশ জমির মালিকানা। সম্পূর্ণ বিনামূল্যে দুই শতক জমির মালিকানাসহ সুদৃশ্য রঙিন টিনশেডের সেমিপাকা বাড়ি পাবেন এসব হতদরিদ্ররা।

সারা দেশে গৃহহীনদের জন্য ঘর নির্মাণের এই মহাযজ্ঞ প্রতিনিয়ত মনিটরিং করছেন স্বয়ং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

জানা গেছে, আগামী শনিবার প্রথম ধাপে ৬৯ হাজার ৯০৪ ভূমিহীন ও গৃহহীন পরিবার বঙ্গবন্ধু কন্যার উপহারের ঘর পাচ্ছেন এর মধ্যে ৬৬ হাজার ১৮৯টি ভূমিহীন-গৃহহীন পরিবারকে দুই শতাংশ খাস জমির মালিকানা দিয়ে বিনা পয়সায় দুই কক্ষবিশিষ্ট ঘর মুজিববর্ষের উপহার হিসেবে প্রধানমন্ত্রী প্রদান করবেন। এছাড়া ২১টি জেলার ৩৬টি উপজেলায় ৪৪টি গ্রামে ৭৪৩টি ব্যারাক নির্মাণের মাধ্যমে তিন হাজার ৭১৫টি পরিবারকে ব্যারাকে পুনর্বাসন করা হবে। প্রধানমন্ত্রী গণভবন থেকে ভার্চুয়ালি অনুষ্ঠানে যুক্ত হয়ে সেসব ঘর সুবিধাভোগীদের কাছে হস্তান্তর করবেন।

এইউএ/এফআর