হাসপাতালেই নাচবে-খেলবে অসুস্থ শিশুরা
হাসপাতাল হলো অসুস্থদের চিকিৎসা কেন্দ্র। যেখানে রোগীরা কাতরাতে থাকেন, অন্যদিকে স্বজনরা হাউমাউ করে কাঁদতে থাকেন -এমনটাই যেন একটি হাসপাতালের চিত্র হয়ে দাঁড়িয়েছে। এমন শিশুদের চিকিৎসা ও মানসিক অবস্থায় বিরূপ প্রতিক্রিয়া তৈরি করে। শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে শিশুদের জন্য প্লে সেন্টার তৈরি করে এমন চিত্র অনেকটাই পাল্টে দিয়েছে স্বেচ্ছাসেবী প্রতিষ্ঠান আশিক ফাউন্ডেশন ফর চাইল্ডহুড ক্যান্সার।
ফলে এখন থেকে হাসপাতালটিতে ভর্তি হওয়া শিশুরা খেলাধুলা ও নাচ-গানও করতে পারবে। এতে অসুস্থতায় কাতর শিশুরা চিকিৎসার পাশাপাশি পাবে মানসিক প্রশান্তিও।
বিজ্ঞাপন
মঙ্গলবার (২৮ সেপ্টেম্বর) হাসপাতালের শিশু সার্জারি ওয়ার্ডে ‘আশিক প্লে সেন্টার’ উদ্বোধন করা হয়। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন শিশু সার্জারি বিভাগের প্রধান অধ্যাপক ডা. মির্জা কামরুল জাহিদ।
অনুষ্ঠানে অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন আশিক ফাউন্ডেশন ফর চাইল্ডহুড ক্যান্সারের প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারপারসন সালমা চৌধুরী, প্রতিষ্ঠাতা প্রেসিডেন্ট আফজাল হোসনে চৌধুরী, শিশু সার্জারি বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ডা. পরিতোষ কুমার পালতি, ডা. অভি কুমার চক্রর্বতী, এনেসথ্যাসিয়া বিভাগের প্রধান ডা. মো. শহিদুল ইসলাম প্রমুখ।
স্বাগত বক্তব্যে সালমা চৌধুরী শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে আশিক প্লে সেন্টারের পঞ্চম কেন্দ্র প্রতিষ্ঠার জন্য সংশ্লিষ্ট হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ, ডাক্তার, নার্স ও উপস্থিত অতিথিদের আন্তরিক ধন্যবাদ জানান।
এ সময় তিনি বলেন, বিশ্বব্যাপী সেপ্টেম্বর মাসকে শিশু ক্যান্সার সচেতনতার মাস হিসেবে উদযাপন করা হয়। এ মাসে শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের শিশু সার্জারি ওয়ার্ডে আশিক প্লে-সেন্টার উদ্বোধন করতে পেরে আমরা খুবই আনন্দিত।
তিনি আরও বলেন, খেলার মধ্যে শিশুরা ব্যথা-বেদনা ভুলে থাকতে পারে। যার ফলে ইনজেকশন, ঔষধ প্রয়োগে অনেক সুবিধা হয় এবং শিশুদের মন থেকে হাসপাতালের ভয়-ভীতিও দূর হয়ে যায়। বিদেশের হাসপাতালগুলোতে শিশুদের প্লে সেন্টার একটা বিশেষ ভূমিকা রাখে।
আফজাল হোসনে চৌধুরী বলেন, আশিকের ছোট উদ্যোগের সঙ্গে আপনারা যেই বড় উৎসাহ দেখিয়েছেন তার জন্য আমরা আপনাদের কাছে কৃতজ্ঞ থাকব। আশিক ক্যান্সার আক্রান্ত বাচ্চাদের জীবনমান উন্নয়নের জন্য কাজ করে আসছে ১৯৯৪ সাল থেকে। আমরা আশা করব আপনাদের সহযোগিতায় এ হাসপাতালে আশিক প্লে সেন্টার বাচ্চাদের বিনোদনের একটি মাধ্যম হিসেবে কাজ করবে।
টিআই/এসএসএইচ